বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫   বৈশাখ ১৮ ১৪৩২   ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫১

ধানমন্ডির আলোচিত বাড়িটির রায়সহ সব নথি দাখিলের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

সাংবাদিক আবেদ খানের দাবি করা ধানমন্ডির বাড়ি নিয়ে হাইকোর্টের রায়সহ সকল নথি ৫ মার্চের মধ্যে আপিল বিভাগে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।   রোববার এ মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল বিভাগকে বলেন হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়টি এখনো প্রকাশিত হয়নি। পরে রাষ্ট্রপক্ষকে এক মাস সময় বেঁধে দেন আপিল বিভাগ।

গত ২১ নভেম্বর রাজধানী ধানমন্ডির ২নং রোডের ২৯ নম্বর বাড়িটি (প্রায় ৩০০ কোটি টাকার পরিত্যক্ত সম্পত্তি) সরকারের বলে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে বাড়িটির মালিকানা চেয়ে রিট করায় সাংবাদিক আবেদ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

এর আগে, সেটেলমেন্ট কোর্টে হেরে যান আবেদ খান। সে সময় নেহাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তিও বাড়িটির মালিকানা দাবি করেন। তিনটি আদালতে পক্ষে রায় পান নেহাল।
তবে রিভিউ শুনানিতে সরকার বুঝতে পারে, মালিকানা নিয়ে জালিয়াতি হয়েছে। পরে হাইকোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ধানমন্ডির আলোচিত ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৭২ সালে তৎকালীন মালিক পরিত্যাগ করে চলে যাওয়ায় সরকার পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। পরবর্তী সময়ে তোহা খান, আবেদ খান ও অন্যরা ‌ওই সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে মালিকানা দাবি করে ১৯৮৯ সালে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে মামলা করেন।

ওই মামলায় সাক্ষ্য এবং পক্ষদ্বয়ের কাগজপত্র ও সরকারি নিবন্ধক দফতরের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে বর্ণিত সম্পত্তি সরকার আইনসঙ্গতভাবেই পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে মর্মে রায় দেয়া হয়।
এই রায় বহাল থাকা অবস্থায় এস. নেহাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ১৯৮৭ সালের আবেদন দেখিয়ে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে ১৯৯৬ সালে মামলা করেন। এই মামলায় তখন সরকার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়নি। প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দেননি, বা সমর্থনীয় ও আবশ্যকীয় কাগজপত্র দাখিল করা না হলেও এস. নেহাল আহমেদের পক্ষে রায় দেয়া হয়।

এই রায় বাস্তবায়নে এস. নেহাল আহমেদ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। এই মামলাগুলোতে সরকার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্বক প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত দাখিল না করায় হাইকোর্ট পুনরায় এস. নেহাল আহমেদের পক্ষে রায় দেন।
রায়ের বিরুদ্ধে দেরিতে আপিল করায় আদালত আপিল তামাদি ঘোষণা করে সে আবেদন খারিজ করে দেন। এর দীর্ঘদিন পরে পুরো বিষয়টি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে ২০১৮ সালে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টের ১৯৯৭ সালের রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে সরকার পক্ষ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত সরকারের পক্ষে রুল জারি করে। 

এই বিভাগের আরো খবর