রোববার   ২৬ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ১১ ১৪৩২   ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৬

শ্রীপুরে মাদ্রাসা পড়ুয়া ১০ বছরের শিশু শামীমের লালসার শিকার

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৫  

গাজীপুর প্রতিনিধি:গাজীপুরের শ্রীপুরে ১০ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মো.জালাল (৪০) বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের মাধখলা এলাকার বাসিন্দা কাদিরের ছেলে  শামীম(৩০)গত(২২অক্টোবর)সকালে শিশুটিকে চকলেটের দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে জনৈক ফজলুর রহমানের নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের নিচতলায় নিয়ে যায়,এ সময় শামীম শিশুটির পোশাক খুলে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং পরবর্তীতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে পুরো ঘটনা তার বাবাকে জানায়।

ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বলেন,আমি পেশায় একজন রিকশা চালক,সারাদিন রিকশা চালাই,বাসায় থাকি না।

আমার স্ত্রী গার্মেন্টস শ্রমিক।আমি শামীমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই,এমন ঘটনা যেন আর কোনো মেয়ের জীবনে না ঘটে।এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ,শামীম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নারীদের সাথে হয়রানি ও নানা অপকর্মে লিপ্ত।

তার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন একাধিক নারী,এমনকি তার আপন ভাগ্নিও।স্থানীয়রা আরও জানান,সরকার পরিবর্তনের পর শামীম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় চলে আসেন।এতে করে একের পর এক অপরাধ করেও তিনি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পার পেয়ে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার বেপারীর বলেন,আমি সবসময় অপরাধীদের বিরুদ্ধে।

শামীম আমার কর্মী হলেও যদি সে অপরাধ করে থাকে,তার অবশ্যই আইনি বিচার হওয়া উচিত।অভিযুক্তের বাবা আব্দুল কাদির বলেন, ইতিপূর্বে কিছু ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছিল,আমি সামাজিকভাবে বিচার করেছি।তবে এবার যদি আমার ছেলে সত্যিই অপরাধ করে থাকে,আমি নিজেই তার শাস্তি চাই।

পরিবার থেকে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করে পরদিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মুহাম্মদ  আব্দুল বারিক পিপিএম বলেন,ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯(১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক(এসআই) সাখাওয়াত হোসেন সাদ্দাম বলেন,শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।স্থানীয় লোকজন জানান,ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।তাঁরা দ্রুত আসামির গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর