রোববার   ০২ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ১৮ ১৪৩২   ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৮

কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে চায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫  

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে কিছু আন্তর্জাতিক মহল—এমন অভিযোগ তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সামনে কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু শক্তি রয়েছে যারা চায় না নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালা হচ্ছে, যার সুবিধাভোগী রয়েছে দেশের ভেতরে ও বাইরে। তারা সুসংগঠিত এবং এটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয়।

 

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের একটি হোটেলে রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটসের সভাপতি কেরি কেনেডির নেতৃত্বে মানবাধিকার রক্ষাকারী একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা।

 

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফেব্রুয়ারির ভোট হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ—এমন নির্বাচন যা বাংলাদেশ আগে কখনও দেখেনি। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে নারীদের ভোটদানে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হবে এবং তাদের অংশগ্রহণকে উদযাপন করা হবে।

 

প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের নিয়মিত বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিবার সফরের মাধ্যমে ভুলে যাওয়া বিষয়গুলো নতুন করে আলোচনায় আসে এবং শেষ পর্যন্ত তারাই জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন।

 

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস সংস্কার প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার সুরক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের জন্য ১১টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ইতোমধ্যে এসব প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে, যার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোও সম্পৃক্ত। জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত সাংবিধানিক সংস্কারের খসড়া অক্টোবরের মধ্যে তৈরি হবে এবং

রাজনৈতিক দলগুলো এতে স্বাক্ষর করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

বৈঠকে উপস্থিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া-বিষয়ক পরিচালক জন সিফটন বলেন, যত বেশি সম্ভব সংস্কার নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে, যাতে সংসদ গঠনের পরও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।

 

এ আলোচনায় আরও অংশ নেন সিভিকাস, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ফোর্টিফাই রাইটসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা।

এই বিভাগের আরো খবর