বৃহস্পতিবার   ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৭ ১৪৩২   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২১১

হামাসের শীর্ষ সামরিক নেতা দেইফকে নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২১  

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ সামরিক নেতা মোহাম্মদ দেইফকে হন্যে হয়ে খুঁজছে দখলদার ইসরায়েলের সন্ত্রাসী খুনী বাহিনী।

আর সন্ত্রাসী ইসরায়েলের নজরদারিকে ফাঁকি দেয়ার ওপরই নির্ভর করে মোহাম্মদ দেইফের জীবন। ২০০০ সালের পরবর্তী কয়েক বছরে তাকে হত্যার জন্য ইসরায়েলিরা চার দফা চেষ্টা চালায়।

এর মধ্যে কয়েকটি হামলায় তিনি আহত হলেও পালাতে সক্ষম হন। ইসরায়েলের দাবি, তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, শরীরের কয়েকটি অঙ্গ উড়ে গেছে।

২০০৬ সালে ইসরায়েলের হামলায় মোহাম্মদ দেইফ যে গুরুতর আহত হন সেটা নিশ্চিত করে আইডিএফের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান বলেন, লোকে ভেবেছিল মোহাম্মদ দেইফ আর নেতা হিসেবে বা একজন সামরিক পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু খুব দ্রুতই তিনি সেরে ওঠেন।

ইসরায়েলের এসব হামলা ব্যর্থ হওয়ার পর মোহাম্মদ দেইফের খ্যাতি আরও বেড়ে যায়। তাকে তার শত্রুপক্ষ বর্ণনা করতে থাকে ‘নয়বারের জীবন পাওয়া বিড়াল’ বলে। ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সময় তার ওপর পঞ্চম হামলাটি চালানো হয়।

গাজার শেখ রাদওয়ান এলাকায় একটি বাড়ির ওপর দখলদার ইসরায়েলিরা বিমান হামলা চালায়। হামলায় মোহাম্মদ দেইফের স্ত্রী উইদাদ এবং তাদের শিশুপুত্র আলি নিহত হয়। ইসরায়েলিরা ভেবেছিল তারা মোহাম্মদ দেইফকেও হত্যা করতে পেরেছে। কিন্তু তিনি আসলে তখন সেই বাড়িতে ছিলেন না।

এই হামলার পরপরই হামাস জানিয়েছিল, মোহাম্মদ দেইফ এখনো বেঁচে আছেন এবং তিনিই হামাসের সামরিক অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোহাম্মদ দেইফ যে বারবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে ফাঁকি দিতে পারছেন তার কারণ তিনি আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারেই এড়িয়ে চলেন।

লেভিট নামে বিশেষজ্ঞ বলেন, যদি আপনি ফোন ব্যবহার না করেন, কম্পিউটার ব্যবহার না করেন, তাহলে আপনি কোথায় আছেন, সেই ধারণা পাওয়া আধুনিক গুপ্তচর সংস্থাগুলোর জন্য খুব কঠিন হবে।

এই বিভাগের আরো খবর