রোববার   ০৫ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২০ ১৪৩২   ১২ রবিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩২

‘ডিবি সোর্স’ পরিচয়ে টঙ্গীতে চাঁদাবাজির অভিযোগ, আতঙ্কে এলাকাবাসী

শফিকুল ইসলাম, ঢাকা

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২৫  

গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী এলাকায় দুই কথিত ডিবি সোর্স—নোয়াব আলী ও রকি—কে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তারা পুলিশের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে।

 

একসময় সাধারণ জীবনযাপন করা এই দু’জন বর্তমানে বিপুল সম্পদের মালিক। স্থানীয়দের ভাষায়, “যাদের একসময় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো, এখন তাদের হাতে টাকার ছড়াছড়ি।” বনমালা এলাকার নোয়াব আলী সম্প্রতি চারতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করেছেন—যার উৎস নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

 

পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কথিত এই দুই সোর্স ডিবি পুলিশের নাম ব্যবহার করে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে থাকে। তাদের প্রধান লক্ষ্য মাদক ব্যবসায়ী, হকার, ও বস্তিবাসী। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের নামে অভিযান বা মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি মাঝে মাঝে প্রকৃত পুলিশের অভিযানে তাদের উপস্থিতিও দেখা যায়, যা তাদের দাপট আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

 

ভয়ভীতির রাজত্ব

বনমালা ও এরশাদ নগর এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, নোয়াব আলী ও রকি দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “ওরা নিজেদের ডিবির লোক বলে পরিচয় দেয়—বলতে থাকে চুপ থাকো, না হলে বড় বিপদ হবে।”

 

তদন্তের দাবি

এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণেই তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অনেকেই গোপনে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সচেতন নাগরিকদের দাবি, “যদি কেউ ডিবির নাম ব্যবহার করে অপরাধ করতে পারে, তবে জনগণের নিরাপত্তা কোথায়?”

 

প্রশাসনের প্রতি আহ্বান—এই চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে টঙ্গী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ও সাধারণ মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধার হয়।

এই বিভাগের আরো খবর