শনিবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ৫ ১৪৩২   ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৩

গুম হওয়ার আগেই শেখ পরিবারের সতর্কতা পেয়েছিলেন ব্যারিস্টার আরমান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫  

ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান তার গুম ও মুক্তি পরবর্তী জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রকাশিত স্মৃতিকথায় দাবি করেছেন, তাকে গুম করার তথ্য গুম হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে তিনটি উচ্চপর্যায়ের উৎস থেকে আগেই জানানো হয়েছিল।

আরমানের বর্ণনা অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট তিনি তার বাবা মীর কাশেম আলীর সঙ্গে শেষবার দেখা করেন। তিনদিন পর, ৯ আগস্ট, তাকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। গুম হওয়ার আগের সতর্কবার্তা প্রথম আসে শেখ পরিবারের একজন সদস্য থেকে, যিনি তাকে দ্রুত দেশ ছাড়ার পরামর্শ দেন। এরপর বিএনপির একজন শীর্ষ নেতার ছেলে এবং অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা জেনারেলও একই ধরনের সতর্কবার্তা দেন।

তবুও, আরমান বাবার নির্দেশে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে দেশে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি লিখেছেন, বাবার সঙ্গে থাকার দায়িত্ব ও পারিবারিক কর্তব্যই তার প্রধান কারণ ছিল।


 

আরমানকে অপহরণের পর দীর্ঘ আট বছর গোপন বন্দিত্বে রাখা হয়, যা স্থানীয় মিডিয়ায় ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিত। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি মুক্ত হন। এই সময়কাল তার জীবন ও পরিবারিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।


 

বইতে আরমান লিখেছেন, তিনটি উচ্চপর্যায়ের সতর্কবার্তা পাওয়ার পরও বাবার নির্দেশ ও পরিবারের জন্য দায়িত্ববোধের কারণে তিনি দেশে থেকে বাবার পাশে থাকেন। ফাঁসির রায়ের পর তার পরিবারের সাথে দেখা সীমিত হলেও, আইনজীবী হিসেবে নিয়মিত সাক্ষাতের সুযোগ তিনি ব্যবহার করেছেন।


 

আয়নাঘরের সাক্ষী: গুম জীবনের আট বছর শিরোনামের বইটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এটি মিডিয়া এবং পাঠকের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়েছে। গুম এবং জোরপূর্বক নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আরমানের স্মৃতিকথা বাংলাদেশের গুম-এলাপস ও ব্যক্তিগত সাহসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর