বিলুপ্তির পথে লাকসামের ঐতিহ্যবাহী তৈলের কল
লাকসাম, কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২৫
					
				কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্জলের বানিজ্যিক নগরী খ্যাত ধন-দৌলত ও অর্থনৈতিক শহর হিসেবে খ্যাত লাকসাম উপজেলার ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ‘দৌলতগঞ্জ বাজার’। দৌলত এবং গঞ্জ শব্দ দু’টির সমন্বয়ে গঠিত ‘দৌলতগঞ্জ’।
প্রচলিত অর্থে ধন-দৌলতে ভরপুর থাকায় এ বাজারের নামকরণ করা হয় ‘দৌলতগঞ্জ’। লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের ঐতিহ্যের অন্যতম আর্থিক ধারক-বাহক ছিলো তৈল কল। একটা সময় সরিষার খৈল মাছের ঘের, পানের বরজ ও বিভিন্ন ¶েতে ব্যবহার করা হতো। সে সময় সরিষার তেলের বিকল্প যেন আর কিছুই ছিল না, যার শতবছরের ঐতিহ্য বর্তমানে বিলুলিÍর পথে।
জানা যায়, বিংশ শতাব্দীতে লাকসামের এক শ্রেণির মানুষের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম মাধ্যম ছিল ‘তেলের মিল বা তেল কল’। তেল, খৈল উৎপাদন ও বিক্রির মাধ্যমে মিলের মালিকরা যেমনি লাভবান হতেন, তেমনিভাবে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন কর্মরত শ্রমিকরাও।
দীঘ্র দিনের ঘানি শিল্পের বিলুপ্তির পর যন্ত্রে চালিত তেল-কলকেই উপার্জনের হাতিয়ার ভাবতেন তারা। স্বাধীনতার একাত্তর পরবর্তীতে খাতুন অয়েল মিল, বাংলাদেশ অয়েল মিল, সুসেন অয়েল মিল, বলাকা অয়েল মিল, বেগম অয়েল মিল, শাহা অয়েল মিল, পিসি অয়েল মিল. ডিজি অয়েল মিলসহ প্রায় অর্ধশত তেলের মিল সচল ছিলো দৌলতগঞ্জ বাজারে। আর এতদাঞ্চলের গৃহস্থরা খাঁটি সরিষার তেল শরিরে ব্যবহার, তরি-তরকারিসহ সব ধরণের রান্নার কাজ করতো।
এক কথায় সরিষার তেল ছাড়া সে সময় রান্না-বান্নাতে যেন গৃহিনীরা আর অন্যকিছু চিন্তাই করতো না। লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের অভ্যন্তরে ৩৬টির মধ্যে বর্তমানে মেসার্স বাবুল অয়েল মিল, দি নিউ ইউনাইটেড অয়েল মিল, কোহিনুর অয়েল মিল, ন্যাশনাল অয়েল মিল, পুতুল অয়েল মিল, জুবলী অয়েল মিলসহ হাতেগোনা কয়েকটি তেলের মিলের দেখা মেলে।
সরিষার দাম বৃদ্ধি, বাজারে কম দামের ভেজাল তেল, শ্রমিক সংকটসহ নানান সমস্যায় এসব কলগুলো বন্ধ হয়ে বর্তমানে ৫/৬টিতে এসে দাড়িয়েছে। ভোক্তাদের ভোজ্য তেলের তালিকায় এখন আর সরিষার তেল নেই।
এক সময়ের (আঞ্চলিক ভাষায় ‘ভালা তেল’) খ্যাত সরিষার তেল এখন কেবলই ত্বকের যত্নে নামমাত্র ব্যবহার হচ্ছে। যখন থেকে সরিষার তেলের প্রতি এ অঞ্চলের মানুষদের আসক্তি কমতে শুরু করেছে, তখন থেকেই এক এক করে তেল কলগুলো বন্ধ হচ্ছে।
মিল মালিকরা জানান, স্বল্পমূল্যের পাম-সয়াবিন তেলে বাজার সয়লাব হওয়ায় এ অঞ্চলের ভোক্তাদের ভোজ্যতেলের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে সরিষার তেল। এক সময়ের নিত্যব্যবহার্য সরিষার তেল এখন ভর্তা, সালাদ, চাটনি, মোরব্বাসহ মুখরোচক কয়েকটি খাবার তৈরিতে বিশেষ উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হয়।
আবার কেউ কেউ কেবল ত্বকের যত্নে নামে মাত্র ব্যবহার করে। সরিষার তেলের প্রতি ভোক্তাদের অনাসক্তিকেই মিল বিলুপ্তির মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন এখানকার তৈল কল মালিকরা।
সরিষার আবাদ কমে যাওয়ায় এবং সরিষার দাম বেশি হওয়ায় তেলের দামও বেশি। পাশাপাশি অভিজ্ঞ-শ্রমিক সংকটকেও দায়ী করেন তারা। প্রশ্ন হচ্ছে ‘কেমন চলছে মিল? এমন প্রশ্নের জবাবে মিল মালিকদের সরল উত্তর ‘ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি’। দৌলতগঞ্জ বাজারের একাধিক মিল মালিকের মতে, বর্তমানের সচল মিলগুলো কেবলই তাদের পূর্বপুরুষদের পেশাগত এতিহ্যের নীরব বাহক।
সারা বছর লোকসানের হিসাব গুনে বছর শেষে মোটা অংকের বাংকের সুদ ও করের বোঝা বহন করতে হয় তাদের। নিজেদের মিলের মালিক দাবী করতেও অনীহা প্রকাশ করেন কয়েকজন। তাদের বক্তব্য, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি পূর্ব পুরুষের রেখে যাওয়া ঐতিহ্যের পাহারা দিচ্ছেন তারা। বংশানুক্রমে এ পেশার সাথে আগামী প্রজন্মের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তারা সন্দীহান।
মেসার্স জুবলি অয়েল মিলের মালিক সিরাজুল হক বলেন, একসময়ে লাকসামে ছোট বড় ৩৬টি তৈলের মিল ছিল। যাতে দিবারাত্রি উৎপাদন অব্যাহত থাকতো। বর্তমানে ৫/৬ টি তৈলের মিল আংশিক উৎপাদন চালু রাখলেও তাদেরও চলার গতি জরাজীর্ণ।
তৈল কল শিল্প ধ্বংসের পেছনে রয়েছে দোকানিরা অধিক মুনাফার লোভে মানব দেহের জন্য ¶তিকর ভেজাল তৈল বিক্রিতে আগ্রহী। আবার এসব ¶ুদ্র শিল্পগুলো পরিচালনা করতে সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে ৮/১০ টি লাইসেন্স সংগ্রহ এবং তা নবায়ন প্রক্রিয়া অব্যহত রাখতে হয়।
যা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের জন্য ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। ব্যাংক ঋনের উচ্চ সুদ, সরিষা আমদানীতে জটিলতা, সিন্ডিকেট কারসাজিসহ নানাহ কারণে তেলের মিলগুলো উৎপাদিত পন্য বাজারজাতে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
মনে হচ্ছে আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই হারিয়ে যাবো। ঘানি শিল্প ও তেলকল বিলুপ্তির কারণ জানতে চাইলে বাবুল অয়েল মিলের মালিক ছায়ীদুর রহমান বাবুল বলেন, আগে যারা আমাদের মিস্ত্রি ছিলো তারা এখন নিজ গ্রামে গিয়ে লাইসেন্স বিহীন ছোট একটি তেল কল বসিয়ে অঞ্চলভিত্তিক তেল, খৈল বিক্রি করায় আমাদের বেচা-বিক্রি কমে গেছে। তার উপর এ অঞ্চলে বন্যার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় মাছের ঘেরের মালিকরা মাছ চাষে অনাগ্রহী হওয়া খৈল তেমন বিক্রি হয়না। তার উপর সরিষার দাম বৃদ্ধিসহ নানান কারণে আমাদের ঐতিহ্যের এই তৈল কলগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।
 
- জকসু নির্বাচনকে ঘিরে ১২ দফা দাবি ছাত্রদলের
 - সরকারি তিতুমীর কলেজে আন্তঃবিভাগ ফুটবল ফাইনাল অনুষ্ঠিত
 - বুটেক্সে গ্লোবাল চেঞ্জ ড. আব্বাস উদ্দিন শায়ককে সংবর্ধনা
 - বিলুপ্তির পথে লাকসামের ঐতিহ্যবাহী তৈলের কল
 - দিনাজপুরে খালেদা জিয়া, বগুড়ায় প্রার্থী তারেক রহমান
 - সত্য ঘটনায় অনুপ্রাণিত ‘ট্রাইব্যুনাল’-এ তানিয়া-মৌসুমী-সায়রা-ফারিয়া
 - পঞ্চদশ সংশোধনীর হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল
 - চরভদ্রাসনে নিখোঁজের দ্বিতীয় দিনেও পদ্মা পারের শিশুর সন্ধান মেলেনি
 - অতি বিপন্ন বনরুই ঘিরে আশার আলো
 - তিতাসে অস্ত্রসহ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
 - পঞ্চদশ সংশোধনীর হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল
 - মালাইকার জীবনে নতুন প্রেমিক: হীরার ব্যবসায়ী হর্ষ মেহেতা
 - গণভোট: রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশ চাইল সরকার
 - জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে?
 - অভিযোগ ছাড়াই ১২ ঘণ্টা কাজ করেন রাশমিকা: ‘থাম্মা’ নির্মাতা
 - প্রেমের সম্পর্কে জড়াব না, সরাসরি বিয়ে করব’—দুরেফিশান সেলিম
 - বিপিএল তালিকায় নেই নোয়াখালী, চিটাগাং, খুলনা টাইগার্স
 - ১৭ বছর পর ইকবাল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
 - কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না: তারেক
 - রাজনৈতিক সমঝোতায় বড় বাধা পারস্পরিক অবিশ্বাস
 - ন বছর পর তারেক রহমানের ফোন পেলেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু
 - চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি
 - আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত ৭, আহত অন্তত ১৫০
 - বুটেক্সের চারটি আবাসিক হল পেল নতুন প্রভোস্ট
 - সাচার বাজারে বড় পর্দায় প্রদর্শিত হলো তারেক রহমানের সাক্ষাতকার
 - ভূমিদস্যু মহিন ও তার পরিবারের দৌরাত্ম্য নিয়ে জনমনে ক্ষোভ
 - ইউরোপীয় ব্যবসায়ী দল প্রভাতী ইন্সুরেন্স কার্যালয় পরিদর্শন
 - লাকসামে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ব্যবসায়ী দিশাহারা!
 - হাসিনার শাসনামলে গুমের শিকার আশিক, ধানের শীষ প্রচারে
 - পুড়ছে পশ্চিম তীর, ফিলিস্তিনি কৃষকদের জীবিকায় ইসরায়েলের রক্তচক্ষু
 
- আজগরা ইউনিয়নে ১৫ টাকায় চাল বিতরণ
 - শারীরিক এবং মানষিক সুস্থ্যতার জন্য খেলাধুলা অপরিহার্য
 - ফতেহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ!
 - নোসাবে উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হলেন অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ
 - ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ভুখা মিছিলে পুলিশের টিয়ারশেল ও জলকামান
 - আজ এখলাছপুরে ফ্রি মেতিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে
 - চবি ছাত্রদলের গণশিক্ষা সম্পাদক হলেন এস এম অভি
 - আস্থাহীন গণতন্ত্র, বিভাজন ও ডলার সংকট: যুক্তরাষ্ট্রের নীরব পতন
 - ঐক্যে দেওয়া হচ্ছে গুরুত্ব, বিশৃঙ্খলায় কঠোর ব্যবস্থা
 - দেশীয় কর্মসংস্থান ও হুন্ডি রোধে জিএসএ নিয়োগ আইন বহাল রাখার দাবি
 - নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি রোধে প্রধান উপদেষ্টার নতুন নির্দেশনা
 - গণভোট ও পরিষদে পাস হলে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ
 - ভাইরাল বাজি ‘কার্বাইড গান’ কেড়ে নিচ্ছে শিশুদের দৃষ্টি
 - টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে নামছে বাংলাদেশ
 - বাংলাদেশের সংগীত গাওয়া কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ
 - ফিটনেস ও লাইসেন্স বেসরকারিকরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান: সাখাওয়াত
 - বক্স অফিসে ‘থামা’র ঝড়, ৭ দিনে আয় ১৪০ কোটির বেশি
 - ডিবি`র জালে ৮১১ পিস ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেপ্তার
 - কুলাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
 - জকসু নির্বাচন আয়োজনে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন
 
- টক এবং মিষ্টি স্বাদের চাম কাঁঠাল এখন বিলুপ্তপ্রায়
 - পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে কুমিল্লার ঘোগরাবিল
 - ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
 - দঃ সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা
 - লাকসামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
 - লাকসাম মনোহরগঞ্জের বন্যার্তদের পাশে নবযাত্রা বাংলাদেশ
 - শরীয়তপুরে অনুষ্ঠিত হলো ফুটবল টুর্নামেন্ট পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান
 - মেলান্দহ উপজেলা চেয়ারম্যান’কে কোণঠাশা করার চেষ্টা
 - গাছের সাথে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন
 - লালমাইতে ট্রাক-বাসের মুখমোখী সংর্ঘষে নিহত ২, আহত ১৫ : ছবিসহ
 - জমি নিয়ে বিরোধ, গভীর রাতে সন্ত্রাসী হামলা
 - জোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ নিম্নস্তরের এলাকা বাসিন্দাদের
 - মরুভূমির গাছের ফল ধরল বাংলাদেশের মাটিতে! দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়
 - লবণ গুজবে সারা দেশে পুলিশকে মাঠে নামার নির্দেশ
 - দক্ষিণ সুনামগঞ্জে দুর্নীতিবিরোধী দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
 
