শনিবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ৩ ১৪৩২   ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪২

আসন ভাগাভাগিতে ঐক্যের পথে ৬ ইসলামি দল

মোঃ নাজমুল হুদা

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৫  

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ঐক্যের পথে হাঁটছে দেশের ছয়টি ইসলামি দল। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করা দলগুলো এবার নির্বাচনে একক ভোটব্যাংক তৈরির লক্ষ্যে আসন সমঝোতায় সক্রিয় হয়েছে।

 

ইসলামি দলগুলোর জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, আসন ভাগাভাগি হবে আলোচনার মাধ্যমে। যেখানে যে দলের সাংগঠনিক অবস্থান ও জনসমর্থন বেশি, সেখানে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে সমঝোতা হলেও কোনো দল ত্যাগ বা আসন ছাড় দেবে না বলে স্পষ্ট করেছেন তারা।

 

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য হলে জামায়াত সর্বোচ্চ ১০০ আসন পর্যন্ত ছেড়ে দিতে পারে। তিনি বলেন, “যেসব আসনে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা কম, সেসব আসনে অন্য দলগুলো প্রার্থী দিতে পারে। তবে অন্তত ২০০ আসনে আমরা লড়বো।”

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, “সমঝোতার ক্ষেত্রে প্রার্থীর মান, সাংগঠনিক শক্তি ও জনসমর্থন বিবেচনায় নেওয়া হবে। যে দলের যেখানে অবস্থান শক্ত, সেখানে তাদের প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”

 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বরিশাল অঞ্চলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রভাব থাকায় সেখানে জামায়াত প্রার্থী দেবে না। বিপরীতে জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি যেমন পিরোজপুর, পাবনা, কক্সবাজার ও সাতক্ষীরায় অন্য ইসলামি দলগুলো প্রার্থী দেবে না।

 

প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালউদ্দিন আহমদ বলেন, “ছোট দলের প্রভাব তুলনামূলক কম হলেও তাদের আমির বা কেন্দ্রীয় নেতাদের গুরুত্ব দিতে হবে। না হলে ঐক্য টিকবে না।”

 

বর্তমানে আসন সমঝোতার আলোচনায় রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

 

সূত্রগুলো জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকেই এসব দল একক ভোটব্যাংক গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। তবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বিএনপির সঙ্গে জোটে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

 

অন্যদিকে, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনের গুঞ্জনকে বানোয়াট বলে দাবি করেছেন জালালউদ্দিন আহমদ। তিনি জানান, “২৫ অক্টোবর দলের মজলিসে শুরা ও সাধারণ পরিষদের বৈঠকে আমরা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেব।”
 

 

এই বিভাগের আরো খবর