শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৭৬

মাগুরায় অপহরণের দেড় মাসেও আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

ফারুক আহমেদ, মাগুরা

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২১  

মুরাদ কাজী, পিতা- কালাম কাজী, এবং মনিরুল কাজী, পিতা- মৃত মতিয়ার কাজী, গ্রাম- ঘোষপুর, থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা- মাগুরাদ্বয়ের বিরুদ্ধে ১৩ তাং ৯-০৪-২১ ধারা ৭/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সাল (সং/২০০৩) মামলা মাগুরা থানায় রজু করা হয়েছে। মাগুরা থানার এজাহার সূত্রে, মোঃ জবেদ আলী (৫২), পিং- মৃত মকছেদ আলী, সাং- রায়গ্রাম, থানা- মাগুরা সদর, আমার কন্যা মোছাঃ রত্না খাতুন (১৬) মাগুরা সদরের নিশ্চিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আসামি মুরাদ কাজী ও তার চাচাতো ভাই মনিরুল কাজী ৬ এপ্রিল আনুমানিক সকাল ৯.৩০ মিনিটের সময় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে নিশ্চিতপুর হাইস্কুলের সম্মুখে রাস্তার উপর থেকে রত্না খাতুনকে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি স্থানীয় এলাকাবাসীর দুজন লোকের দৃষ্টিগত হয় তারা হলো মোঃ আতিয়ার শেখ (৩৮), পিং- মৃত আজিত শেখ ও জহুর শেখ, পিং- মৃত মোকছেদ শেখ, উভয় সাং- রায়গ্রাম। ঘটনাটি দেখার পর তারা মেয়েটিকে চিনতে পেরে মেয়েটির পিতা ও মাতাকে খবর দেয়। মেয়েটির পিতা ও ভাইয়েরা ঘটনাটি জানার পর এক পর্যায়ে ছেলেটির পরিচয় জানতে পারে। রত্নার পিতা ও ভাইয়েরা কান্নাকাটি করতে করতে ছেলের বাড়ির পাশে পান্নু চেয়ারম্যানের বাড়িতে যায়। ৫ নং বালিদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান দায়িত্বরত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ পান্নু বিশ্বাস। চেয়ারম্যান ঘটনাটি জানার পর মুরাদ কাজীর পিতা-মাতা ও চাচাত ভাইদের কে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তারা চেয়ারম্যান কে বলে দেয় কেস মামলা যা করে করুক মেয়ে আমরা দিব না। তারপর রত্নার পিতা ও ভাইয়েরা অসহায় হয়ে চলে এসে মাগুরা সদর থানায় মামলা করে। মেয়েটি আজ পর্যন্ত বেঁচে আছে কিনা কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়  নাই তার পরিবার দাবী। কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি ছেলেটির খোজ পেয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করা হল। ছেলেটির এক আত্মীয়ের বাড়ি মহম্মদপুর বওজানী খানপাড়ার আরজ আলী খান (৫০), পিং- নওশের আলী খানের বাড়িতে সপ্তাহখানেক স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে অবস্থান করে, তারপর সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর আর কোন খবর পাওয়া যায়নি। ছেলের ব্যাপারে বালিদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পান্নু বিশ্বাস, মুরাদের পিতা, মাতা ও চাচারা প্রতিবেদককে বলেন, মুরাদ কাজী ও মনিরুল কাজী দুজনেই সমান অপরাধী একজন নিরীহ অপ্রাপ্ত নাবালিকা মেয়েকে জোর করে ধরে নিয়ে আইনের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ করেছে, তাই আমরা  পুলিশ ও মহামান্য আদালতের কাছে  আইনের সহায়তায় অপরাধীদের সঠিক বিচার ও শাস্তির দাবি চাই। মাগুরা সদর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, ভিকটিম ও আসামীদের ধরার জন্য পুলিশের একটি চৌকস টীম সাবক্ষণিক চেষ্টা করে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর