ডাকসু ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক কাঠামোয়, এখন অনেকটা কর্তৃপক্ষনির্ভর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ডাকসুর ভিপি ছিলেন।
সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচন নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জেসমিন পাপড়ি।
মাহমুদুর রহমান মান্না: ডাকসু মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হলেও এর প্রভাব সারাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে পড়ে। যদিও এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটি ইউনিয়ন, তবে দেশের ছাত্রসমাজ একে একটি গাইডলাইন হিসেবে দেখে। এ নির্বাচন ছাত্রদের রাজনৈতিক চর্চা, নেতৃত্ব গঠনের বড় প্ল্যাটফর্ম।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই বদলায়। আগে ডাকসু ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে। এখন সেটা অনেকটা কর্তৃপক্ষনির্ভর হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিরাজনীতিকরণ করার প্রবণতা দেখা যায়
মাহমুদুর রহমান মান্না: এবারের নির্বাচনে তেমন কোনো উৎসাহ বা ‘হাইপ’ তৈরি হয়েছে বলে মনে হয় না। আমাদের সময়, বা তার আগের সময়ও—যখন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রাশেদ খান মেনন, আ স ম আব্দুর রব নির্বাচন করেছেন তখন ডাকসু নির্বাচন ছিল অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ ও আলোচিত।
এখন তো স্বতন্ত্র, নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় গুপ্ত রেখে নির্বাচন করছে। এখন আর আগের মতো সেই হাইপ দেখছি না। তবে অনেক বছর পর ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে এটাই ইতিবাচক দিক। ডাকসু সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। সেই হিসেবে ফোকাস যা পাওয়ার কথা, সেই ফোকাসটা পাচ্ছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না: আমি দুবার ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। প্রতিবারই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ওবায়দুল কাদের।
আমার প্রথম নির্বাচনে আমার দল (জাসদ ছাত্রলীগ) পাশে ছিল, দ্বিতীয়বার ছিল না। কিন্তু তারপরও ডাকসু নির্বাচন তখন রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যদিও ২০২৪ সালের আন্দোলনে ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ছিল, তবে সামগ্রিকভাবে এখন আর ছাত্ররা আগের মতো আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে নেই
তখনকার ডাকসু নির্বাচন শুধু ক্যাম্পাসেই সীমাবদ্ধ ছিল না, দেশজুড়ে একটা আলোচনা, উৎসাহ তৈরি হতো। অথচ এখনকার ডাকসু নির্বাচন নিয়ে দেশের কোথাও তেমন কোনো উচ্ছ্বাস বা আলোড়ন দেখা যাচ্ছে না।
তখন সারাদেশের ছাত্রসমাজ এ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাতো। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছাত্রনেতারা এসে অংশ নিতেন। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতেন, এমনকি অভিভাবকরাও এতে যুক্ত থাকতেন। ছেলেমেয়েদের কাকে ভোট দেওয়া উচিত সে পরামর্শ দিতেন।
তখন বটতলা কিংবা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রসভা হতো, মিছিল হতো। প্রচারণা হতো রুমে রুমে, ক্লাসে ক্লাসে। নারীদের অংশগ্রহণও ছিল উল্লেখযোগ্য। এখন তো মিছিল-মিটিং নেই বললেই চলে।
মাহমুদুর রহমান মান্না: দেখুন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই বদলায়। আগে ডাকসু ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে। এখন সেটা অনেকটা কর্তৃপক্ষনির্ভর হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিরাজনীতিকরণ করার প্রবণতা দেখা যায়।
তবে এখনকার ছাত্রছাত্রীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞাননির্ভর। পুরো বিশ্বের জ্ঞান তাদের হাতের মুঠোয়। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে তারা গোছানো ও সচেতনভাবে কথা বলতে পারে। সাংস্কৃতিক দিক থেকেও তারা উন্নত।
যদিও তখনকার দিনে ডাকসু নির্বাচন ছিল রাজনৈতিকভাবে অনেক জমজমাট। কারণ, ডাকসু মূলত একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এটি বিখ্যাত হয়েছে—স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, শিক্ষা আন্দোলন, এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ নানা ঐতিহাসিক ঘটনার নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে। এ দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যত আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে, তার প্রায় সবকটিতেই ডাকসুর নেতারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
কিন্তু এখন সেই ভূমিকা আর দেখা যাচ্ছে না। ২০২৪ সালের আন্দোলনে ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ছিল, তবে সামগ্রিকভাবে এখন আর ছাত্ররা আগের মতো আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে নেই।
ডাকসু একা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত পরিবর্তন আনতে পারবে না। এটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সম্মিলিত দায়িত্ব
জাগো নিউজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গুণগত মান অনেকটাই নিম্নমুখী—এ কথা প্রায়শই শোনা যায়। আপনার কী মনে হয়, এ অবস্থার পরিবর্তনে ডাকসুর মতো একটি প্রতিষ্ঠান কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারে?
মাহমুদুর রহমান মান্না: ডাকসু একা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত পরিবর্তন আনতে পারবে না। এটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সম্মিলিত দায়িত্ব। কয়েক বছর ধরে আমরা দেখেছি—দলীয়করণ, অতিমাত্রায় পাস করানো, গবেষণায় বরাদ্দ কমে যাওয়া, শিক্ষক নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব—এসব শিক্ষার মান ধ্বংস করেছে। এছাড়া হলে ‘গেস্টরুম কালচার’ এবং বুলিং সংস্কৃতি শিক্ষার পরিবেশকে আরও খারাপ করেছে।
এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে হলে ডাকসুসহ সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না: গত ১৫ বছর ছাত্রলীগ ডাকসুর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। কিন্তু তারা কী পরিবর্তন আনতে পেরেছে? বাস্তবতা বলছে—তেমন কোনো গুণগত উন্নয়ন হয়নি। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ছাত্রশিবির ২০২৪ সালের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, তাই তারা আলোচনায় এসেছে। তবে কারা নেতৃত্বে আসবে, সেটা শিক্ষার্থীদের বিচক্ষণতার ওপর নির্ভর করে। তারা যেন চিন্তা-ভাবনা করে, দেশের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ বিবেচনায় ভোট দেয়।
- আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে দুর্গতদের জন্য পোশাক পাঠালো বিজিএমইএ
- যুদ্ধ থামাতে গাজায় ‘নিরপেক্ষ প্রশাসন’ গঠনের প্রস্তাব ফিলিস্তিনি
- হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারির পদক্ষেপ নিতে দুদকের চিঠি
- মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না
- ডাকসু ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক কাঠামোয়, এখন অনেকটা কর্তৃপক্ষনির্ভর
- শেখ হাসিনা কিছু খুদে স্বৈরাচার রেখে গেছেন: আমীর খসরু
- ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সাইবার অপরাধে ছাড় নেই: রিটার্নিং অফিস
- অর্থনীতিতে গতি আনতে শতাধিক পণ্যে কর কমানোর ঘোষণা ভারতের
- তীব্র বোমাবর্ষণে গাজায় নিহত আরও ৭৩, নিশ্চিহ্ন পুরো পরিবার
- নির্বাচনী প্রচার-ভোটের দিন ড্রোন ব্যবহার নয়, এআই ব্যবহারে কড়াকড়ি
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরের খালাসের রায় আপিলেও বহাল
- দুমকিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়াতে ইনবক্সে মেসেজ, গুলশান পুলিশের নম্বর দিলেন প
- ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই
- ফের ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ভারতের মাটিতে জুনিয়র হকি বিশ্বকাপও খেলবে না পাকিস্তান
- জিনপিংয়ের ‘অ্যান্টি-আমেরিকা পার্টি’র ভবিষ্যৎ কী?
- মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- পাকিস্তান কেন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী?
- নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ, স্পষ্ট করলো ইসি
- ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি আজ
- নির্বাচনের পর কোনো শিবিরের বাচ্চাকে রাজনীতি করতে দেবো না
- বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন
- জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বৈশ্বিক ঐক্য জরুরি: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
- ডাকসুর প্রার্থীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকির ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন
- আওয়ামী স্বেচ্ছাতন্ত্রের অন্যতম সহযোগী ছিল জাতীয় পার্টি: রিজভী
- ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে বেলজিয়াম
- বিকেলে ৭ দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল প্রশ্নে রায় ঘোষণা শুরু
- শুভশ্রীর সম্মানহানি হোক চাই না, ‘দুই বাচ্চার মা’ প্রসঙ্গে দেব
- চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন ড. মোশাররফ
- প্রধান উপদেষ্টাকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের
- কাকরাইলে সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে যা জানাল সেনাবাহিনী
- ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে বেলজিয়াম
- মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বাবা মকবুল
- মধ্যনগরে ওয়ার্ড বিএনপির পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ
- পিরোজপুর-২ ধানের শীষ প্রার্থী আহম্মদ সোহেলের ঢাকায় মতবিনিময় সভা
- বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বিকেলে
- গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
- জ্বরের পর কাশি কমাতে ঘরোয়া কয়েকটি উপায়
- বিআইডব্লিউটিএ টেন্ডারে অনিয়ম, পছন্দের প্রতিষ্ঠানে স্থগিতাদেশ
- সাত বছর পর চীনে মোদি
- জিয়া পরিবারের ত্যাগেই দেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা
- স্নায়ুচাপে ভুগছে বিএনপি
- আবারও ছোট পর্দায় ফিরছেন মধুমিতা
- ৩০ নভেম্বর প্রকাশ হচ্ছে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা
- সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৪
- রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে ফের আপিল শুনবেন সর্বোচ্চ আদালত
- ‘উনিই আমার পায়ে ৪ আগস্ট গুলি করেছে, উনাকে আমি ছাড়ব না’
- জবি ভিসির সিদ্ধান্তে বিপাকে শিক্ষার্থীরা
- জবির বাসে করে ঈদে বাড়ি ফিরবে শিক্ষার্থীরাঃ উপাচার্য
- ঢাবি ক ও চ ইউনিট পাস ১৩.০৫ ও ২.৫০ শতাংশ
- এবারও আতিথিয়তায় ভাসবে নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুরা
- বাহিরের খাতা কিনে পরীক্ষা দিচ্ছে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা
- কবি নজরুল সরকারি কলেজে বিআরটিসি বাস উদ্বোধন
- নিয়োগে বাধা নেই ভিকারুননিসার নতুন অধ্যক্ষ ফওজিয়ার
- বিনামূল্যে কোর্স করার সুযোগ দিচ্ছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- যেভাবে মার্কশীটসহ এইচএসসি`র ফল জানবেন
- জবিতে র্যাগিং বিড়ম্বনায় ইতিহাস বিভাগের পাঠদান স্থগিত
- সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় ৬৫ শতাংশ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেহ ব্যবসা!
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লুঙ্গি মিছিল
- জবিতে স্বশরীরে ক্লাস নিতে অনিচ্ছুক শিক্ষকেরা
- বিশ্বসেরা ২১ জন গবেষকের তালিকায় জবি শিক্ষক