সোমবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২১ ১৪৩২   ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫

দ্রুত গাজা শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২৫  

দ্রুত গাজা শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে মধ্যস্থতাকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (৬ অক্টোবর) মিশরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। মধ্যস্থতাকারীরা একত্রিত হলে গাজা যুদ্ধের অবসানের প্রচেষ্টায় জড়িত সবাইকে ‌দ্রুত আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। খবর বিবিসির।

হামাস ২০ দফা মার্কিন শান্তি পরিকল্পনার কিছু অংশে সম্মত হওয়ার পর এই আলোচনা শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের কাছে গাজার শাসনব্যবস্থা হস্তান্তর অন্তর্ভুক্ত। তবে অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করছে।

হামাসের প্রতিক্রিয়ায় তাদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজার শাসনব্যবস্থায় ভবিষ্যতে কোনো ভূমিকা পালন না করার মূল দাবিগুলো উল্লেখ করা হয়নি।

আলোচনা খুব সফল হয়েছে বলে উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প বলেন, আমাকে বলা হয়েছে যে প্রথম পর্যায় এই সপ্তাহে সম্পন্ন করা উচিত এবং আমি সকলকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সময় এসেছে, অন্যথায় ব্যাপক রক্তপাত হবে। এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গেআলাপকালে ট্রাম্প বলেন, তিনি মনে করেন জিম্মিদের খুব শিগগির মুক্ত করা হবে।

তাকে শান্তি পরিকল্পনার নমনীয়তা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমাদের নমনীয়তার প্রয়োজন নেই, কারণ সবাই এতে প্রায় একমত, তবে সর্বদা কিছু পরিবর্তন আসবে।

তিনি আরও বলেন, এটা ইসরায়েলের জন্য একটি দুর্দান্ত চুক্তি, এটি সমগ্র আরব বিশ্ব, মুসলিম বিশ্ব এবং বিশ্বের জন্য একটি দুর্দান্ত চুক্তি, তাই আমরা এতে খুব খুশি।

এদিকে প্রস্তাবিত পরিকল্পনার প্রতি হামাস সাড়া দেওয়ার পর শুক্রবার ট্রাম্প ইসরায়েলকে ‘অবিলম্বে বোমা হামলা বন্ধ’ করার কথা বলার পরেও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।

ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান রোববার সাংবাদিকদের বলেন, যদিও গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে কিছু বোমা হামলা আসলে বন্ধ হয়ে গেছে।

বেদ্রোসিয়ান বলেছেন, যদি গাজার যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের জীবনের জন্য কোনো হুমকি থাকে তবে ‘প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশে’ পাল্টা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

গাজা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল রোববার পর্যন্ত বিমান হামলা এবং ট্যাঙ্ক হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি সেনারা গাজা শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংস করেছে।

বিবিসির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, রোববার সকালে ইসরায়েলের কিব্বুৎজ বেইরিতে সীমান্তের কাছে গাজার ভেতর থেকে তিনি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে আরও ৬৫ জন নিহত হয়েছেন।


মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিবিসির অংশীদার সিবিএস নিউজকে বলেন, জিম্মিদের মুক্তির জন্য বোমা হামলা বন্ধ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বোমাবর্ষণ চলতে থাকা অবস্থায় জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া যাবে না... এটা বন্ধ করতে হবে। তবে অন্যান্য সরবরাহের মাধ্যমেও কাজ করতে হবে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জিম্মিদের বের করে আনতে চাই।

২০-দফা পরিকল্পনায় যুদ্ধের তাৎক্ষণিক অবসান এবং শত শত ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ৪৮ জন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব জিম্মির মধ্যে মাত্র ২০ জন জীবিত রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর