ব্রেকিং:
জাকসু নির্বাচনের মঞ্চেই নিভে গেল তরুণ শিক্ষিকার আলো শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা সম্ভব: জাকসু নির্বাচন কমিশন

শনিবার   ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৮ ১৪৩২   ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৯৯

কেমন আছেন হাথুরু?

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০১৯  

২০১৪ সালে হঠাত করেই হয়েছিলেন টাইগারদের কোচ। বিদায়টাও নিয়েছিলেন হুঠ করেই। তার সময়েই ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে টাইগাররা, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতেও পৌছায় মাশরাফি বাহিনী। সাফল্যের সাথে বেশ কিছু আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েই টাইগারদের কোচের পদ থেকে সরে গিয়ে নিজ জন্মভূমি শ্রীলঙ্কার কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দলটিতে চলছে ভাঙাগড়ার খেলা। এই ভাঙাগড়ার খেলা কেমন সামাল দিচ্ছেন তিনি? কেমন আছেন টাইগারদের সাবেক কোচ?

গতকাল ব্রিস্টলের ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে যখন হাথুরু নেটের দিকে যাবেন, তখন এই প্রশ্নটাই করা হলো—শ্রীলঙ্কায় ভালো আছেন তো? দার্শনিক এক উত্তরই মিলল তাঁর কাছে, ‘ইচ্ছা করলে আপনি যেকোন জায়গাতে যেকোন অবস্থাতেই ভালো থাকতে পারবেন।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তাঁর চুক্তি ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকলেও ২০১৭ সালের অক্টোবরে হঠাত করেই বিদায় বলেন বাংলাদেশকে। নিজ জন্মভূমি শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে যোগদান করেন ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। তার এই লুকোচুরি খেলা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। অবশ্য হাথুরু বারবার বলেছেন, নিজের দেশের কোচ হওয়ার চেয়ে গৌরবের কিছু নেই! এ স্বপ্নই তিনি দেখেছেন কোচিং ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। সেই স্বপ্নপূরণের সুযোগটা যখন এসেছে, সেটি আর হাতছাড়া করতে চাননি। 

তবে এত স্বপ্নের জায়গায় থেকেও খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই হাথুরু। মাঠে ও মাঠের বাইরে নানা বিতর্কে হাথুরুর স্বস্তিতে থাকার কথা নয় কোনভাবেই। গত বছর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বল টেম্পারিং নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি, যে ঘটনায় আইসিসি বড় শাস্তি দিয়েছে তাঁকে। গত দুই বছরে শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যমে বারবার খবর এসেছে, খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের অনেকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো নয়। এই ফেব্রুয়ারিতেই হাথুরুকে নির্বাচক কমিটি থেকেই ছেঁটে ফেলেছে এসএলসি। এরপর নানা সময়ে দল নির্বাচন নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন হাথুরু, কিন্তু বোর্ড তাঁর এই অসন্তুষ্টিকে পাত্তাই দেয়নি। গত কয়েক মাসে শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যমে একাধিকবার খবর এসেছে, ২০২০ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই হাথুরু-পর্ব শেষ করে দিতে পারে এসএলসি। বোর্ড আর হাথুরুর সঙ্গে দূরত্ব ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে ভালো ফল না এনে দিতে পারলে কে জানে, লঙ্কানদের হয়ে এটিই হয়ে যেতে পারে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট!

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বিভীষিকাময় দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে দলের সাথে না ফিরে তিনি চলে যান পরিবারের সাথে দেখা করতে। সেখানে থেকেই বাংলাদেশ অধ্যায়ের আকস্মিক সমাপ্তি ঘটিয়ে হাথুরু শ্রীলঙ্কা দলের কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। তাঁর শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে তিন সংস্করণের সিরিজেই হারায় তার শ্রীলঙ্কা। তবে এরপর থেকেই খেই হারাতে শুরু করে লঙ্কানরা। হাথুরুর অধীনে ৫৩ আন্তর্জাতিক ম্যাচের মাত্র ১৮টি জিততে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। গত দেড় বছরে হাথুরুর সবচেয়ে বড় সাফল্য মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে হাথুরু-প্রসঙ্গ এখন অতীত। লঙ্কান এই কোচকে নিয়ে আগের উত্তাপ, আলোচনা-সমালোচনা নেই দেশের ক্রিকেটে। হাথুরুও খুব একটা ভালো নেই শ্রীলঙ্কান দলের দায়িত্বে। আজ নিশ্চই চাইবেন পুরনো শিষ্যদের হারিয়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে। শিষ্যরাও কিন্তু তার পরিকল্পনা সম্পর্কে খুঁটিনাটি বেশ ভালোই জানেন।

এই বিভাগের আরো খবর