মাঠে নামার আগে দুশ্চিন্তায় মেসিরা

লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ জুটি মানেই ব্যতিক্রম কিছু। প্রতিপক্ষের ডিফেন্স কাঁপিয়ে জালে বল জড়ানো তাদের কাছে ছিল মামুলি ব্যাপার। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাকে অসংখ্য সাফল্য এনে দিয়েছিল এই দুজনের জুটি। এরপর একে একে দুই বন্ধুই ছেড়েছেন কাতালান ক্লাবটি।

বার্সা ছেড়ে দুইজন আলাদা ক্লাবে খেলেছে কিছু দিন। তবে আবারও এক দলে মেসি-সুয়ারেজ। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে মিলিত হয়েছেন দুই বন্ধু। গত মৌসুমেই ক্লাবটিতে যোগ দেন মেসি। এরপর জানুয়ারিতে সুয়ারেজকেও দলে ভেড়ায়। 

এরই মধ্যে দুজন জুটি বেঁধে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু নতুন শুরুতে এখনো গোলের দেখা পায়নি এ জুটি। এর মধ্যে প্রাক-মৌসুমে এল সালভাদরের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে এফসি ডালাসের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে মেসি-সুয়ারেজের মায়ামি।

দুটি ম্যাচেই মেসি ও সুয়ারেজের সামনে দারুণ কিছু সুযোগ এসেছিল। তবুও জয় তুলে নিতে পারেননি তারা। দলের এমন গোল খরা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেছেন দলের কোচ জেরার্দো মার্তিনো। তিনি বলেছেন, ‘এখানে যদি কোনো উদ্বেগ থাকে, তবে সেটা গোল নিয়ে।’

এরপর তিনি বলেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা আছে যে এ এশিয়ান সফরে আমরা কী চাই। আমরা এখন ছোটখাটো বিষয়গুলো ঠিকঠাক করায় মনোযোগ দিচ্ছি। যেখানে ফলের বাইরে আরো কিছু বিষয় আছে।’

দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মার্তিনো আরো বলেন, ‘আমরা অবশ্য দলগত শক্তি খুঁজছি। যা আমার মনে হয় ধীরে ধীরে অর্জন করছি। জেতাটা সব সময় ভালো, কিন্তু শুধু এটাই অগ্রাধিকারের বিষয় নয়।’

এদিকে মায়ামির সামনে এখন আছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দুটি ম্যাচই তারা খেলবে সৌদি আরবে। ৩০ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচে ইন্টার মায়ামির প্রতিপক্ষ নেইমারের ক্লাব আল হিলাল। চোটের কারণে অবশ্য নেইমারের সে ম্যাচে খেলা হবে না।

এরপর ১ ফেব্রুয়ারি রাতে অন্য ম্যাচে মেসিদের প্রতিপক্ষ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্লাব আল নাসর। সে ম্যাচে রোনালদোর খেলা নিয়েও আছে শঙ্কা। এর আগে পর্তুগিজ তারকার চোটের কারণে আল নাসর চীনে তাদের নির্ধারিত ম্যাচ বাতিল করে।