রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৭ ১৪৩২   ০১ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৮৯

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অভিশাপ’ আর নেই

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২১  

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়কার অভিশাপ সেশনজট এখন আর নেই। ইমেজ সংকটও নেই। কিছুদিন পূর্বেও এটিকে শিক্ষাবোর্ড হিসেবে দেখা হতো।

আজ সোমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে উপাচার্য হিসেবে দুই মেয়াদ পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি গত ৮ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সাফল্য ও অগ্রগতি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ম-নীতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে এসে “দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন” এ নীতি অনুসরণ এবং নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে “শিক্ষা বোর্ডের” ইমেজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সমর্থ্য হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে, তা অব্যাহত রাখতে হবে।’

সব ধরনের সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ একটি আইটিভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়। শতকরা ৯৫ ভাগ কর্মকাণ্ড অনলাইনের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়ে থাকে। একই সঙ্গে প্রশাসন ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি এক একর ভূমির ওপর ৩টি নিজস্ব স্থায়ী আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। সারা দেশে অঞ্চলভিত্তিক আরও ছয়টি স্থায়ী আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। ক্যাম্পাসে পূর্বে কারও জন্য কোনো আবাসনের ব্যবস্থা ছিল না। এখন ১০ তলা ভিত্তি দিয়ে ৬ তলা বিশিষ্ট দুটি ভবন (একটি কর্মকর্তা ও একটি জরুরি সার্ভিসে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য)-সহ পাঁচটি ভবন নির্মিত হচ্ছে।’

অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, ‘প্রথম দুটি ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ ছাড়াও নতুন-নতুন একাডেমিক কোর্স প্রবর্তন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কলেজসমূহ প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী ও টেকনিক্যাল বিষয়ে শর্টকোর্স বা ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম চালুর কথা আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সততা, নিষ্ঠা আর ঐকান্তিকতার কমতি ছিল না উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘জীবনের শ্রেষ্ঠ ৮টি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়েছি। দ্বিতীয় টার্মেরও একেবারে দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি। আজ থেকে তিনদিন পর অর্থাৎ ৪ মার্চ আমার শেষ কর্ম-দিবস। এতদসত্ত্বেও আমি খুশি মনেই এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিচ্ছি। আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ-অনুযোগ নেই। আমি যে-কোনো পরিস্থিতিতে একজন পরিতৃপ্ত মানুষ।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য মুনাজ আহমেদ নূর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. মশিউর রহমান, স্নাতকপূর্ব স্কুলের ডিন অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক ফয়জুল করিমসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা।

এই বিভাগের আরো খবর