রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪   ভাদ্র ২৪ ১৪৩১   ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৪৫

কোরবানিতে সৌখিনদের পছন্দ ‘গয়াল’

মোহাম্মদ আবদুর রহিম, দক্ষিণ কুমিল্লাঃ

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৪  

 

গয়াল বন্য গরুর একটি প্রজাতি।

 

 বাংলাদেশে এটি ‘চিটাগং বাইসন’ নামেও পরিচিত। ভারতে একে ডাকা হয় মিথুন নামে।

 

 ইংরেজি গাউর নামে যে বনগরুকে বর্ণনা করা হয়, তা থেকে কিছুটা ভিন্ন প্রজাতির গয়াল।

 

 বাংলাদেশের পাহাড়ি বনাঞ্চল ছাড়াও ভারতের উত্তর-পূর্ব এলাকা, মিয়ানমার, চীনের ইয়ুনান প্রদেশে গয়াল দেখা যায়। 

 

১৯৬৪ সাল থেকে গয়ালকে বুনো প্রাণীর তালিকা থেকে সরিয়ে গবাদি পশু হিসেবে গণ্য করা হয়। গয়াল প্রায় আমাদের গৃহপালিত প্রাণী গরুর মতোই দেখতে। 

 

উচ্চতা তিন-চার মিটার। প্রতিটি গয়ালের গড় ওজন ৫০০-৭০০ কেজি। এমন গয়াল গরু রয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামে আদর ডেইরি ফার্ম এবং সিরাজ ক্যাটেল ফার্মে।

 

মঙ্গলবার সরেজমিন পরিদর্শনকালে আদর ডেইরি ফার্মের মালিক ইলিয়াছ হোসেন জানান, গত ১০-১১ বছর ধরে মোটাতাজাকরণ গরু লালন-পালন করে আসছি। এর পাশাপাশি দুই বছর থেকে ১২-১৫টি গয়াল গরু লালন পালন করছি। দেখতে গরুর মতো।

 

 শিংগুলো খুব খাড়া। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয় গয়ালকে।

 

প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করাতে হয়।

 

 পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতিদিন সকাল-বিকাল দুর-দূরান্ত থেকে ধনী মানুষ গয়াল দেখতে ফার্মে ভিড় করছে। কম চর্বিযুক্ত গোশতের কারণে দেশীয় গরুর চেয়ে গয়ালের ওজন দ্বিগুণ। মাংসও বেশ সুস্বাদু।

 

বাজারে বিক্রি হওয়া গরু-মহিষের তুলনায় গয়ালের দাম একটু বেশি। একেকটি গয়াল ওজন ভেদে বিক্রি হচ্ছে। গরু-মহিষের চেয়ে বেশি গোশত হওয়ায় গয়ালের চাহিদা বাড়ছে।

 

তিনি আরও জানান, তার খামারে অনেকগুলো গরুর মাঝে কুমিল্লার ‘চেয়ারম্যান’ ও ভারতের ত্রিপুরার ‘কালো মানিক’ নামে দুইটি বড় গরু রয়েছে। গরুটি দুইটির ওজন ১২’শ-১৩’শ কেজি।

 

 উপযুক্ত দাম পেলে এবারের কোরবানে গরুগুলো বিক্রি করবো। 

 

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ নাহিদ হাসান বলেন, ‘চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার তের ইউনিয়নে সাড়ে ১৩ হাজার কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে। মজুদ আছে ১৪ হাজার পশু।

 

পাশাপাশি মিয়াবাজার এলাকার আদর ডেইরি ফার্মে দেখতে গয়াল গরু মানুষের নজর কাড়ছে’।  

 

এই বিভাগের আরো খবর