নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে যেকোনো স্থানে ‘সাঁতাও’ প্রদর্শনী

গণঅর্থায়নে খন্দকার সুমন নির্মাণ করেছেন ‘সাঁতাও’ সিনেমাটি। এটি সারাদেশে ২৭ জানুয়ারি ৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটির দর্শক চাহিদা থাকলেও সিনেমা হল মালিকরা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ‘সাঁতাও’ তাদের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের জন্য নিচ্ছেন না- বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে সিনেমাটির পরিচালক এমনটাই দাবি করেছেন।

এবার ‘সাঁতাও’ সিনেমার নির্মাতা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, পাড়া-মহল্লা, অফিস-আদালত, বাসা-বাড়ি, স্কুল, কলেজে এবং মাদ্রাসায় গিয়ে ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী করা হবে। তবে যে প্রতিষ্ঠানে বা স্থানে এটি প্রদর্শন করা হবে সেই প্রতিষ্ঠানকে বা স্থানের কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণে ফি দিতে হবে। কিন্তু অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না। কেউ তার সঙ্গে সিনেমা প্রদর্শনের জন্য যোগাযোগ করলে এ ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হবে।
নির্মাতা সুমন খন্দকার সিনেমাটি মাদ্রাসায়ও দেখাতে চান। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে এ জন্য কোনো ফি দিতে হবে না। শুধু সিনেমা প্রদর্শনের টিমকে এক বেলা খেতে দিতে হবে।
স্ট্যাটাসের সঙ্গে মুঠোফোন নাম্বার দিয়ে নির্মাতা খন্দকার সুমন আরও লিখেছেন, আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিগণ আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

 নির্মাতা খন্দকার সুমন বলেন, ‘সাঁতাও’ সিনেমাটি দর্শক দেখতে চাইছে। কিন্তু সাধারণ সিনেমা হলে পরিবেশ নেই বললেই চলে। এসব বিষয় চিন্তা করে সিনেমা হলে আর দিতে চাই না। তবে ভালো সিনেমা হলে ‘সাঁতাও’ মুক্তি দিতে চাই।

হাওয়া পরাণে পর ‘সাঁতাও’ সিনেমা ভালো ব্যবসা করে দাবি করেন নির্মাতা খন্দকার সুমন। তিনি বলেন, ‘হাওয়া’ ও ‘পরাণ’ বাণিজ্যকভাবে ব্যবসা করেছে। তারপর আর কোনো সিনেমা ব্যবসা করেনি বললেই চলে। সেই হিসেবে ‘সাঁতাও’ ভালো ব্যবসা করেছে। সামনে আরও ব্যবসা করবে বলে আশা করছি। আমাদের সিনেমাটা দর্শক চাহিদা আছে। সেই কারণে নতুন কয়েকটা টিম গঠন করেছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে দেখাবো।

‘সাঁতাও’ সিনেমার গল্প কৃষকদের সংগ্রামী জীবন এবং প্রান্তিক পটভূমি থেকে নারীদের সর্বজনীন সংগ্রামকে কেন্দ্র করে। পরিচালনার পাশাপাশি খন্দকার সুমন ‘সাঁতাও’ সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন। সিনেমাটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন আইনুন পুতুল ও ফজলুল হক। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন সাবেরা ইয়াসমিন, তশমিতা শিমু, মিতু সরকার প্রমুখ।