আজ নারী জাগরণের অগ্রদূত নবাব ফয়জুন্নেছার ১১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী
তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
 
					
				উপমহাদেশের মহিয়ষী নারী প্রথম মহিলা নবাব নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর আজ ১১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হতে চললেও এখনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি ভারতীয় উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নবাব ফয়জুন্নেছার। নারী শিক্ষার অগ্রদূত নওয়াব ফয়জুন্নেছা ছিলেন উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম কবি-সাহিত্যিক। মৃত্যুর ১১৫ বছর আর স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও রাষ্ট্রীয় কোন মর্যাদা বা স্বীকৃতি না মেলায় নওয়াব ফয়জুন্নেছার জন্মস্থান কুমিল্লার লাকসামবাসীর মনে ক্ষোভের যেন শেষ নেই।
অথচ অারেক মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্মের সাত বছর অাগে বেগম রোকেয়া জন্মের ৪৬ বছর আগে কুমিল্লার লাকসামে ১৮৩৪ সালে ডাকাতিয়া নদীর উত্তর তীরে খান বাহাদুর বাড়িতে নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী জন্মগ্রহণ করেন। বেগম রোকেয়ার ৭ বছর আগে ১৮৭৬ সালে তিনি ‘রূপজালাল’ কাব্যগ্রন্থ রচনা করে সে সময় বেশ সাড়া জাগান। ‘রূপজালাল’ নামে গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় নারী লেখিকার প্রথম প্রকাশিত বই। নবাব ফয়জুন্নেছার রূপ জালাল কাব্য গ্রন্থের কপি কুমিল্লায় সংরক্ষিত আছে। সংরক্ষিত আছে লন্ডনের ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরীর বাংলা বিভাগে। বাংলা একাডেমী ১৯৮৩ সালে এ গ্রন্থটি পুনঃ মুদ্রন করেছে। এছাড়াও নবাব ফয়জুন্নেছা সংগীত লহরী ও সংগীত সার নামে আরও ২টি গ্রন্থ রচনা করেন। উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী নারী জগতের উজ্বল নক্ষত্র। দানবীর এ মহিয়সী নারী প্রচার বিমুখ ছিলেন। নারী লেখিকাদের পথপ্রদর্শকও ছিলেন নবাব ফয়জুন্নেছা। নবাব ফয়জুন্নেছার রূপজালাল কাব্যগ্রন্থ তার স্বামী গাজী চৌধুরীর নামে উত্সর্গ করেন। নবাব ফয়জুন্নেছার বাবার নাম সৈয়দ আহম্মদ আলী চৌধুরী। তার মার নাম আরফান্নেছা চৌধুরানী।
কথিত আছে, বিয়ের ১৭ বছর পর ১৮৫১ সালে নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী জানতে পারেন তার স্বামী হাছান আলী জমিদারের আরেকটি স্ত্রী রয়েছে। মহীয়সী নারী নবাব ফয়জুন্নেছা তার সতীন থেকে পৃথক থাকার জন্য সাড়ে ৩ একর জমির উপর তার বিয়ের কাবিনের ১ লাখ ১ টাকা দিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করেন। স্থাপত্যকলার অপূর্ব নিদর্শন বাড়িটি নির্মাণ করতে প্রায় ৩ বছর সময় লেগে যায়। ব্রিটিশ আমলের সিমেন্ট, রড, চুন ও সুরকি দিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। নারী জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র নবাব ফয়জুন্নেছা অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। তিনি পর্দার আড়াল থেকে এ বাড়িটিতে বসে উপমহাদেশের সব বিচারকার্য সম্পাদন, রাস্তাঘাট, পুল-ব্রিজ, স্কুল-মাদ্রাসাসহ যাবতীয় জনকল্যাণমূলক কাজ পরিচালনা করতেন। বাড়ির পাশে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন দশ গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ। কালের বিবর্তনে নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি নবাব বাড়ি হিসেবে দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে।
ফয়জুন্নেসার আমলে কুমিল্লা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট কুমিল্লার লোকদের উপকারার্থে একটি জনহিতকর কাজে হাত দিয়ে সমস্যায় পড়েন। এসময় মানবতাবাদী নবাব ফয়জুন্নেসা চাহিদা অনুযায়ী টাকার একটি তোড়া ইংরেজ ডগলাসকে দান হিসেবে প্রদান করেন। তার এই দানশীলতার কথা মহারানী ভিক্টোরিয়া জেনে মহারানী ডগলাসকে হুকুম করেন তাকে ‘বেগম’ উপাধি দেয়ার জন্য। ফয়জুন্নেসা ডগলাসের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, জমিদার কন্যা ও স্ত্রী হিসেবে অনেক আগেই এই পদবিতে তিনি ভূষিত। পরে মহারানী ঠিক করেন, এই মহৎ মহীয়সী নারীর একমাত্র সার্থক সম্মান ‘নবাব’ উপাধি-ই হতে পারে। রানীর নির্দেশ অনুযায়ী ১৮৮৯ সালে কুমিল্লার নবাব বাড়ির অট্টালিকায় ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এই উপাধি দেয়ার উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। হিরক খচিত মহামূল্যবান পদক দিয়ে তাকে ‘নবাব’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বেগম ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী পর্দার অন্তরাল থেকে এই উপাধিটি গ্রহণ করেন।
তার জমিদারির ১১টি কাচারির প্রতিটির পাশে বিশুদ্ধ পানির জন্য পুকুর এবং মক্তব ও প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। সে সময় তার তত্ত্বাবধানে নির্মিত বালিকা বিদ্যালয়টি কালের সাক্ষ্য বহন করেছে। নবাববাড়ির বালিকা বিদ্যালয়টি কালক্রমে লাকসাম ফয়জুন্নেছা ও বদরুন্নেছা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয় (বিএন হাইস্কুল) রূপ নিয়েছে। তত্কালীন মাদরাসা আজ লাকসাম নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ হিসেবে এলাকায় আধুনিক শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করেছে। নবাব ফয়জুন্নেছা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ নির্মাণ কাজেও বিরাট অনুদান প্রদান করেছিলেন। কুমিল্লা শহরে ১৮৭৩ সালে নবাব ফয়জুন্নেছা দুটি বালিকা বিদ্যালয স্থাপন করেন। শহরের পূর্ব প্রান্তে নাজুয়াদীঘির পাড়ে প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং অপরটি বাদুরতলার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন নারীশিক্ষায় অগ্রণি ভূমিকা পালনকারী। লাকসামে নবাব ফয়জুন্নেছা তার বাড়ির পাশে দশগম্বুজ মসজিদ স্থাপন করেন। মসজিদের দক্ষিণে পারিবারিক কবরস্থানে নবাব ফয়জুন্নেছাকে চিরদিনের জন্য সমাহিত করা হয়। নারীর স্বাস্থ্য সেবায় ১৮৯৩ সালে নবাব ফয়জুন্নেছা কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ড স্থাপন করেন। এছাড়াও লাকসামে দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র, ব্রীজ, কালভার্ট ও মসজিদ নির্মাণ করে একজন দক্ষ দানবীর নেত্রীর ভুমিকা রাখেন।
১৮৯৪ সালে তিনি পবিত্র হজ পালনের জন্য মক্কা গমন করেন। সেখানে গিয়েও তিনি অনেক দান করেন এবং মক্কা শরীফে একটি মুসাফিরখানা প্রতিষ্ঠা করেন। যা এখনো বিদ্যমান। মক্কাশরীফ থেকে এসে পরিবার-পরিজনদের জন্য সামান্য কিছু সম্পত্তি রেখে বাকি সমস্ত সম্পত্তি আল্লাহর নামে ওয়াকফ করে দেন। সম্পত্তি ওয়াকফ করার পর তিনি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মক্তব ও হাসপাতাল নির্মাণে অনেক টাকা দান করেন। তার ব্যক্তিগত দৈনন্দিন দিনযাপনের তালিকাতেও অনেককিছুু শিক্ষণীয় বিষয় রেখে গেছেন আমাদের জন্য। যদিও তার স্বামী মোহাম্মদ গাজী নবাব ফয়জুন্নেসার সঙ্গে ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছিলেন কিন্তু তিনি একজন উচ্চবংশীয় জমিদার ও সুরুচির অধিকারী মানুষ ছিলেন। বেগম ফয়জুন্নেসা দুই কন্যা সন্তানের জননী ছিলেন। তার দু’কন্যার নাম আসাবুন্নেসা ও বদরুন্নেসা। এই মহীয়সী নারী ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯০৩ খ্রীস্টাব্দ ইহলোক ত্যাগ করেন। একুশে পদক প্রদানের মধ্যে দিয়ে তার অসীম কাজের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল।
- আজ এখলাছপুরে ফ্রি মেতিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে
- সমালোচনাকে শ্রদ্ধা করি: সারা আলি খান
- বাংলাদেশের সংগীত গাওয়া কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ
- লায়ন্স ক্লাব অফ ঢাকা বনফুলের ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারপারসন রফিকুল ইসলাম
- চবি ছাত্রদলের গণশিক্ষা সম্পাদক হলেন এস এম অভি
- ইসির প্রতীকের তালিকায় যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’
- সোনার দাম আবারও বেড়ে ভরি প্রতি ২ লাখ টাকা ছাড়াল
- নির্বাচন বানচালে বড় শক্তি কাজ করবে:প্রধান উপদেষ্টা
- নির্বাচন বানচালে বড় শক্তি কাজ করবে
- সবজির বাজারে স্বস্তি: দাম কমাচ্ছে শিম ও ফুলকপি, নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ
- ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব আইয়ুব–ইয়াহিয়ার আদেশের মতো: বিএনপি
- সাময়িক বন্ধের পর স্বাভাবিক গতিতে মেট্রোরেল চলাচল শুরু
- বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ, এনসিপি নেতা গ্রেপ্তার
- নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি রোধে প্রধান উপদেষ্টার নতুন নির্দেশনা
- ৫-দফা দাবি গুরুত্বপূর্ণ: নভেম্বরে গণভোট, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন
- লাকসামে রাজনৈতিক সম্প্রীতি রক্ষায় তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত
- বয়স বাড়া কোনো ত্রুটি নয়, এটি এক সুন্দর ব্যাপার’ — তামান্না ভাটিয়া
- দিল্লিতে ব্যর্থ কৃত্রিম বৃষ্টির চেষ্টা
- বক্স অফিসে ‘থামা’র ঝড়, ৭ দিনে আয় ১৪০ কোটির বেশি
- আস্থাহীন গণতন্ত্র, বিভাজন ও ডলার সংকট: যুক্তরাষ্ট্রের নীরব পতন
- নতুন যুগের গল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মধ্যবয়সী অভিনেত্রীরা: তামান্না
- বিয়ের আগেই সন্তান পরিকল্পনার কথা জানালেন রাশমিকা মান্দানা
- আমি উদার মুসলিম, আমার পরিবারে নামাজও হয়, পূজাও হয়’ — ইমরান হাশমি
- আমি উদার মুসলিম, আমার পরিবারে নামাজও হয়, পূজাও হয়’ — ইমরান হাশমি
- বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ বাতিল, নতুন প্রতিপক্ষ নেপাল হতে পারে
- ভাইরাল বাজি ‘কার্বাইড গান’ কেড়ে নিচ্ছে শিশুদের দৃষ্টি
- ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ভুখা মিছিলে পুলিশের টিয়ারশেল ও জলকামান
- জকসু নির্বাচন আয়োজনে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন
- যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৮ ফিলিস্তিনি
- ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি
- প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
- গলাচিপার চর কাজলে হাসান মামুনের জনসভায় জনস্রোত
- আজগরা ইউনিয়নে ১৫ টাকায় চাল বিতরণ
- গাজীপুর-৩ আসনে আক্তারুল আলম মাস্টারের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
- নারীর সাজে পাকিস্তানে পালিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন!
- দেশ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখার বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান
- নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন আহমদ
- ফরিদপুরে বাসর রাতে নববিবাহিত যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
- বাদ পড়ছেন কোন কোন উপদেষ্টা? যা বললেন মাসুদ কামাল
- ফতেহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ!
- নোসাবে উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হলেন অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ
- অপহৃত রীমা রানী দক্ষিণ সুরমা থেকে উদ্ধার
- এক সিনেমার জন্য আরেকটি ছাড়লেন সাবিলা
- উপদেষ্টা পরিষদে বিদায়ের সুর!
- কিছু সবজির দাম কমতি, মাছ-মাংস এখনো চড়া
- সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ: আখতার হোসেন
- ফার্মগেটে আবারো মেট্রো দুর্ঘটনা, প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
- ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ভুখা মিছিলে পুলিশের টিয়ারশেল ও জলকামান
- প্রমাণ দিতে পারলে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেব : ববি
- বিশ্ব বাবা দিবস আজ
 বাবা নামের বটবৃক্ষের প্রতি শর্তহীন শ্রদ্ধা
- যে নারীর নামে হলো আম্রপালী
- গাড়ির টায়ার কালো হয় কেন?
- হোস্টেলে মেয়েরা যে নিষিদ্ধ কাজ করে!
- হোস্টেলে মেয়েরা যে নিষিদ্ধ কাজ করে!
- উত্তেজক ট্যাবলেটে ঝুঁকছে যুবক-যুবতীরা
- রাত গভীর হলেই শ্বশুরের অন্য মতলব!
- চারদিকে ‘ছেলেধরা’ ‘গলাকাটা’ আতঙ্ক!
- ১৫ আগষ্ট বাঙ্গালী জাতির একটি কলংকিত অধ্যায়
- উড়ন্ত বিমানের ভেতর নোয়াখালীর তরুণের অনৈতিক কাজ!
- ভবন নির্মাণে কী কী ছাড়পত্র লাগে?
- এসি কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
- হালিম ব্যবসায়ীর আয় মাসে লাখ টাকা!
- কপালে টিপ থাকায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে বহিষ্কার!
- বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিচ্ছে নতুন টেলিভিশন প্রভাতী টিভি

