বৃহস্পতিবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩২   ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫

খেলা ছাড়িয়ে বন্ধুত্ব: এমবাপ্পে-রদ্রিগোর সম্পর্ক কেমন?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫  

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে, স্কোরলাইন ১-১। প্রতিপক্ষ শিবিরে কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো গতিদানব আছে—যিনি যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের ভাগ্য পাল্টে দিতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে যখন পুরো দলের ওপর চরম চাপ, তখনই হয়তো ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো গোয়েস তাঁর ফরাসি বন্ধু এমবাপ্পেকে এমন একটি বার্তা দিতে পারেন: "চিন্তা করিস না, একটা গোল হবে ভাই।"

এই একটি বাক্যই আধুনিক ফুটবলের দুই সুপারস্টারের মানসিক শক্তি এবং খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাকে তুলে ধরে।

 রদ্রিগোর ‘ক্লচ’ মুহূর্তের ক্ষমতা

কেন রদ্রিগো এমন আত্মবিশ্বাস দেখাতে পারেন? এর কারণ তাঁর ক্যারিয়ারের 'ক্লচ' মুহূর্তগুলোর ইতিহাস। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনি বারবার দেখিয়েছেন, যখন বড় তারকারা ব্যর্থ হচ্ছেন, তখনই রদ্রিগো নীরব ঘাতকের মতো হাজির হন:

  • সংকটের সমাধান: রদ্রিগো গোল করা কেবল একটি দায়িত্ব হিসেবে দেখেন না, তিনি এটিকে সংকট সমাধানের একটি উপায় হিসেবে দেখেন। তাঁর লক্ষ্য স্থির এবং ভয়ডরহীন মানসিকতা তাঁকে শেষ মুহূর্তেও সফল হতে সাহায্য করে।

  • মানসিকতা: এই মন্তব্যটি প্রমাণ করে, এমবাপ্পে বা অন্য কোনো তারকা কেমন খেলছেন, তা নিয়ে রদ্রিগোর মাথাব্যথা নেই। তিনি নিজের সক্ষমতা ও খেলার পরিস্থিতি নিয়ে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী।

 এমবাপ্পে বনাম রদ্রিগো: আত্মবিশ্বাসের দ্বৈরথ

যদি ভবিষ্যতে রিয়াল মাদ্রিদ বা ব্রাজিল বনাম ফ্রান্সের মতো হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে এমন পরিস্থিতি আসে, তবে রদ্রিগোর এই 'ভাইসুলভ' আত্মবিশ্বাসী বার্তাটির তাৎপর্য অনেক:

  • এমবাপ্পের চাপ: এমবাপ্পের কাঁধে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশার ভার। তাঁকে সবসময় গোল করতেই হবে—এই চাপটি থাকে।

  • রদ্রিগোর মুক্তি: অন্যদিকে, রদ্রিগো চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারেন এবং যখন প্রয়োজন, তখনই গোল এনে দেন। তাঁর এই মন্তব্যটি মূলত এমবাপ্পেকেও বলতে পারে—"আমরা দুজনই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখি, কিন্তু আজ আমার পালা।"

এই উক্তিটি প্রমাণ করে, আন্তর্জাতিক ফুটবল মঞ্চে এখন বন্ধুত্ব, প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং আত্মবিশ্বাস—সবকিছুই এক সুরে বাঁধা।

এই বিভাগের আরো খবর