শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৬ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫৫১

নীলফামারীতে মুক্তিযোদ্ধা চাচা দ্বারা ভাতিজা প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ

মোঃ নাঈম শাহ্, নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২১  

নীলফামারীতে প্রতারণার মামলা নিস্পত্তি হওয়ার পরেও আবার প্রতারনা করেছে ভুক্তভোগী ফরহাদ নওরোজ নাহীন এর চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক পাটাশ। দীর্ঘদিন ধরে আপন চাচা আমিনুল হক জমি-জমা সহ নানা ভাবে প্রতারণা জালিয়াতি করে আসছেন বলে অভিযোগ করেন ভাতিজা ফরহাদ নওরোজ নাহীন।

সূত্রমতে, গত ২৩শে মার্চ রেজিষ্টার্ড বিনিময়পত্র ২৬৪৮/২০২১ নাম্বারে দলিল সম্পাদনা করেন। সেখানে ২দাগে ২৪.১২শতক জমি জোত বিনিময় হয় ২৬.৫০ শতক। তবে  আর.এস ৫৩৬৪ দাগের মধ্যে ৬৪ শতকের ১৬ শতক এবং আর.এস ৫৩৬৫ দাগে ২৮ শতকের মধ্যে ১০.৫০ শতক জমি চাচা আমিনুল হক ও ভাতিজা নাহিন এর মধ্যে জোত বিনিময় হয়। কিন্তু বিনিময়কৃত জমিগুলো এর আগে গত ২ মার্চ ২০২১ইং তারিখে দুই ছেলে ও স্ত্রীর নামে হেবা দলিল করেন যাহার নং ১৮৭২/২১।

প্রতারিত ফরহাদ নওরোজ নাহিন অভিযোগ করে বলেন, বন্টননামা দলিল ১৮৭১/২১ দেওয়ার পরেও বিএস ৫৩৬৪ ও ৫৩৬৫ একই তারিখে ১৮৭২/২১ নং দলিল মূলে দুই পুত্র ও স্ত্রীকে হেবা  ঘোষনা করার  ২১ দিন পর একই দলিল লেখক আব্দুল্লাহার মাধ্যমে ২৬৪৮/২১ বিনিময় পত্র দলিল সম্পাদনা করেন যা এক ধরনের প্রতারণা ও ধোঁকা বাজি। ২৬৪৮/২১নং দলিলটি সম্পাদনা করতে প্রায় এক ল¶ টাকার ¶তির সম্মূখীন হয়েছি। 

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে আমার স্বীয় চাচা নানান অজুহাতে আমাকে ঠকিয়ে আসছে, সর্বশেষ মহামান্য কোর্টের আদেশ মতো তিনি আবার প্রতারণা করেছেন। একজন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়েও তিনি সরকারের নিয়মকানুন কে বৃদ্ধাঙ্গুলী  দেখাচ্ছেন।  এর আগে ও বিজ্ঞ আদালতে সি.আর ৪৪৭/২০ মামলা নিস্পত্তি করে নেওয়ার পরেও  প্রতারণাকে প্রশ্রয় দিয়ে শর্ত ভঙ্গ করেছেন মর্মে আমার চাচা আমিনুল হক পাটাশকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছি আমি।

নাহিনকে বিনিময় দলিল দিয়ে প্রতারণা করার পূর্বে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে জমি  লিখে  দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক পাটাশ বলেন, জমি রেজিষ্ট্রেশন করার সময়, সমস্ত কাগজাদি দলিল লেখক আব্দুল্লাহ কে বুঝিয়ে দিয়েছি। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে সংশোধন করে দেবো। 

এক দাগের জমি দুই বার রেজিস্ট্রী করা বিষয়ে নীলফামারী দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সস্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট জবাব না দিয়ে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এক দাগের জমি দুই বার রেজিস্ট্রী করা বিষয়ে সদর উপজেলা সাব-রেজিষ্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, দলিল লেখক আমাকে দলিল পার করে দেয়। আমি সব কাগজপত্রাদি দেখি। কিন্তু ওই জমি এর আগে রেজিস্ট্রি হয়েছে কি না তা জানার উপায় আমার এখানে নেই। এরকম যদি হয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এই বিভাগের আরো খবর