সোমবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২১ ১৪৩২   ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৪

আমার কণ্ঠ রুদ্ধ করতে আদালতের আদেশ দেওয়া হয়েছিল: তারেক রহমান

মোঃ মোসাদ্দেক হোসাইন ইমন , স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২৫  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অতীতের স্বৈরশাসনের সময় তাঁর কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল আদালতের আদেশের মাধ্যমে। তিনি অভিযোগ করেন, সে সময় গণমাধ্যম তাঁর বক্তব্য প্রচার করতে চাইলেও সরকারি চাপ ও আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

 

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, “স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আমার বক্তব্য প্রকাশ বন্ধে আদালত থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। তখন আমি যদি গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাইতাম, অনেক সাংবাদিক ও সম্পাদক হয়তো তা ছাপাতে আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু তারা পারেননি। কারণ আইনগতভাবে তা নিষিদ্ধ ছিল।”

 

তিনি আরও বলেন, “একবার আমি প্রেস ক্লাবে বক্তব্য দিয়েছিলাম। পরদিন প্রেস ক্লাবের তৎকালীন কমিটি জরুরি সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নেয় যে, যেহেতু আমাকে আইনের দৃষ্টিতে ‘ফেরারি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, তাই আমার মতো ব্যক্তিকে প্রেস ক্লাবে আর বক্তব্য দিতে দেওয়া হবে না। এভাবেই তারা আমার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল।”

 

তারেক রহমান বলেন, “আমি চুপ থাকিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। ইনশাল্লাহ, আমি পৌঁছাতেও পেরেছি। আমি সব সময় জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি, দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি— যদিও তা অনেকের কাছে সরাসরি পৌঁছায়নি।”

 

তিনি আরও যোগ করেন, “গণমাধ্যমে আমি কথা বলিনি— এটি পুরোপুরি সত্য নয়। আমি বলেছি, কিন্তু অনেক সময় সেটি প্রকাশের সুযোগ মেলেনি। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও গণমাধ্যম তা ছাপাতে পারেনি বা প্রচার করতে পারেনি। তবে আমি থেমে থাকিনি, কথা বলেছি, মানুষকে জানিয়েছি এবং কথা বলতেই থাকব।”

 

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “যে দেশে মানুষের ভোটাধিকার নেই, সেখানে বাকস্বাধীনতাও থাকে না। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাই তার প্রমাণ। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, জনগণই শেষ পর্যন্ত তাদের কণ্ঠ পুনরুদ্ধার করবে।” 

এই বিভাগের আরো খবর