বৃহস্পতিবার   ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৭ ১৪৩২   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩০৩

আয়কর ফাঁকি দিচ্ছেন ধনকুবের জেফ বেজোস, এলন মাস্ক ও ব্লুমবার্গ!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ জুন ২০২১  

বিশ্বের অন্যতম ধনী অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোস থেকে শুরু করে টেসলা-র সিইও এলন মাস্ক, ব্লুমবার্গের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ব্লুমবার্গ, সবাই কোনও না কোনও সময় আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবার (আইআরএস) তথ্য খতিয়ে দেখে এই অভিযোগ করেছে প্রোপাব্লিকা নামের একটি সংস্থা।

প্রোপাব্লিকা দাবি করেছে, ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কোনো আয়কর নাকি দেননি বেজস। মাস্ক আয়কর দেননি ২০১৮ সালে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওয়ারেন বাফে কর (ভারতীয় মুদ্রায়) হিসাবে দিয়েছেন প্রায় ১৭৩ কোটি টাকা যা তার আয়ের মাত্র ০.১ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে নাকি আয়কর দেননি ব্লুমবার্গও।
প্রোপাব্লিকা জানিয়েছে, আইআরএসের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে এই তথ্য তারা পেয়েছে। যদিও সেই কর্মকর্তার নাম জানায়নি সংস্থাটি।

এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই অবশ্য ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে আইআরএসের কমিশনার চার্লস রেটিগ বলেছেন, কী ভাবে এই তথ্য বাইরে এলো সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। কারণ প্রত্যেক আমেরিকাবাসীর তথ্য গোপন থাকার কথা। এই তথ্য বাইরে আসা সংস্থার পক্ষে ক্ষতিকারক।

এদিকে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে তাদের মধ্যে বাফে, ব্লুমবার্গ জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট আয়কর দিয়েছেন তারা। বেজোস বা মাস্ক এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল আয়কর ফাঁকি দেওয়ার। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে বলেছিলেন, সব আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করে দেখা হবে। এই অভিযোগের পরে সেসব তদন্ত কোন দিকে যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এই বিভাগের আরো খবর