রোববার   ০৯ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৫ ১৪৩২   ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৯

ড. ইউনূসের উচিত মন্তব্যে সংযম বজায় রাখা: রাজনাথ সিং

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২৫  

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উচিত কী বলছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। তিনি বলেন, ভারত প্রতিবেশীদের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক নয়, বরং স্থিতিশীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।

 

নয়াদিল্লিতে নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল যোশীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন রাজনাথ সিং। শুক্রবার ফার্স্টপোস্ট প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

রাজনাথ বলেন, “ভারত সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম, তবে আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের উচিত তার বক্তব্যের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা।”

 

ফার্স্টপোস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

 

ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, ড. ইউনূস সম্প্রতি পাকিস্তানের জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এবং সফররত তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের কাছে বিতর্কিত একটি বই উপহার দিয়েছেন, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

 

তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানি জেনারেলকে উপহার দেওয়া বইটি কেবল গ্রাফিতি শিল্পের সংকলন—এতে কোনো বিকৃত মানচিত্র নেই।

 

এদিকে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ি শহরে, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে, নতুন একটি সেনাঘাঁটি স্থাপন করছে ভারত। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেনস নেক’ করিডরের কাছে নির্মিত ‘লাচিত বোরফুকান মিলিটারি স্টেশন’ পূর্বাঞ্চলে ভারতের সামরিক সক্ষমতা বাড়াবে।

 

দ্য আসাম ট্রিবিউন জানিয়েছে, প্রায় ১ হাজার ৫০০ সেনা সদস্যের আবাসন সুবিধাসহ ১৯৬ বিঘা জমিতে এই ঘাঁটি নির্মাণ করছে মোদি সরকার।

 

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই নতুন তৎপরতা নিয়ে পর্যবেক্ষক মহলে আলোচনা চলছে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা জানান, সীমান্তে পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক থাকলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

 

ঠাকুরগাঁও সিপিবি সভাপতি ইয়াকুব আলী বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সীমান্তের এই সামরিক প্রস্তুতি তাৎপর্যপূর্ণ। এটি শুধু কৌশলগত নয়, ভূ-রাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে।”
 

এই বিভাগের আরো খবর