রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৭ ১৪৩২   ০১ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৫৩

কাদের মির্জাসহ ১৬৪ জনের নামে মামলা

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২১  

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশাচালক আলাউদ্দিন (৩২) নিহতের ঘটনায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, দুপুরে আদেশ।

এর আগে, নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে থানায় করা এজাহার শনিবারও রেকর্ডভুক্ত হয়নি। ফলে শ্রমিক আলা উদ্দিন হত্যা এবং মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে এজাহার দুটি দায়ের করতে রোববার (১৪ মার্চ) সকালে নোয়াখালীর আদালতে যাচ্ছেন উক্ত ভুক্তভোগীর দুই বাদী।
 
বিষয়টি শনিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন নিহত আলা উদ্দিনের ভাই এমদাদ হোসেন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের স্ত্রী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন।

এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা ও আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় এজাহার দুটিতে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু থানা পুলিশ সেই এজাহারগুলো মামলা হিসেবে গ্রহণ না করার অভিযোগ করেছেন দুই বাদী।

নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই মো. এমদাদ হোসেন আরো জানান, ১১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামিসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলার এজাহার দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধান আসামি মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ না দেয়ায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ এজাহারটি রেকর্ড করেনি। তাই রোববার আদালত খোলার পর হত্যা মামলাটি সেখানে দায়ের করা হবে।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত অসুস্থ থাকার কারণে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পরামর্শে রোববার মামলাটি আদালতে দাখিল করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান আরজুমান পারভীন।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার ওপর প্রকাশ্যে হামলা করে আহত করার ঘটনার পর পুলিশ মামলা না নেয়ায় বোঝা যাচ্ছে পুলিশ কোথা থেকে আদিষ্ট হয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার মামলা নিচ্ছে না।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুর হক রনি জানান, আমি আইনশৃঙ্খলার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। দুটি এজাহারই সংশোধন করে আনবেন বলে তারা জানিয়েছিলেন। এরপর থানায় এলেও তাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি একথা মোটেও সত্য নয়।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন অফিস উদ্বোধন করতে গেলে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধর করেন। অপরদিকে ৯ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন নামে শ্রমিক লীগের সভাপতি চর ফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চর কালী গ্রামের মমিনুল হকের ছেলে নিহত হন।

এই বিভাগের আরো খবর