সোমবার   ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ২৪ ১৪৩২   ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৩

গাজীপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নজরুল ইসলাম,গাজীপুর উত্তর

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫  

গাজীপুরে বন বিভাগের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবিদ হোসেন বাবুলকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।

 

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি বাবুল মেম্বারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

 

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য আবিদ হোসেন বাবুল বলেন, গত কয়েক দিনে একটি সংগঠিত চক্র তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে জনমত বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় থানায় ভিত্তিহীন অভিযোগও দায়ের করেছে।

 

তিনি আরও বলেন, ৫ই আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে চক্রটি তাঁকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিকভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ওই চক্র জাল দলিল তৈরি করে ঢাকার এক ব্যক্তির কাছে বন বিভাগের জমি বিক্রি করে প্রতারণা করেছে বলেও দাবি করেন তিনি। পরে জানা যায়, জমিটি বহু আগেই বন বিভাগের নামে রেকর্ডভুক্ত ছিল এবং সেখানে পরিবেশ সংরক্ষণের অংশ হিসেবে চারা রোপণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জমির ক্রেতাও প্রতারণার শিকার হন।

 

বাবুল মেম্বারের অভিযোগ, আগস্টের ঘটনার পর চক্রটি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় নাজিম উদ্দিন ও তার ছেলে ইব্রাহিম তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।

 

তিনি বলেন, তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য, উদ্দেশ্যমূলক এবং পরিকল্পিত। আমি সবসময় সত্য ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোনো অপপ্রচারে আমি ভীত নই। বন বিভাগের জমিতে বেড়া দিয়েছে বন বিভাগই। অথচ নাজিম উদ্দিন ও তার ছেলে ইব্রাহিম একটি টিভি চ্যানেলে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

এদিকে ঢাকা বন বিভাগের ভাওয়াল রেঞ্জের আওতাধীন ভবানীপুর বিট কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন জানান,এসএ রেকর্ড ভুক্ত ১৪৩৩ নং দাগের এই জায়গায় ২০২৩ সালের জুন মাসে বাগান গাছ সৃজন করা হয়। কিন্তু ইব্রাহিম সেই বাগান গাছ তুলে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে তার বিরুদ্ধে বন আইনে একটি মামলা দায়ের করা আছে।বর্তমানে সেখানে বনের জায়গা চিহ্নিত করে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হচ্ছে।

 

এই বিভাগের আরো খবর