শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫৫৯

এখনো জ্ঞান ফেরেনি এপিএম সুহেলের

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত এপিএম সুহেলের এখনো জ্ঞান ফেরেনি। মঙ্গলবার রাতে তার মাথার সফলভাবে অস্ত্রোপচারের পর  নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সোহেল এখনো আইসিইউতে আছেন। গতকাল তার অবস্থা বেশি খারাপ ছিল। তবে মাথার অপারেশন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে, এখনো জ্ঞান ফেরেনি।’ এছাড়া আজকে পরিষদ কোন কর্মসূচী পালন করবে না বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মেডিকেলের সার্জারি বিভাগে সুহেলের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। গত রোববার ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুল হকের কক্ষে হামলা চালানোর পর সুহেলকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। তিনি বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অস্ত্রোপচার কক্ষে রাত ৯টার দিকে তাকে নেয়া হয়। বিকেলে সুহেলের সিটিস্ক্যান দেখে রাতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুর রহিম বলেন, ‘সুহেলের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, সে ভালো আছে। তাকে অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।’ এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে ভিপি নুরসহ আহতদের অবস্থা জানাতে ব্রিফিংয়ে চিকিৎসকরা জানান, ভিপি নুরসহ চারজনের অবস্থা ভালোর দিকে। তবে সুহেল শঙ্কামুক্ত নন।

নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হক জানান, ‘সুহেলের মাথায় ফ্র্যাকচার, কোমরে ব্যথা এবং চোখ ফোলা আছে। ফলে তাকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।’

তবে নুরের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘নুর কথা বলছেন, হাঁটছেন। তিনি আশঙ্কামুক্ত।’ শিগগিরই ভিপিসহ অন্যদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

গত রোববার দুপুরে রড, লাঠি ও বাঁশ নিয়ে ভিপি নুরুলের ওপর হামলা চালান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কিছু ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবীর অবস্থা গুরুতর। তাঁকে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থায় রাখা হয়েছিল। সুহেলও গুরুতর আহত হন।

গতকাল শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে আসা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ ঘটনায় ভিপি নুর ও পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।

এই বিভাগের আরো খবর