বৃহস্পতিবার   ০৫ জুন ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ২১ ১৪৩২   ০৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৮০

হবিগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আলোচনা সভা

এস এম খোকন

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫  

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বানিয়াচং কামালখানী হাসান মঞ্জিলে দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন।

 

বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তফা আল হাদীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহির হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মনজুর উদ্দিন আহমদ শাহীন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এনামুল হক, সাবেক উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও ব্যবসায়ী নেতা আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান, উপজেলা বিএনপি নেতা মুজিবুল হোসেন মারুফ, বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বকুল, উপজেলা বিএনপি নেতা নকিব ফজলে রকিব মাখন, জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমদ, জেলা জাসাসের আহবায়ক মিজানুর রহমান, উপজেলা উলামা দলের সভাপতি মতিউর রহমান প্রমুখ। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলাসহ, বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহন কারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন ১৭ বছর বিএনপি ও সমমনা দলগুলো মাঠ প্রস্তুত করে রেখেছে বলেই আপনারা গোল করতে পেরেছেন। মনে রাখবেন আপনাদের সঙ্গে আমাদের বিএনপি, সমমনাদলসহ সকল অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ মাঠে ছিল। সকলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলেই শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন, বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ বারা বার বলার পরে ও বিদেশে যেতে দেয়নি শৈরাচার হাসিনার সরকার।

 

হাসিনার ইচ্ছা ছিল বেগম খালেদা জিয়া যেনো জেলের ভিতরেই মৃত্যু বরণ করেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে যখন শৈরাচার সরকার জেলে পাঠিয়ে ছিল তখন তিনি পায়ে হেটে গিয়ে ছিলন। কিন্তু বের হলেন হুইল চেয়ারে করে। শৈরাচার পতনের আন্দোলনে বানিয়াচংয়ে ৯ জনসহ সারাদেশে হাজারেরও অধিক নিরপরাধ লোক শহীদ হয়েছেন। এবং আহত হয়েছেন অন্তত কয়েক হাজার। এরমধ্যে ৪শ ২২জন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ শহীদ হয়েছেন। হামলা মামলার ভয় না পেয়ে আন্দোলন সংগ্রামে উপস্থিত ছিলাম বলেই শৈরাচার হাসিনাকে শেষ পর্যন্ত দেশ থেকে চোরের মতো পালিয়ে যেতে হলো। গনতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশী কষ্ট করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইউএনও ও ওসি দাওয়াত দিলেই নেতাকর্মীরা গলে যান।

 

ওরা কারা ওরা শৈরাচারের দোসর। ওদের কাছে কোন তদবীরে না যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন সংস্কার সংস্কার করে সময় কর্তন করবেন না। দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। পরে দোয়াও তবারক বিতরনের মধ্যদিয়ে উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সমাপ্ত হয়।

এই বিভাগের আরো খবর