সোমবার   ১২ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২   ১৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৯৬

মা-বাবা-বোনকে হত্যার পর ৯৯৯-এ নিজেই ফোন দেন মেহজাবিন

স্টাফ রিপোর্টার, শান্ত কবির

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২১  

রাজধানীর কদমতলীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও ছোট বোনকে হত্যার ঘটনায় মেহজাবিন মুনকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। বাবা, মা ও বোনকে হত্যার পর ৯৯৯-এ ফোন দেন ঘাতক মেহজাবিন। এরপর পুলিশকে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। অন্যথায় স্বামী ও সন্তানকেও মেরে ফেলার হুমকি দেন। পুলিশ বলছে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন মেহজাবীন মুন। মা-বাবাসহ ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দেন তিনি নিজেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে। আটক মেহজাবিন থাকেন আলাদা বাসায়। মায়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।

নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং তাদের মেয়ে জান্নাতুল (২০)। শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ  এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, কদমতলীর মুরাদপুর এলাকায় একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় একজনকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষ ও নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।
 
এসআই বলেন, নিহতের বড় মেয়ে মেহজাবিন সকালে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানান, তিনি তার মা, বাবা ও ছোট বোনকে হত্যা করেছেন। আপনারা আসেন। এসে আমাকে ধরে নিয়ে যান।

সূত্রে জানা যায়, গত দুদিন আগে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেহজাবিন। এসেই তার ছোট বোন জান্নাতুলের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া রয়েছে বলে বাবা-মাকে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তার জেরেই হয়তো তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এছাড়া প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সম্পত্তি নিয়েও পরিবারের সঙ্গে বিরোধ ছিল মেহজাবিনের। সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য বাবা-মাকে অনেক চাপ দিতেন তিনি। এ নিয়ে এর আগে বৈঠক শালিসও হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে।

কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, সকালে আমরা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। আমরা মরদেহগুলো হাত পা-বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। মাসুদ রানার বড় মেয়ে (মেহজাবিন) তাদের হত্যা করেছে। তাকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর