শুক্রবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ৩০ ১৪৩২   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৮

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে কোন দলের দাবি কতটা রাখা হলো

তরুণ কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৫  

সরকার অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে। এই আদেশ জারির আগে সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলের মধ্যে মতভিন্নতা ছিল।

 

রাজনৈতিক দলগুলোকে মতভিন্নতা কাটিয়ে সমন্বিত প্রস্তাব দিতে সরকার সাত দিন সময় দিয়েছিল; কিন্তু দলগুলোর মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়নি।

 

এখন প্রশ্ন হলো, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ও গণভোট নিয়ে কোন দলের আপত্তির কতটুকু বিবেচনায় নিল সরকার।

 

আগে জেনে নিই জুলাই সনদ কী?


জুলাই সনদ কী
 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর জোরালো হয় সংস্কারের দাবি।

 

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার, পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যার সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ইউনূস নিজেই।

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ছয়টি কমিশনের ১৬৬টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ও বাস্তবায়নপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। এতে স্থান পায়নি স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ। অবশ্য এসব কমিশনের প্রস্তাব সরকার কিছু কিছু বাস্তবায়ন করছে। তবে পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক নয়’ বলে মনে করেন অংশীজনেরা।

 

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে প্রায় আট মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে প্রায় আট মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনফাইল ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রায় ৯ মাস ধরে ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করে।

 

আলোচনায় ৮৪টি প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো নিয়েই তৈরি হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ, যা সই হয় গত ১৭ অক্টোবর (এনসিপি ও চারটি বাম দল সই করেনি)। এর মধ্যে ৪৮টি সংবিধান-সম্পর্কিত। সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্যই জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি হয়েছে এবং তা নিয়ে গণভোট হবে।

 

হ্যাঁ–না ভোট
 

যেদিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, সেদিনই গণভোট হবে। নির্বাচনের প্রার্থীকে ভোটের জন্য ভোটারদের যেমন ব্যালট দেওয়া হবে, তেমনি দেওয়া হবে গণভোটের ব্যালট।

 

গণভোটে প্রশ্ন থাকবে একটি, যেখানে ভোটারদের হ্যাঁ অথবা না ভোট দিতে হবে। প্রশ্নের অধীন প্রস্তাব থাকবে চারটি।

 

প্রশ্নটি হলো ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার–সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেনছবি: প্রেস উইংয়ের সৌজন্যে
চারটি প্রস্তাব

 

১. নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

 

২. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

 

৩. সংসদে নারী প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদ

নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।

 

৪. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।

 

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান, সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতাসহ ১০টি প্রস্তাব বিএনপি বা অন্য দলগুলো নিজেদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থাৎ ভিন্নমত অনুসারে বাস্তবায়ন করতে পারবেন বলে কেউ কেউ বলছেন। যদিও আদেশে এগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।

 

এই চার প্রস্তাবের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ৪৮টি সংবিধানসংক্রান্ত সুপারিশের সব কটিই রয়েছে।

 

গণভোটে এক প্রশ্নের অধীন চার প্রস্তাব কেন? উত্তর হলো, মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি আমলে নিতে গিয়ে এটা করা হয়েছে।


গণভোটে আইনপ্রণয়ন, সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

কোন দলের আপত্তি কতটা বিবেচনায় নেওয়া হলো

ক) জুলাই সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির বিপক্ষে ছিল বিএনপি। তারা চেয়েছিল, প্রজ্ঞাপন জারি করে এটা হোক। তাদের যুক্তি, এ ধরনের আদেশ জারির এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। যদিও জামায়াত সাংবিধানিক আদেশের পক্ষে ছিল।

 

খ) বিএনপি চেয়েছিল গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ একই দিনে হোক। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হবে, সেটি আগেই বলেছে সরকার। বিএনপির এ দাবি পূরণ হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে জামায়াতের এই দাবি পূরণ হয়নি। জামায়াত জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের দাবি করেছিল।

 

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। গত ১৮ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়

 

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। গত ১৮ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়ছবি: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

 

গ) সংসদে উচ্চকক্ষ গঠন পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির আপত্তি ছিল। বিএনপির চাওয়া ছিল, উচ্চকক্ষে ১০০ আসন বণ্টন হোক নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে। ধরা যাক, নিম্নকক্ষে একটি দল ১৫০টি আসন পেয়েছে। তাহলে উচ্চকক্ষে তাদের আসন হবে ৫০টি। উচ্চকক্ষ নিয়ে বিএনপির এ ভিন্নমত আমলে নেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে জামায়াত ও এনসিপির দাবি পূরণ হয়েছে। অর্থাৎ সংসদ নির্বাচনে দলগুলো যে অনুপাতে ভোট পাবে, সে অনুপাতে আসন বণ্টন হবে উচ্চকক্ষে। যদি কোনো দল ১০ শতাংশ ভোট পায়, তাহলে উচ্চকক্ষে আসন পাবে ১০টি। সদস্যদের নাম তারা ঠিক করবে।

 

 

ঘ) সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে অন্তত ৫১ জনের ভোট দরকার হবে। বিএনপি সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি উচ্চকক্ষে নেওয়ার বিপক্ষে। বিএনপির ভিন্নমত আমলে নেওয়া হয়নি।

 

ঙ) বিএনপি চেয়েছিল নোট অব ডিসেন্ট, অর্থাৎ ভিন্নমত অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা হোক। অর্থাৎ নির্বাচনে জয়ী হলে তারা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়ে বিএনপির দাবি আংশিক পূরণ হয়েছে। মূল বিষয়গুলোতে বিএনপির ভিন্নমত আমলে নেওয়া হয়নি। যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি), মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়োগ ও ন্যায়পাল নিয়োগ।

 

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিএনপি চেয়েছিল দুদকে নিয়োগ আইনের মাধ্যমে সরকার করবে। সেটি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে রাখা হয়নি। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে দুদকে চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ হবে বাছাই ও পর্যালোচনা কমিটির মাধ্যমে। এই কমিটি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতির (প্রধান বিচারপতি ব্যতীত) নেতৃত্বে হবে। কমিটিতে হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান, সংসদ নেতা ও বিরোধীদলীয় নেতার একজন করে প্রতিনিধি এবং প্রধান বিচারপতি মনোনীত একজন নাগরিক প্রতিনিধি থাকবেন। এই কমিটি নাম প্রস্তাব করবে, রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন।

 

চ) তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির ভিন্নমত নেই। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন কীভাবে হবে, তা নিয়ে বিএনপির ভিন্নমত ছিল। তা আমলে নেওয়া হয়নি।

 

ছ) এনসিপি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছিল। সেটি অনেকটা হয়েছে। তবে ঐকমত্য কমিশনের একটি বিকল্প সুপারিশে বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ সংস্কার প্রস্তাবগুলো অনুমোদনে ব্যর্থ হলে সেগুলো ২৭০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। এটি নিয়ে আপত্তি ছিল বিএনপির। সরকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধনের সুপারিশটি আমলে নেয়নি।

 

জ) এনসিপি চেয়েছিল প্রধান উপদেষ্টা জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবেন। কারণ, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আপত্তি ছিল, যদিও বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আদেশ জারি করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির নামেই আদেশ জারি হয়েছে।

 

ঝ) এনসিপি গণপরিষদ গঠন অথবা আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার পক্ষে ছিল। জামায়াতও দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার পক্ষে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে আগামী সংসদকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। যদিও বিএনপি সংসদকে সংবিধান সংস্কার পরিষদের ক্ষমতা দেওয়ার বিপক্ষে ছিল।

 


সংকট কি কেটে গেল

প্রশ্ন হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ কি কেটে গেছে, সবাই কি এখন নির্বাচনের পথে যাবে?

 

প্রথমত, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর বিএনপি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তবে সেখানে একটি বিষয় নজরে রাখার মতো।

 

সেটি হলো দলটি ১৭ অক্টোবর ঐকমত্যের ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদের ওপর জনগণের সম্মতি গ্রহণের জন্য গণভোট অনুষ্ঠান এবং শিগগিরই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

 

আজ শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ যেভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা প্রতিপালনে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ। এর বাইরে চাপিয়ে দেওয়া, জবরদস্তিমূলক কোনো প্রস্তাব যদি দেওয়া হয়, তা জনগণ বিবেচনা করবে।

 

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাঁরা গণভোট আগে চান। তিনি বলেন, ‘বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে একটি দলের স্বার্থে।’

 

এনসিপির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি।

এই বিভাগের আরো খবর