বৃহস্পতিবার   ৩০ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ১৪ ১৪৩২   ০৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিলের পঞ্চম দিনের শুনানি চলছে

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৫  

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দায়ের করা আপিলের পঞ্চম দিনের শুনানি চলছে।

 

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির।

 

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চতুর্থ দিনের শুনানি শেষ হয়। ওইদিন জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি শেষ করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

 

২৩ অক্টোবর তৃতীয় দিনের শুনানিতে ইন্টারভেনর হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। তার আগে ২২ অক্টোবর দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ২১ অক্টোবর।

 

এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

 

এরপর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

 

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ত্রয়োদশ সংশোধনী। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

 

পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে।

 

এর পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়। ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে সংশোধনী কার্যকর হয়।

 

সরকার পরিবর্তনের পর গত ৫ আগস্ট রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৬ অক্টোবর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গত বছরের ২৩ অক্টোবর আলাদা আবেদন করেন।
 

 

এই বিভাগের আরো খবর