শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪   শ্রাবণ ১২ ১৪৩১   ২০ মুহররম ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫০

ক্যান্সার হাসপাতালের টয়লেট গুলোর বেহাল দশা নজর নেই কর্তৃপক্ষের

মো.খোকণ আকন্দ (স্টাফ রিপোর্টার)

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের শৌচাগারের (টয়লেট) গুলোর বেহাল দশা! নারীও পুরুষকে ব্যবহার  করতে হচ্ছে একই ধরনের পাবলিক প্লেসের টয়লেট।দীর্ঘ লাইনের পর ও মিলছেনা স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে টয়লেট।

টয়লেট গুলোর বেশীর ভাগ নষ্ট থাকার কারণে এখানে আসা রুগীদের পড়তে হচ্ছে বিভ্রান্তর স্বীকারে। তথ্য কেন্দ্রের মতে হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার মানুষ সেবা নিতে আসেন।

 

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালটির ডি-ব্লকটির নিচ তালায় পাঁচটি পাবলিক টয়লেট রয়েছে, যার মধ্যে দুইটা তালাবদ্ধ ও একটি বাঙ্গা,বাকি দুইটা ব্যবহারের যোগ্য ও নয়। ডি -ভবনের ২ তালায় পাবলিক প্লেসে দুইটা টয়লেট একটা ব্যবহারের যোগ্য থাকলে ও আরেকটির দরজা নেই! টয়লেট গুলোর ভিতরে ডুকে দেখা যায় অনেকটা জলাবদ্ধতা অবস্থায় ডুবেও আছে টয়লেট গুলোর মেজে।

 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তথ্যমতে, প্রতিবছর অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহারে দেশের দুই কোটি শিশু টাইফয়েড, জন্ডিস, কলেরা বা ডায়রিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়াও অপর্যাপ্ত টয়লেটের কারণে প্রস্রাব চেপে রাখায় মূত্রনালিতে সংক্রমণ ঘটছে। বিশেষ করে নারীরা ঘরের বাইরে গিয়ে পরিবেশ না পেয়ে জরুরি প্রয়োজনেও টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন না। আবার পিরিয়ডকালীন প্রয়োজনে টয়লেট ব্যবহার না করলে মূত্রনালির পাশাপাশি জরায়ুতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। ফলে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন জরায়ুর সংক্রমণ রোগে।

 

সরজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায় জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে পাবলিক প্লেসের টয়লেট গুলোর।এতেই পরিস্থিতির স্বীকারে কাজ সারছে অনেকেই।

 

রুনা বেগম বরিশালের বাসিন্দ তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, টয়লেটের যে নোংরা অবস্থা এখানে টয়লেট করতে এসে আমি শারীরিক ভাবে আরো অসুস্থতা ভোগ করছি।

 

হাসপাতালটিতে ক্যান্সার পরীক্ষা করতে আসা মহাখালী এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম বেগম বলেন, আমি দীর্ঘ লাইন অতিক্রম করার পর টয়লেটের দেখা পাই।তবে টয়লেটের নোংরা অবস্থা দেখে আমার ডুকতে ইচ্ছা করতে ছিলোনা।আবার টয়লেট সামনে পুরুষ মানুষ দাড়িয়ে আছে একটা টয়লেটের রুমের দরজাও নাই। দরজা থাকলেও সেগুলো ভাঙ্গা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন,এগুলো দেখার মতো কি কেউ নেই?

 

আলামিন শেখের বাসা গাইবান্ধায় তিনি জানান, প্রায় ২ মাস যাবত তার মাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আছেন। হাসপাতালটির টয়লেট নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন টয়লেট গুলো বেশির ভাগ নষ্ট তালা দেওয়া থাকে  পরিষ্কার নেই ভেতরে জলাবদ্ধতা একেবারে ব্যবহারে উপযুগি নেই।এসব টয়লেটে ক্যান্সারের রোগীরা গেলে তাদের অবস্থা কি হবে তা জানা নেই।

 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক (ডা.) মো.মিজামুল হক কে একাধিক বার ফোন দিলে তাকে ফোন কলে পাওয়া যায়নি।

এই বিভাগের আরো খবর