ব্রাজিলিয়ান তারকা রকের গোলে বার্সার জয়

বার্সেলোনার হয়ে আগে পাঁচ ম্যাচ খেললেও গোলের দেখা পাননি ব্রাজিলিয়ান তরুণ সেনসেশন ভিতর রক। অবশেষে ৬ষ্ঠ ম্যাচে এসে গোলের দেখা পেলেন এ তরুণ ফরোয়ার্ড। সেই সঙ্গে দলকে জয় পাইয়ে দিয়ে মাঠ ছাড়েন ১৮ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার। এতে করে সব মিলিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল বার্সেলোনা।

এর আগে স্প্যানিশ কোপা দেল রেতে অ্যাথলেটিক বিলবাও এবং লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের কাছে হারে কাতালান ক্লাবটি। ভিয়ারিয়ালের কাছে হারের পর মৌসুম শেষে বার্সার দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন জাভি হার্নান্দেজ। তারপর এ ম্যাচে মাঠে নেমেই জয় তুলে নেয়ায় আত্মবিশ্বাস বাড়বে জাভির দলের। 

প্রথমার্ধে খুব বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বার্সেলোনা। তবে অল্প যে কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল সেগুলোও কাজে লাগাতে ব্যর্থ লেভানদোভস্কি ও ফেরান তরেসরা। উল্টো ম্যাচের ছয় মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফেরান তোরেস। তার জায়গায় মিডফিল্ডার লোপেজ নেমে অবশ্য পুষিয়ে দিয়েছেন। ভালো কিছু আক্রমণ তৈরি করলেও লামিন ইয়ামাল ও লেভানদোভস্কির দুর্বল ফিনিশিংয়ে গোল হয়নি।

গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৬২তম মিনিটে ফারমিন লোপেজকে তুলে ভিতর রককে নামান বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। সিদ্ধান্তটি ছিল অবাক করার মতোই। কিন্তু মাঠে নেমেই কোচের আস্থার প্রতিদান দেন এ ব্রাজিলিয়ান তারকা। মাঠে নামার ৬৮ সেকেন্ডের মাথায় জোয়াও কানসালোর ক্রসে কাছ থেকে হেডে গোল করে বার্সাকে লিড এনে দেন রক। আর এই গোলকে পুঁজি করেই ওসাসুনাকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে বার্সা। বার্সেলোনার জার্সিতে ৬ ম্যাচে তার প্রথম গোল এটি।

গোলের পর খেলায় কিছুটা প্রাণ ফিরে। রক ব্যতিব্যস্ত করে তুলেন ওসাসুনা রক্ষণকে। তবে গোল হজমের চার মিনিট পর আরেকটি ধাক্কা খায় ওসাসুনা। রককে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার উনাই গার্সিয়া। ৭২তম মিনিটে সফরকারীদের বক্সে রক পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা, তবে রেফারি সাড়া দেননি।

৭৬তম মিনিটে ম্যাচে সমতার সুবর্ণ সুযোগ হারায় ওসাসুনা। রুবেন গার্সিয়ার পাস বক্সে পাওয়া রাউল গার্সিয়া গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। তিন মিনিট পর লেভানদোভস্কি বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। শেষ দিকে কানসেলোর শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেয়ায় ব্যবধান বাড়েনি।

২২ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে বার্সেলোনা। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ২২ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মৌসুমের চমক জিরোনা। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বাদশ স্থানে আছে ওসাসুনা।