রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৭ ১৪৩২   ০১ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৮৬

থমথমে বসুরহাট, চলছে ১৪৪ ধারা

নোয়াখালী প্রতিনিধি,

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২১  

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও সংঘর্ষের ঘটনায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা চলছে। নতুন করে যেনো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

১৪৪ ধারা জারির ফলে বুধবার সকাল থেকে বসুরহাট শহরে অনেকটা অঘোষিত হরতাল চলছে। সেখানকার অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে। সাধারণ লোকজনের উপস্থিতি অনেক কম। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের কর্তব্যরত কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমিন বলেন, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সকাল থেকে বসুরহাটে পুলিশের কঠোর টহল রয়েছে। এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গতকাল বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলাউদ্দিন নামে এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন।

সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশ’সহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০জন। এদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর নয়জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর গতকাল জানিয়েছিলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ চলাকালে পৌর এলাকায় ব্যক্তি, সংগঠন, রাজনৈতিক দল, গণ-জমায়েত, সভা-সমাবেশ, মিছিল, র‌্যালি, শোভাযাত্রাসহ যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পৌর শহরে চারজনের বেশি লোক জমায়েত হতে পারবে না।

এদিকে গতকালের সংঘর্ষের ঘটনার পরই সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। বুধবার ভোর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে আটক হয়েছেন ২৮ জন। বাকিদের গ্রেপ্তারেও পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছেও বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরো খবর