রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৭ ১৪৩২   ০১ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৬১

রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের বাঁধভাঙা জোয়ার

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

টানা তিন দিনের ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে এখন পর্যটকদের বাঁধভাঙা জোয়ার। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো পর্যটক ভিড় জমাচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। হোটেল মালিকেরা বলেছেন, এবারের সাপ্তাহিক ছুটির সাথে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটি যুক্ত হওয়ায় ৩ দিনের বন্ধে শুক্রবার থেকে রাঙ্গামাটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক ছুটে এসেছেন। খালি নেই হোটেল মোটেলের কক্ষ গুলোও। জমে উঠেছে পর্যটক সম্পর্কিত ব্যবসা-বাণিজ্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স ও পলওয়েল পার্কে শিশু, বৃদ্ধ,যুবক-যুবতিরা তাদের প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দর্শনীয় স্থান গুলোতে। কেউ কেউ পানি পথে ছুটে যাচ্ছেন সুবলং ঝর্ণা সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে।

 
কিশোরগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক কাউছার সিদ্দিকি জানান, টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে পরিবারকে নিয়ে রূপের রাণী রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে এসেছেন। বেশ উপভোগ করছেন পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

যশোর জেলার মাগুরা থেকে আসা আরেক পর্যটক জানান, তিনিও পরিবার নিয়ে রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে এসেছেন। গত দুইদিন ধরে রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরছেন। পাহাড়-পর্বত নিয়ে দারুণ একটি অনুভূতি তৈরি হলো তাঁর মধ্যে। তিনি আরো জানান, রাঙ্গামাটি পর্যটন গুলো আরো উন্নতমানের হলে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের প্রচুর সমাগম ঘটবে।

রাঙ্গামাটি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম. নেকবর আলী জানান, করোনার কারণে পর্যটক দীর্ঘদিন শূন্য ছিল রাঙ্গামাটি। টানা তিন ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটায় খুশি হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকেরা।

ট্যুরিষ্ট বোট-মালিক কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রমজান আলী জানান,টানা দিনের ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। ফলে টুরিস্ট বোটগুলোও খালি যাচ্ছে না। করোনার কারণে বন্ধ থাকার পর এই তিন দিনের ছুটিতে ভালো লাভবান বোট-মালিকেরা।

রাঙ্গামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, করোনা কারণে হোটেল-মোটেল বন্ধ থাকার পর এ প্রথম রাঙ্গামাটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। জেলায় মোট ৪৫টি হোটেল-মোটেল রয়েছে। সবগুলোই প্রায় শতকরা ৮০ ভাগই বুকিং হয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, রাঙ্গামাটিতে নির্দিষ্ট বাস গাড়ি ছাড়া বিলাসবহুল কোন এসি বাস প্রবেশ করতে না পারায় পর্যটক কম হচ্ছে বলে তিনি জানান।

রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, পর্যটকের প্রচুর সমাগম হওয়ায় আবাসিক হোটেল গুলোর শতভাগ কক্ষই বুকিং রয়েছে। এই দিনেই প্রায় ৩ লক্ষ টাকারও অধিক সরকারি রাজস্ব খাতে আয় হবে বলে তিনি জানান।

রাঙ্গামাটি টুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক মাকছুদ আহমেদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র অতিরিক্ত টুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং কাপ্তাই হ্রদে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছে। পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে সব পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে বেড়াতে পারবে।

এই বিভাগের আরো খবর