বুধবার   ১২ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৮ ১৪৩২   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৯১

একজন গর্বিত সহকারী পুলিশ আদর্শবান পরিদর্শক পদোন্নতি

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩  

গোলাম মহাম্মদ।একটি নাম, একটি আদর্শ। পুলিশ বাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য। যাকে ঘিরে অহংকার করার মত অনেক সফলতার গল্প বলা যায়। পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ এই মূলমন্ত্রকে বুকে ধারন ও লালন করে এগিয়ে চলা মানুষটি আজ পদোন্নতি পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার।

সম্প্রতি মেহেরপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ রাফিউল আলম তার কার্যালয়ে পদোন্নতির প্রতীক সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ব্যাজ পরিয়ে দেন।
গোলাম মহাম্মদ চাকরীর সুবাদে বর্তমানে মেহেরপুর জেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।দেখতে দেখতে অনেকগুলো বছর হয়ে গেল গোলাম মহাম্মদের চাকরীর বয়স।তিনি শুধু চাকরী করেন না। বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে বাহিনী প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করে বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল। সেই বাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য হিসাবে চাকরী করে জনগণের সেবক হিসাবে কাজ করতে পেরে গর্ব অনুভব করেন। কাজ পাগল এই মানুষটি মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ও বর্তমান পুলিশ সুপার রাফিউল আলমের একান্ত আস্থাভাজন হয়ে নজর কেড়েছেন।
তিনি মেহেরপুর কোর্ট পুলিশের একজন আ্ধসঢ়;ইডল,অহংকার। কাজ ছাড়া তিনি কিছুই বুঝতে পারেন না। মেধা, মননে,দক্ষতা,দায়িত্ব, সৃজনশীলতায় স্বচ্ছতা, 
জবাবদিহিতায় যিনি অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। কোর্ট পুলিশের উপ পরিদর্শক ও সদস্যদের অনেকেই জানিয়েছেন , আমাদের স্যার খুব ভাল মানুষ।
সরাসরি কথা হলো সেই মানুষটি গোলাম মহাম্মদের সাথে। সদাহাস্য পদোন্নতি পাওয়া এই মানুষটি জানালেন, আমি চাই কাজের মধ্যে বেঁচে থাকতে। 
কাজ করতে করতে আমার মনে হয়েছে আমি কিছু রেখে যেতে চাই। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী ও ২ সন্তান ( ছেলে-মেয়ে) নিয়ে ভাল আছেন।
সেই বিবেকের তাড়না থেকে নিজের ইচ্ছায়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও খরচে তিনি অফিসের সকলের সহযোগিতায় এক নজরে ২০২০ ইং সালের খাতওয়ারী মামলার বিবরণী, 
গ্রেফতারী পরোয়ানার হিসাব বিবরণী কোর্ট মালখানায় মূলতবী আলামতের হিসাবসহ নানা তথ্য সম্বলিত বোর্ড অফিসের প্রবেশ পথে টাঙ্গিয়ে রেখেছিলেন। 
তথ্যানুযায়ী জানা গেছে, ২০২০ সালে গাংনী

থানার খাতওয়ারী মামলা বিবরণীতে খুন-৭, ডাকাতি-০, মাদক-১২৫, চুরি-৯, সিধেল চুরি-১, চুরির চেষ্টা- ৬, নারী ও শিশু নির্যাতন -১৯, নারী ও শিশু খুন-
১, ধর্ষন-১৮, অপহরণ ও চাঁদাবাজি-৩, জুয়া আইন-৫, সড়ক আইন-২, পর্ণগ্রাফী আইন-১,গুদাম ঘরে আগুন-১,সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২, জাল
নোট-১, আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক অপরাধ-১ ,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-১, অন্যান্য-৯৭ টি সর্বমোট ৩০৮ টি মামলা ছিল। তিনি আরও বলেন,
পর্যায়ক্রমে আমি বিগত বছরের খাতওয়ারী মামলার বিবরণীর তালিকার ভলিওম আকারে করবো। তিনি আশাবাদ বক্ত কওে বলেন আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব
যথাযথভাবে পালন করবো।সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। 

এই বিভাগের আরো খবর