বুধবার   ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৫ ১৪৩২   ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২১

প্রাণঘাতী বিক্ষোভের পর সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো নেপাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫  

নেপাল সরকার দেশজুড়ে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর অবশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। সরকারের এক মন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

নেপালের মন্ত্রিসভার মুখপাত্র এবং যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুঙ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে জানান, গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছি। এখন এগুলো সচল আছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডইন ও ইউটিউবসহ ২৬টি মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছিল। সরকার বলেছিল, ভুয়া তথ্য, প্রতারণা ও ঘৃণামূলক বক্তব্য ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তবে এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বড় শহরগুলোতে হাজার হাজার তরুণ ও শিক্ষার্থী রাস্তায় নামে। ‌‘জেন জি আন্দোলন’ নামে পরিচিত এই বিক্ষোভে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সংকট নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, পানির কামান, লাঠিচার্জ এমনকি সরাসরি গুলি চালায়। এতে শুধু কাঠমান্ডুতেই ১৭ জন নিহত হন। আরেক শহর ইটাহারিতে মারা যান আরও দুজন।

দেশজুড়ে আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। অনেকে বলছেন, এ সংখ্যা ৪০০’র কাছাকাছি, যার মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আছেন। গত কয়েক দশকে নেপালে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ বিক্ষোভের ঘটনা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে, বিক্ষোভ দমনে নেপালি নিরাপত্তা বাহিনী ‘অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে’-এমন অভিযোগ তারা পেয়েছে।

সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শমদাসানি বলেন, আমরা নেপালে বিক্ষোভকারীদের হতাহত ঘটনায় স্তম্ভিত। দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। সরকার সোমবার রাতেই জানায়, ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ প্যানেল গঠন করা হবে এবং নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।

এই বিভাগের আরো খবর