ব্রেকিং:
জাকসু নির্বাচনের মঞ্চেই নিভে গেল তরুণ শিক্ষিকার আলো শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা সম্ভব: জাকসু নির্বাচন কমিশন

শনিবার   ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৯ ১৪৩২   ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২০৪

তাইজুল জয়ের আশা ছাড়েননি

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০১৮  

প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের সামনে সিলেট টেস্টে পরাজয়ের চোখ রাঙানি। তবে তাইজুল ইসলাম মনে করেন, ম্যাচে খুব বেশি পিছিয়ে নেই স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে দেড়শ’ রানে থামাতে পারলে জেতা সম্ভব।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার দ্বিতীয়দিনের খেলা শেষে জিম্বাবুয়ে এগিয়ে ১৪০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে এক রান করা অতিথিদের তৃতীয়দিনে দ্রুত গুটিয়ে দিতে চান প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট পাওয়া এই বাঁ-হাতি স্পিনার, ‘ওদের দ্বিতীয় ইনিংসে দেড়শ’ রানের মধ্যে রাখতে পারলে ভালো হবে। ... আমরা জয়ের চিন্তাই করছি। ম্যাচের এখনও তিনদিন বাকি আছে এবং তিনদিন অনেক সময়। আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই। অনেক কিছুই হতে পারে।’

জিম্বাবুয়েকে কাল সকালে ২৮২ রানে গুটিয়ে দেয়ার খুশি মিলিয়ে যায় ব্যাটিং ব্যর্থতায়। বাংলাদেশের ইনিংস থমকে যায় ১৪৩ রানে। তাইজুলের বিশ্বাস, দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়াবেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা, ‘ক্রিকেটে কখনও ভালো হবে আবার কখনও খারাপ হবে, এমন সময় আসে। সকালে হয়তো আমাদের সময়টা ভালো কেটেছে। লাঞ্চের পর থেকে দুই সেশন আমাদের পক্ষে আসেনি। ... ক্রিকেটে সব সময় সুযোগ থাকে ফিরে আসার। আমরাও চাই, আমাদের দল ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ কোনো কীর্তি গড়ুক।’

এদিকে দীর্ঘ বিরতির পর টেস্টে পাঁচ উইকেট পেলেও তাইজুলের খুশি মিলিয়ে যাচ্ছে স্কোর কার্ডের দিকে তাকিয়ে। সিলেট টেস্টে যে ভীষণ বিপদে তার দল। ১০৮ রানে ছয় উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে তিনশ’ রানের নিচে থামান তাইজুল। রোববারের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা বাঁ-হাতি স্পিনার জানান, নিজের অর্জনের চেয়ে দলের অবস্থা তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ‘সাড়ে তিন বছর পর পাঁচ উইকেট পাওয়ার অনুভূতি তো অবশ্যই ভালো। পাঁচ উইকেট-ছয় উইকেট সব সময় আসে না। অবশ্যই ভালো লাগছে। কিন্তু আমি দলের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাইব। দল ভালো করলে ভালো লাগবে।’

তাইজুল জানান, সিলেটের উইকেটে এখনও বোলারদের জন্য কোনো বাড়তি সহায়তা নেই। সাফল্য এসেছে ভালো জায়গায় টানা বোলিং করে যাওয়ায়, ‘উইকেট ফ্ল্যাট হলে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হয়। অফ স্টাম্পের বাইরে বেশি জায়গা না দিয়ে বোলিং করতে হয়। আমি সেটাই করার চেষ্টা করেছি।’

এই বিভাগের আরো খবর