হিন্দু পরিবার থেকে বিশ্বখ্যত ইসলামী শিক্ষাবিদ
তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২১
সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবার থেকে ইসলাম গ্রহণ করে হাদিস শাস্ত্রের গবেষণায় বিশ্বখ্যাতি লাভ করেন ড. মুহাম্মাদ জিয়াউর রহমান আজমি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বখ্যাত হাদিস-গবেষক সৌদি আরবের মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ছিলেন এক বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী।
গত বছর ৩০ জুলাই, ৯ জিলহজ) আরাফার দিনে মদিনায় মৃত্যু বরণ করেন এ মহান মনীষী। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বের ইসলামী স্কলাররা গভীর শোক প্রকাশ করেন। হাদিস বিষয়ে তাঁর অবদান অসামান্য। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত তাঁর লিখিত গ্রন্থাবলি ইসলামী রচনা সম্ভারে অনবদ্য কর্ম হিসেবে চির ভাস্বর হয়ে থাকবে।
শৈশবকাল : প্রফেসর ড. জ়িয়াউর রহমান আজ়মি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্ববিখ্যাত পন্ডিত। ১৯৪৩ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড় জেলার বালরিয়াগঞ্জ গ্রামে এক বিত্তবান হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। বাঙ্কালাল নাম ছিল তাঁর। তাঁর পিতা ছিলেন আজমগড়ের বিত্তবান ব্যবসায়ী। আজমগড় থেকে কোলকাতা পর্যন্ত পৈত্রিক ব্যবসা ছড়িয়ে ছিল।
প্রবল ধর্মীয় অনুশাসনের বেড়ে ওঠায় শৈশব থেকেই ধর্ম বিষয়ে খুবই আগ্রহী হন। তাই নিজ উদ্যোগে শুরু করেন ধর্ম বিষয়ক পাঠ ও গবেষণা । শায়খ আবুল আলা রচিত ‘দ্বিনে হাকিকত’-এর হিন্দি অনুবাদ পড়ে খুবই প্রভাবিত হন তিন। অতঃপর খাজা হাসান নিজামির হিন্দি ভাষায় রচিত কোরআনের অনুবাদ পাঠ করে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন।
ব্রাহ্মণ পরিবার হওয়ায় পরিবার তাঁর মুসলিম হওয়া মেনে নিতে পারেনি। নানা উপায়ে তাঁকে হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার আহ্বান জানায়। তাঁকে ফিরিয়ে নিতে তাঁর পিতার সর্বাত্মক চেষ্টায় চেলায়। কিন্তু সবাই ব্যর্থ হয়। এ সময় তাঁকে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়।
শিক্ষা জীবন : নিজ বাড়ি ত্যাগ করে বাদায়ুনের একটি মাদরাসায় ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। অতঃপর উমরাবাদের প্রশিদ্ধ দারুস সালাম মাদরাসায় একাধারে পাঁচ বছর অধ্যায়ন করেন। এখান থেকে আলামিয়্যত ও ফাজ়িলত ডিগ্রি অর্জন করেন।
পড়াশোনার সময় তিনি নিজ বাড়িতে যান। এ সময় অনেক হিন্দু তাঁকে দেখতে আসে। ইসলামের ওপর তাঁর দৃঢ়তা দেখে অনেকে বেশ অবাক হয়। বাড়িতে থাকাকালে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শাইখ জিয়াউর রহমান ঈদের নামাজে ইমামতি করেন। ঈদের জামাতে তাঁর কথা শুনতে অনেক হিন্দুও ঈদগাহে সমবেত হয়। একজন নওমুসলিম কীভাবে ঈদের নামাজের ইমাম হলো, তা নিয়েও হিন্দু পড়শীদের বিস্ময়ের সীমা ছিল না। অল্প বয়সে অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখে তাঁর প্রতি নমনীয় হন তাঁর পিতা।
আজমগড়ের শিবলী কলেজ ও উমরাবাদের দারুস সালাম মাদরাসায় পাঠ সম্পন্ন করে উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে যান সৌদি আরব। ১৯৬৬ সালে সৌদি আরবের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদিনায় স্নাতক সম্পন্ন করেন। মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। এছাড়াও একজন নওমুসলিম হিসেবেও তিনি ছিলেন প্রথম শিক্ষার্থী। স্নাতকেও প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। পড়াশোনা ও জ্ঞান-গবেষণায় তখন সবার মধ্যে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।
১৯৭০ সালে মক্কার আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে (বর্তমান উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়) স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তাঁর মাস্টার্সের থিসিসের বিষয় ছিল : Abu Huraira in the Light of His Narrations তথা ‘আবু হুরায়রা (রা.)-এর জীবনী ও তাঁর বর্ণিত হাদিস’। এতে তিনি আবু হুরায়রা (রা.) সম্পর্কে প্রাচ্যবিদদের উত্থাপিত নানা প্রশ্নের উত্তর লিখেন। এ সময় তিনি মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর মিশরের বিশ্ববিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তাঁর পিএইচডি ডিগ্রির বিষয় ছিল : In Defense of Abu Huraira তথা আবু হুরায়রা (রা)-এর সমর্থনে।
কর্মজীবন : বিশ্বখ্যাত মহান এ মনীষীর কর্মজীবন খুবই বর্ণাঢ্য। মক্কায় অবস্থিত রাবেত়া আলম আল ইসলামীর (মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ) বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অবশেষে ১৯৭৯ সালে (১৩৯৯ হি.) মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদিস বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে অধ্যাপনার জীবন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট থিসিসের নিরীক্ষণ এবং খসড়া তৈরির গুরুত্বপূর্ণ কাজও তিনি সম্পাদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় অনুমোদনে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি তিনি প্রাচীন পদ্ধতিতেও বিভিন্ন শায়খের সান্নিধ্যে থেকে হাদিস ও শরিআর গভীর জ্ঞানার্জন করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য শায়খদের মধ্যে আছেন, সৌদি আরবের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শায়খ আবদুল্লাহ বিন হামিদ (রহ.), সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শায়খ আবদুল আজিজ বিন বাজ (রহ.) দক্ষিণ ভারতের শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুল ওয়াজিদ উমরি রহমানি, মাওলানা আবুল বায়ান হাম্মাদ উমরি প্রমুখ।
তিনি নিয়মিত মসজিদে নববিতে সহিহ বোখারি ও স়হিহ় মুসলিমের পাঠদান করতেন। হিন্দি ও আরবি ভাষায় বহু গ্রন্থ রচনা ও সংকলন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি একাগ্রতার সাথে অধ্যয়ন ও গবেষণা কর্মে যুক্ত থাকেন।
গ্রন্থাবলি : হাদিস বিষয়ে তিনি রচনা করেন অনবদ্য গ্রন্থ। হাদিস বিষয়ে রচিত তাঁর প্রশিদ্ধ গ্রন্থ হলো : ‘জামিউল কামিল ফিল হাদিসিস সহিহ শামিল।’ ২০ ভলিয়মের এ বিশাল গ্রন্থে তিনি ১৬ হাজার হাদিস সংকলন করেন। এছাড়া বিশ্বব্যাপী সমাদৃত গ্রন্থ ‘Quran Encyclopedia’ বা কোরআন বিশ্বকোষ রচনায়ও তাঁর অসাম্য অবদান আছে। এছাড়াও তাঁর আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ আছে।
মৃত্যু : গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই, ৯ জিলহজ) আরাফার দিনে মদিনায় মৃত্যু বরণ করেন বিশ্ববিখ্যাত এ মহান মনীষী।মসজিদে নববিতে জনাজার সমাপ্ত করে তাঁকে জান্নাতুল বাকিতে দাফন করা হয়।
সূত্র : মুসলিম ওয়ার্ল্ড জার্নাল
- যাঁদের চিহ্নিত করা যাবে, সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
- দীপু ও শিশু আয়েশাকে হত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন
- দিনাজপুর-৩ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত
- পিকআপভ্যানের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
- মৌলভীবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী সংগঠনের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার
- সকালে পেলেন বিএনপির মনোনয়ন, বিকেলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা
- ২০২৪: ‘গ্রেটার ইসরায়েল’, ইরান হামলা ও আঞ্চলিক অস্থিরতার বছর
- যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে গাজার বড়দিন: ‘কিছুই আর আগের মতো নেই’
- ২০২৫-এর বিনোদন মানচিত্র: ঢালিউড থেকে বিশ্বমুখী যাত্রা
- স্ব-পদে পুনর্বহালের দাবিতে উত্তরার শহীদ মনসুর আলী কলেজে মানববন্ধন
- এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ করল ডিএমপি
- বিএনপির আসন ছাড়: আরও ১০ আসনে মিত্রদের প্রার্থী ঘোষণা
- এবার ‘ভিউ ব্যবসায়ীদের’ নিষ্ঠুর গুজবের কবলে শোকাতুর বাবা
- কুড়াল হাতে উল্লাস করা মাইনুলসহ গ্রেপ্তার আরও ১০
- প্রকাশ্যে বই দেখে লিখছেন শিক্ষার্থীরা, ভিডিও ভাইরাল
- নিরাপত্তা ছক
রেড, ইয়েলো ও হোয়াইট জোনে ভাগ হচ্ছে রাজধানী - তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ ৮ জন নিহত
- র্যাব-১৩ এর বিশেষ অভিযানে নবাবগঞ্জের ধর্ষণ মামলার আসামি আটক
- উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন হবে কি না, জানালেন সচিব
- হাতিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৫
- ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকে কাজ করছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
- ৪ আসনে জমিয়তের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতা
- নির্বাচনে পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চাইলেন এসপিরা
- কূটনৈতিক মিশনে হামলা উদ্বেগজনক: দিল্লিকে কঠোর বার্তা দিয়েছে ঢাকা
- দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘিরে ভিএইচপির বিক্ষোভ
- ডিসি-এসপিদের সঙ্গে বৈঠকে ইসি
- মাদুরোকে ট্রাম্পের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি: ভেনেজুয়েলাকে সমর্থন দিচ্ছে
- ভোটের তহবিল চেয়ে জারার পোস্ট, সাত ঘণ্টায় মিললো ১২ লাখ
- বাবুবাজারের ১৪ তলা ভবনে আগুন: ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার
- যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: ফিলিস্তিনসহ ৫ দেশ
- সেবার মান বাড়াতে রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন শিক্ষাবিদ মিলু
- রিফান্ড করা হচ্ছে আতিফ আসলামের কনসার্টের টাকা
- দলিতদের অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির দাবিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান
- ধানমণ্ডির আলোচিত নারী নেত্রী রুমির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- হাদির ওপর হামলার রহস্য উদঘাটনে বড় অগ্রগতি
- ডেভেলপার ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার অভিযোগ, আতঙ্কে খিলক্ষেত- নিকুঞ্
- বাংলাদেশের দুর্বল ব্যাংক কিনতে চীনকে প্রস্তাব
- নির্বাচনে পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চাইলেন এসপিরা
- রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে আরবি ভাষার গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা
- দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
- নুরুল আমিনের সাথে মীরসরাই জাতীয়তাবাদী ফোরামের নির্বাচনী মতবিনিময়
- গাজীপুরে শহীদ বীর ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
- ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদি আর নেই
- নারী সঙ্গীর বাসায় গুলিবিদ্ধ হন এনসিপি নেতা, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- ঢাকায় পৌঁছালো ওসমান হাদির মরদেহ
- বুটেক্সে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যপ্রার্থীর তালিকা প্রকাশ
- বিএনপির আসন ছাড়: আরও ১০ আসনে মিত্রদের প্রার্থী ঘোষণা
- `কাট` বলার পরও থামেননি তারা: সিনেমার সেটে যৌন নিপীড়ন
- এনসিপিতে যোগ দিচ্ছেন মাহফুজ ও আসিফ?
- ইসলামে যে ১৪ নারীর সঙ্গে বিবাহ হারাম!
- আরবি মাসের নাম এবং তার অর্থ
- মদের বোতলে রাখা পানি পানের বিধান কী?
- জেনে নিন কোরআনে চুমু দেয়া কি জায়েজ?
- মোনাজাতে কান্না করলে কি গুনাহ হবে?
- নারীর গোপন ভিডিও বা ছবি নিয়ে ইসলাম যা বলে
- প্রাকৃতিক দুর্যোগে করণীয় আমল
- তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ
- মদিনা শরিফের ইমাম শায়খ আব্দুল কাদিরের ইন্তেকাল
- দ্বন্দ্বের অবসান, ফেব্রুয়ারিতে একসঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা
- যেভাবে কবর জিয়ারত করবেন
- মসজিদে নববীর আদর্শ ও আমাদের মসজিদ
- আজ খুলছে রাসূলুল্লাহ (সা.) রওজা মোবারক
- ঝুলন্ত মসজিদ হবে কাবার পাশে
- শরীরে ট্যাটু আঁকা হারাম
