বৃহস্পতিবার   ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৭ ১৪৩২   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৯৭

তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২১  

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে তালেবান এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের চেষ্টা করছে। সংগঠনটি এবার দেশ পরিচালনা করতে চায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে। ইতোমধ্যে তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।

দেশগুলো তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করেছে। যদিও এর আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তালেবানকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এখনই তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত হবে না। তবে তার অনুরোধ উপেক্ষা করে তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে দেশগুলো।

দেশ পরিচালনায় আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতার বিষয়ে তালেবানের এক মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বের সব দেশকে আহ্বান জানাচ্ছি, যেকোনো বিষয়ে আমাদের সঙ্গে বসুন। আমরা নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার ও আফগান নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা রক্ষায় সব সময় সচেতন থাকব।
এদিকে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশ কাবুলে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি নিজেদের নাগরিকদের দেশটি থেকে সরিয়েও নিচ্ছে।

তবে চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান এখনও দেশটিতে দূতাবাস চালু রেখেছে। ভবিষ্যতেও দেশ তিনটি আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরিতে চীন আগ্রহী। তালেবান বারবার বলেছে তারা চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। আফগানিস্তানের পুনর্গঠন এবং উন্নয়নে তারা চীনের অংশগ্রহণ চায়। আমরা তাদের ইচ্ছা ও পছন্দকে স্বাগত জানাই।

অন্যদিকে রুশ দূতাবাসের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য আফগানিস্তানে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জিরমভ আজ মঙ্গলবার তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রুশ সরকার বলছে, তারা তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চায়, কিন্তু তাদের এখনই আফগানিস্তানের বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দিবে না। 

আর পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আফগানরা দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙ্গেছে। তাদের স্বাগত জানায়। পাশাপাশি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক ব্যর্থতার ফলে সেদেশে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে ব্যবহার করতে হবে। এদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার রক্ষায় পাকিস্তানের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে তুরস্ক।

এই বিভাগের আরো খবর