বুধবার   ১২ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৭ ১৪৩২   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৪৮

দিনাজপুরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পিঠা উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩  

নতুন বছর শীতকে বরণ করে স্কুল শুরু হয়েছে। হাতেখড়ি শিখতে সবেমাত্র স্কুলের বারান্দায় পা দিয়েছে এমন কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাহারি পিঠাপুলির সঙ্গে পরিচিত করাতে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার ট্যালেন্ট প্রি-ক্যাডেট স্কুলে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। পিঠার স্বাদ নেয়ার পাশাপাশি মন মাতানো সংগীত ও নৃত্যের ছন্দে নেচেছে কোমলমতি শিশুরা।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ট্যালেন্ট প্রি-ক্যাডেট স্কুলে পিঠা উৎসবের খণ্ডচিত্র। (ছবি: সময় সংবাদ)

সরেজমিনে দেখা যায়, পৃথক পৃথক বুথে নানা রকম পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে রাখা আছে। এর মধ্যে কতিপয় পিঠা একেবারেই নতুন আবার কিছু অতিপরিচিত। প্রতিটা পিঠার ওপরে লেখা আছে পরিচিতি নাম। এসব পিঠার নামও বেশ বাহারি। শিশুরা বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরে দেখছেন স্টল। জানছেন নতুন নতুন পিঠা সম্পর্কে। স্কুলের আরেক পাশে চলছে নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন। সেখানে স্কুলের কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরাই দেখাচ্ছেন নৃত্য, শোনাচ্ছেন মত মাতানো গান। পুরো স্কুল মাঠ রূপ নিয়েছে অনিন্দ্য মিলনমেলায়। মেলায় ৮টি পৃথক স্টলে ছিল ভাপাপুলি, দুধপুলি, আওলা কেশরি, পুলি, ঝিনুক, পাটিসাপটা, জামাই সোহাগী, গোলাপ, চিতই, কানমুচরি, পায়েস, পুডিং, তেল পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, ক্ষির, মুঠা পিঠা, রস গোলাপ ও কেকসহ অর্ধশতাধিক পিঠাপুলি।

জানা-অজানা পিঠার সম্পর্কে জানতে পেরে এবং স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। পিঠা উৎসবে আনন্দে মেতে থাকা পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী  তানসিম বলেন, এখানে এসে আমরা অনেক আনন্দ পাচ্ছি। অনেক রকম পিঠা খেতে পারছি। আমাদের অনেক ভালো লাগছে। জান্নাত আক্তার নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের স্কুলে এই প্রথম এত সুন্দর একটা আয়োজন করেছে। এখানে অনেক রকম পিঠার সঙ্গে পরিচিত হলাম। নতুন নতুন পিঠা খেলাম। অনেক ভালো লাগছে।

করোনার ধকল ও শীতের প্রভাব কাটিয়ে এমন ব্যতিক্রম আয়োজনে খুশি অভিভাবক ও স্থানীয়রা। তাদের চাওয়া প্রতি বছরই যেন এমন আয়োজন করা হয়। হাবিবুর রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, এমন আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সন্তানরা হারিয়ে যাওয়া অনেক পিঠা সম্পর্কে জানতে পারবে।  হাবিবা আক্তার বন্যা নামে এক অভিভাবক বলেন, সন্তানদেরকে নিয়ে এসেছি। তারা অনেক আনন্দ করছে। দেখে অনেক ভালো লাগছে।

এদিকে আগামীতেও এমন আয়োজন করার আশ্বাস ট্যালেন্ট প্রি-ক্যাডেট স্কুল কর্তৃপক্ষের। স্কুলটির সহকারী প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, এত লোকের সমাগম হবে ভাবতেই পারিনি। এই আয়োজনে আমাদের স্কুল মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরো খবর