শুক্রবার   ০১ ডিসেম্বর ২০২৩   অগ্রাহায়ণ ১৭ ১৪৩০   ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১১৫০

চারদিকে ‘ছেলেধরা’ ‘গলাকাটা’ আতঙ্ক!

সাজ্জাদ হোসেন

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৯  

মুখে মুখে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ছেলেধরা’ আর ‘গলাকাটা’ বাহিনীর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে জনপদে। গত কয়েক দিনে ছড়ানো এই গুজবের সূত্র ধরে নির্মমতার শিকার হচ্ছে এলাকায় অপরিচিত মানুষ। খুলনায় ছেলেধরা সন্দেহে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

আহত করা হয়েছে পঞ্চাশোর্ধ্ব একা নারীকে। সাতক্ষীরায় এক যুবক ও যশোরে কয়েক দিনে দশ ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এদিকে ছেলেধরা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীতে। গককাল শনিবার ঢাকার উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাড্ডা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলেধরা সন্দেহে এক নারী গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। খবর পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর বাড্ডায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা পাশাপাশি। সেখানে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনজন বোরকা পরিহিত নারী যান। তারা স্কুলের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। বাধার মুখে দু’জন পালিয়ে গেলেও আরেক গণপিটুনির শিকার হন।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছেলেধরা সন্ধেহে বেড়িবাঁধের চাঁদগেটে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়রা। তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মোহাম্মদপুর থানার এসআই বুলবুল আহমেদ জানান, সম্প্রতি পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের মাথা লাগবে এমন গুজব বেশ কিছুদিন ধরে এই এলাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করে। সন্ধ্যার পর ওই যুবক শিশুটির সঙ্গে কথা বলে। তা দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা ওই যুবককে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ছেলেঘরা আতঙ্ক শুধু রাজধানীতে নয়। তা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তরুণ কন্ঠ’র আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের বর্ণনায়, গত বেশ কিছু দিন ধরে ‘ছেলেধরা’ আর ‘গলাকাটা’ বাহিনীর গুজব ছড়িয়ে পড়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেরমানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছে। গ্রামে অপরিচিত লোক দেখলেই গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধী ও ভবঘুরে ধরনের ১০ জনকে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রশাসন থেকে বিষয়টিকে স্রেফ গুজব বলা হলেও ছোট শিশুরা বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। গ্রামের সাধারণ মানুষ গলা কেটে নেওয়ার ভয়ে বারান্দা কিংবা খোলা জায়গায় ঘুমাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গুরুত্বসহকারে এই গুজবের লাগাম টেনে না ধরলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
যশোর সদর, ঝিকরগাছা, মণিরামপুর, শার্শা উপজেলার গ্রামে গ্রামে হঠাৎ করেই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে- ৩০০ রোহিঙ্গা ছেলেধরা বের হয়েছে। তারা ছোট শিশুদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সাহিরর সময় ‘গলাকাটা বাহিনী’ এসে হাঁস-মুরগির খোপ খুলে দিচ্ছে। মহিলারা ঘর থেকে বের হলেই মাথা কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নাভারণ ও বাঁকড়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। মণিরামপুরের গোয়ালদহ, ঝিকরগাছা ও যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া, করিচিয়াসহ আরো কয়েকটি গ্রাম থেকে ছেলেধরারা শিশুদের ধরে নিয়ে গেছে—এমন গুজব ছড়িয়েছে।
বেনাপোল প্রতিনিধি জানান, শুক্রবার সকালে বেনাপোল মাছ বাজারের পেছনে নাছিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া প্রদীপ দাসের ছেলে কুমার (৫) ও আলেক হোসেনের ছেলে মুনছুরকে (৪) বুলু (৪৮) নামের এক নারী ভুলিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে। প্রথমে তাকে রোহিঙ্গা বলে দাবি করা হলেও পরে জানা যায়, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। তার বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার শালবরাত গ্রামে। স্বামীর নাম অরবিন্দ। এর আগে জনতার হাতে আটক হয় সিলেটের ছাতক উপজেলার দক্ষিণসার গ্রামের জমসের আলীর ছেলে গিয়াসউদ্দিন (৩৩), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীকলস গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী হাফিনা বেগম (৪৪) ও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া গ্রামের সঞ্জিতের স্ত্রী নমিতা। তাদের মারধর করে পুলিশে দেওয়ার পর পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
খুলনা অফিস জানায়, ছেলেধরা রোহিঙ্গা সন্দেহে খুলনায় ৬০ বছরের অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে। ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনার কাঁঠালিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাহস ঘোষগাতী গ্রামের চিংড়ি ঘের মালিক মেহেদী মোড়ল ও কাঁঠালিয়া বাজারের মুদি দোকানি মধুসুদন মণ্ডলকে আটক করেছে।
একই রাতে উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের নরনিয়া গ্রামে রোহিঙ্গা সন্দেহে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক নারীকে গ্রামবাসী আটক করে পিটিয়ে আহত করে।
ডুমুরিয়া থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, নিহত ব্যক্তি রোহিঙ্গা কি না এখনো জানা যায়নি। ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটক দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরায় সন্দেহভাজন এক মোটরসাইকেলচালককে রোহিঙ্গা ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে আহত করেছে এলাকাবাসী। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বাঁকাল তিন রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত রিয়াজ উদ্দীন মোড়ল (৪০) দেবহাটা উপজেলার গোবরাখালী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। 
আহত রিয়াজ জানান, তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাঁকাল কোল্ড স্টোর মোড় এলাকায় কিছু যুবক তাঁর মোটরসাইকেল থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাঁকে ছেলেধরা রোহিঙ্গা সন্দেহ করে মারধর শুরু করে। ইটাগাছা ফাঁড়ির পুলিশ খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
গত শুক্রবার দুপুরে বান্দরবানে ছেলেধরা সন্দেহে রোকেয়া (১৮) নামে এক রোহিঙ্গা নারীকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। আহত অবস্থায় পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আগাপাড়া এলাকায় মাঠে গরু চড়াতে যাওয়ায় শুভ নামের এক ছেলে রোহিঙ্গা নারী কাছে ডাকে। অপরিচিত নারী ছেলেটিকে কাছে ডাকার বিষয়টি সে পরিবারের লোকদের বললে স্থানীয়রা রোহিঙ্গা নারীকে ধাওয়া করে। পালিয়ে যাবার সময় রোহিঙ্গা নারীকে গ্রামবাসী আটকিয়ে গণপিটুনি দিয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করেছে। পরে চিকিৎসার জন্য পুলিশ তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দার উজ্জল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, রোহিঙ্গা নারীটি কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প থেকে এসেছে। তার সঙ্গে আরও ৪ জন রয়েছে বলে রোহিঙ্গা নারী গণপিটুনির সময় এলাকাবাসীর কাছে স্বীকার করেছে। তবে আটক নারীর চিৎকার শুনে অন্যরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সদরের লেমুঝিড়ি আগাপাড়া এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। গণপিটুনিতে আহত নারীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় পৃথক স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন এক নারী।
গতকাল শনিবার পাইনাদী শাপলা চত্বর এলাকায় এ ঘটনা দুটি ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাদের বয়স ২২-২৫ বছর হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সাখাওয়াত জানান, ৬-৭ বছরের এক মেয়ে শিশুর হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। এসময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে স্থানীয় দুই যুবকের সন্দেহ হয়। তারা ওই যুবককে শিশুটি কার জিজ্ঞেস করলে তিনি শিশুকে নিজের বলে দাবি করেন। ঘটনাস্থলের অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন শিশুটির বাবা। তিনি যুবকের কথা শুনে ঘটনাস্থলে এলে শিশুটি তার বাবার কাছে চলে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন ও যুবককে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে নারায়ণগঞ্জস্থ খানপুর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ও যুবকের পুরো পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে শাপলা চত্বর এলাকায় ২২ থেকে ২৫ বছরের এক নারী খেলনা ও খাবার দিয়ে এক শিশুকে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্দেহ হলে তারা শিশুটি কার বলে জিজ্ঞেস করেন। তিনি কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার রোষানল থেকে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শাহীদুল ইসলাম।
ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে গণপিটুনির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চাবাগান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন চা শ্রমিক।
স্থানীয়দের সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই মাঝেরডাবরি এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনায় ছেলেধরা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিন ভোরে চা বাগান এলাকায় এক যুবককে ধরে ফেলেন বাগানের নিরাপত্তা রক্ষী। অভিযোগ, অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবককে মারধর শুরু করেন বাগান শ্রমিকরা। বাগানের ম্যানেজার ওই যুবককে উদ্ধার করার চেষ্টা করায়, অফিস ঘরের দরজা ভেঙে ফেলা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ, ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসর সেল। পুলিশ সূত্রে খবর, আহত যুবকের নাম তনুজ ঋষি। বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। ট্রেনে চেপে আলিপুরদুয়ারে চলে আসে ওই যুবক। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৮ জুলাই ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক পেটানো হল এক ব্যক্তিকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন এলাকার মানুষ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট-পাথড় ছোঁড়া হয়। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল এলাকা।
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে ছেলেধরা গুজব ছড়ানো এবং গণপিটুনির ঘটনায় ১৫ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে মতলব দক্ষিণ থানায় মামলাটি দায়ের করেন গণপিটুনির শিকার মধু বিক্রেতা আমির হোসেনের (৩৮) ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন। এ মামলায় পুলিশ মোহন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। গতকাল তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার খিদিরপুর গ্রামে আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তি মধু বিক্রি করছিলেন। এ সময় কয়েক শিশু সেখানে মধু খাওয়ার জন্য জড়ো হয়। ওই গ্রামের ইউপি সদস্য মোবারক হোসেনের নাতিন মার্জিয়াকে মধু খাওয়ান আমির হোসেন। এ সময় মধু খাইয়ে গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে গুজব ওঠে। এতে ওই আমির হোসেনকে ছেলেধরা হিসেবে সন্দেহ করেন স্থানীয়রা। তার পর তাকে পাকড়াও করার জন্য ওই গ্রামে মাইকিং করা হয়।
মহূর্তের মধ্যে চারদিক থেকে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে আমির হোসেনকে গণপিটুনি দেয়।

এই বিভাগের আরো খবর