বুধবার   ১২ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৭ ১৪৩২   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১১৪

জঙ্গল এখন উচ্চ ফলনশীল ফসলের মাঠ সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে নান্দনিক ফুলের

রওশন জালালীর প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডের সর্বশেষ দক্ষিণে করতোয়া নদীর তীরে ঝোপঝাড় আর কাটাবনের জঙ্গল যুক্ত ৬৩ একর যায়গা নিয়ে গড়ে উঠা দেবীগঞ্জ বিএডিসি ভিত্তি বীজ আলু খামার যা ডোমার ভিত্তি বীজ আলু খামার কেন্দ্র কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠান টি ইতিমধ্যে বিগত বছরে আলুর বাপ্পার ফলন এবং বীজ ধান চাষ করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ ফলনশীল ফসলের মাঠের মাঝে নান্দনিক ফুলের বাগান করায় প্রতিষ্ঠান টির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করছেন প্রতিষ্ঠান টিতে কর্মরত শ্রমিক এলাকাবাসী ও দর্শনার্থী গণ। চতুর্দিকে সু-বিন্যস্ত সবুজ ফসলের মাঠ মাঝখানে রং-বেরঙের ফুলের বাগান এ যেন চোখ জুড়ানো, প্রাণ শীতল করা আর মন ভালো করার আলাদা এক উপগ্রহ। বিকেল বেলা ঘুড়তে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে থেকে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা থেকে আগত হাসিবুল সরকার বলেন " বসুনিয়া হাটে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে বিএডিসি সাইনবোর্ড দেওয়া ফসলের মাঠ মাঝখানে রং-বেরঙের ফুলের বাগান দেখে অনেক ভালো লাগছে। প্রতিষ্ঠান টিতে কর্মরত শ্রমিক  সামিনুর ইসলাম বলেন "ইতিপূর্বে এই জঙ্গলে মানুষ দিনের বেলায় ভয়ে আসতো না, সেখানে বিএডিসি প্রতিষ্ঠান হওয়াতে আমাদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে আমরা বেকার যুবকদের বেকরত্বের বোঝা দুর হয়েছে। ফসলের মাঠে ফুলের বাগান সম্পর্কে আমিনুর ইসলাম, মিলন খান, খালেক হাসান সহ সকল শ্রমিক গণ বলেন "আমরা এখানে কাজ করি দুপুরে খাবারের পরে এমন সুন্দর ফুলের বাগানে রেস্ট নিলে ক্লান্তি দুর হয়ে যায়, আমাদের স্যার আবু তালেব অনেক ভালো মানুষ তার কোন অহংকার নেই শ্রমিকদের ভালোমন্দ খোঁজ খবর নেয়  সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলে সব মিলিয়ে আমরা শ্রমিক গণ এখানে আনন্দে কাজ করি"। প্রতিষ্ঠান টির দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন এখানে জমি অধিগ্রহণের পরে এইবার সহ দুইবার আলু ও ১ বার ধান চাষ করেছি আশানুরূপ ফলন হয়েছে, এই সাফল্য অর্জনে প্রশংসার দাবিদার আমি একা নই এই প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকের। সকলের সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে, আমি আমার অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য মাঠের মাঝে ফুলের বাগান করেছি সেটাও আবাদি জমি বন্ধ করে নয়, অফিসঘর করার জন্য নির্ধারিত স্থানে। এই ফুলের বাগান করায় ঘড়ের বারান্দার জমি যেমন পতিত থাকছে না তেমনি প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য ও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর