সাতক্ষীরায় পানিফল চাষে লাভজনক: মৌসুমী ফল জনপ্রিয়তা পাচ্ছে
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২০

পানিফল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এর ইংরেজি নাম ডধঃবৎ পযবংঃহঁঃ এবং উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ঞৎধঢ়ধ নরংঢ়রহড়ংধ। পানি ফলের আদিনিবাস ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা হলেও এর প্রথম দেখা পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকায়। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় পানি ফলের বাণিজ্যিক ভাবে চাষ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। পানিফল একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। জলাশয় ও বিল-ঝিলে এ ফলটি জন্মে। এর শেকড় থাকে পানির নিচে মাটিতে এবং পাতা পানির উপর ভাসতে থাকে। এক একটি গাছ প্রায় পাঁচ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পানি ফলের আরেক নাম ‘সিংড়া’।
ফলচাষ শুরু হয় ভাদ্র-আশ্বিন মাসে এবং ফল সংগ্রহ করা হয় অগ্রহায়ন-পৌষ মাসে। পানিফল কচি অবস্থায় লাল, পরে সবুজ এবং পরিপক্ক হলে কালো রং ধারন করে। ফলটির পুরু নরম খোসা ছাড়ালেই পাওয়া যায় হৃৎপিন্ডাকার বা ত্রিভুজাকৃতির নরম সাদা শাসঁ। কাঁচা ফলের নরম শাসঁ খেতে বেশ সুস্বাদু। প্রতি ১০০ গ্রাম পানিফলে ৮৪.৯ গ্রাম পানি, ০.৯ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ২.৫ গ্রাম আমিষ, ০.৯ গ্রাম চর্বি, ১১.৭ গ্রাম শর্করা, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৮ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.১১ মিলি গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ ও ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। তাছাড়া এ ফলে ৬৫ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে। পানিফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। দেহের প্রয়োজনীয় খনিজ লবণগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম। ফসফরাসের সহযোগিতায় শরীরের হাড় ও দাঁতের গঠন এবং মজবুত করা ক্যালসিয়ামের প্রধান কাজ। লৌহ অত্যন্ত জরুরি একটি খনিজ লবন। লৌহের অভাবে মানবদেহে অপুষ্টিজনিত রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়। ছোট ছেলেমেয়েরা এবং গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েরা অতি সহজে রোগের শিকার হয়। পানি ফলে যথেষ্ট পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পানি ফলে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমান ১৫ মিলিগ্রাম আর শসাতে আছে ভিটামিন ‘সি’ মাত্র ৫ মিলিগ্রাম । ভিটামিন ‘সি’ শরীরে চামড়া, দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য। তাছাড়া ভিটামিন ‘সি’ অস্ত্রে লৌহ শোষণে সাহায্য করে। বাংলাদেশের শতকরা ৯৩ ভাগ পরিবার ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে ভুগছে। খাদ্যে ভিটামিন ‘সি’ এর ঘাটতি বিবেচনা করে এ ফলের প্রতি আমাদের অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। পানি ফল কাঁচা খাওয়া হয়, তবে সিদ্ধ করেও খাওয়া যায়। কাঁচা পানিফল বলকারক দুর্বল ও অসুস্থ মানুষের জন্য সহজপাচ্য খাবার। ফলের শুকনো শাঁস রুটি করে খেলে এলার্জি ও হাত-পা ফোলা রোগ উপশম হয়। পিওপ্রদাহ, উদরাময় ও তলপেটের ব্যথ্যা উপশমে পানিফল খাওয়ায় প্রচলন রয়েছে। বিছাপোকা কামড়ের যন্ত্রনায় থেঁতলানো কাঁচা ফলের প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়। পানিফল খুব লাভজনক একটি ফসল। এর উৎপাদন খরচ খুব কম। সাতক্ষীরা জেলার সদর, কলারোয়া, দেবহাটা, কালিগঞ্জ, আশাশুনি, সদরের আংশিক ও শ্যামনগর উপজেলায় জলাবদ্ধ এলাকার চাষিরা পানিফল চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন। ফলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ ফলের চাষ। সেই সাথে বাড়ছে ফলটির জনপ্রিয়তা।
জেলার সিংহাভাগ পানিফল চাষ হয় সাতক্ষীরার দেবহাটায়। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এ ফল সারা দেশে ফল হিসেবে পরিচিতি না থাকলেও দিনে দিনে এর চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। পানি ফলের বাম্পার ফলন ও লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে চাষীদের। পানি ফল বা পানি স্যাংড়া নামের ফল চাষে অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় দেবহাটাসহ সাতক্ষীরা জেলার চাষীরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। স্থানীয়ভাবে ফলটি উৎপাদন বেশি হওয়ায় জনপ্রিয় চাষ হয়ে উঠেছে। সুস্বাদু ও প্রিয় মৌসুমে ফল হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে ব্যাপক পরিমান চাষ হচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় দেবহাটাতে প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে হেক্টর প্রতি ৩০ মেট্রিকটন ফলন হয়েছে। উপজেলার সখিপুর, গাজিরহাট, কামটা, কোঁড়া, দেবহাটা, পারুলিয়া, কুলিয়া, বহেরাসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ চাষ ফসল চাষের জমি হিসেবে ডোবা, খানা, মৎস্য ঘেরে সুবিধাজনক। সামান্য লবণাক্ত ও মিষ্টি পানিতে চাষ করা যায়। তাছাড়া পানি ফল গাছ কচুরিপানার মত পানির উপরে ভেসে থাকে, পাতার গোড়া থেকে শিকড়ের মত ডগা বের হয়ে বংশ বিস্তার করে এবং তা থেকে ফল ধারণ করে। পানিফল চাষে খুব বেশি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। সার ও কীটনাশকের পরিমান কম লাগে।
উপজেলার কয়েকজন পানিফল চাষি বলেন, অল্প দিনে মৌসুমী ফল হিসাবে পানি ফল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে পাইকারি বিক্রয় করছেন। তাদের উৎপাদিত ফল পাইকাররা খেত থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ায় বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয় না তাদের।
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ মহাসড়কের সখিপুর ও ডেল্টা মোড় এলাকার খুচরা পানিফল ব্যবসায়ীরা বর্তমানে ২০/২৫ টাকা দরে পানিফল বিক্রয় করছেন। দিনে গড়ে ২০/৩০ কেজি ফল বিক্রয় করে ১০০/১৫০ টাকা লাভ করে। তাদের এটি মৌসুমী ব্যবসা।
পাইকারি পানিফল ব্যবসায়ী কামটা গ্রামের মৃত আব্দুল ছালেকের পুত্র খোকন বাবু সরদার বলেন, চাষের মৌসুম আসার আগে তিনি অর্ধ শতাধিক চাষীর মাঝে অর্থ বিনিয়োগ করেন। পরবর্তীতে ফলন আসার পরে বাজার দর অনুযায়ী উৎপাদিত ফসল ক্রয় করেন। এভাবে ২৫ বছরের বেশি সময় তিনি পানিফল ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন। প্রতিদিন তিনি ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, চিটাগাং, সিলেট, রাজশাহী, বেনাপোল, যশোর, নাটোর, বগুড়া, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ফল রপ্তানি করেন। বর্তমান জেলার বাইরের বাজার ভেদে পাইকারীভাবে বিক্রি করেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফ মোহাম্মাদ তিতুমির জানান, পানিফল চাষ কৃৃষি খাতে চাষ হিসেবে ধরা না হলেও এটি অতিদ্রুত চাষের খাতে আনা হতে পারে। তাছাড়া গত বছরের তুলনায় এর আবাদ বেড়ে চলেছে।
- অ্যান্ড্রয়েডে গুগল অ্যাকাউন্টের নাম বদলাবেন যেভাবে
- দ্য অ্যাথলেটিক
অর্থ ও নিয়ন্ত্রণের খেলা—ফুটবলের ভবিষ্যৎ সৌদি আরবে? - পাঁচ বছর হয়ে গেল প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর নেই
- পাঁচ বছর হয়ে গেল প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর নেই
- পাঁচ বছর হয়ে গেল প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর নেই
- আমরা আমাদের মেয়েদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমিন মুরশীদ
- বাড়িতে বাবার মরদেহ রেখে কেন্দ্রে গেল পরীক্ষার্থী
- তিন দিন ছুটি শেষে খুলেছে সচিবালয়
- জামায়াত কখনো নির্বাচন পেছানো বা আগানোর কথা বলেনি: গোলাম পরওয়ার
- ইয়েমেনের বন্দর-বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা
- চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড
- এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ জুলাই
- রাষ্ট্র সংস্কারের সব বিষয়ে আমরা একমত হবো না: আলী রীয়াজ
- রাষ্ট্র সংস্কারের সব বিষয়ে আমরা একমত হবো না: আলী রীয়াজ
- গুম কমিশন
ইলেকট্রিক শক দিলে পোড়া মাংসের গন্ধ পেতেন - আগামীকাল বগুড়ায় শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে যুবদলের বিক্ষো
- অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু আজান দিতে পারবে?
- রিকশাতেই পড়েছিল চালকের নিথর মরদেহ
- কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর আলম ফের ৩ দিনের রিমান্ডে
- ছাদবাগান করতে আগ্রহীদের পাশে ডিএনসিসি
- ফিক্সড ইন্টারনেটের ৭০০ টাকার প্যাকেজ ৫০০ টাকায়
- হুটহাট মেজাজ হারালে যা করবেন
- শাকিব খানকে ‘মেগাস্টার’ মানতে নারাজ জাহিদ হাসান!
- জুভেন্টাসকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটে রিয়াল
- রংপুর-৪ আসনে নির্বাচন করবেন আখতার হোসেন
- রংপুর-৪ আসনে নির্বাচন করবেন আখতার হোসেন
- রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
- ভোটে ৪.৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে জাপান
- বিমানের টিকিটের মূল্যবৃদ্ধিতে সিন্ডিকেটের থাবা: আসিফ নজরুল
- মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে: আলী রীয়াজ
- কুমিল্লা ২ হোমনা মেঘনার যোগ্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আঃ মতিন খান
- বিপিএল কবে, জানাল বিসিবি
- জুলাইকে গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- আগামীকাল বগুড়ায় শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে যুবদলের বিক্ষো
- ৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা ১৮ জুলাই
- আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পলাতক ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু আজান দিতে পারবে?
- রিকশাতেই পড়েছিল চালকের নিথর মরদেহ
- তুরস্কে দ্বিতীয় দিনে ভয়াবহ দাবানল
- জুলাই বর্ষপূর্তি
৩৬ পর্বের আয়োজনে ধরা দেবে নতুন বাংলাদেশ - বিএনপি ধরে নিয়েছে তারাই ক্ষমতায় যাবে : জামায়াতের নায়েবে আমির
- শহীদ আবু সাঈদের মায়ের দোয়া নিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
- ভোটে ৪.৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে জাপান
- নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
- সব বিভাগে টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস
- কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর আলম ফের ৩ দিনের রিমান্ডে
- বগুড়ায় হচ্ছে নগরায়ণের নতুন মানচিত্র
- হুটহাট মেজাজ হারালে যা করবেন
- ছাদবাগান করতে আগ্রহীদের পাশে ডিএনসিসি
- রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
- টক এবং মিষ্টি স্বাদের চাম কাঁঠাল এখন বিলুপ্তপ্রায়
- ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
- পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে কুমিল্লার ঘোগরাবিল
- দঃ সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা
- লাকসামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
- লাকসাম মনোহরগঞ্জের বন্যার্তদের পাশে নবযাত্রা বাংলাদেশ
- শরীয়তপুরে অনুষ্ঠিত হলো ফুটবল টুর্নামেন্ট পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান
- মেলান্দহ উপজেলা চেয়ারম্যান’কে কোণঠাশা করার চেষ্টা
- গাছের সাথে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন
- লালমাইতে ট্রাক-বাসের মুখমোখী সংর্ঘষে নিহত ২, আহত ১৫ : ছবিসহ
- জমি নিয়ে বিরোধ, গভীর রাতে সন্ত্রাসী হামলা
- মরুভূমির গাছের ফল ধরল বাংলাদেশের মাটিতে! দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়
- জোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ নিম্নস্তরের এলাকা বাসিন্দাদের
- লবণ গুজবে সারা দেশে পুলিশকে মাঠে নামার নির্দেশ
- দক্ষিণ সুনামগঞ্জে দুর্নীতিবিরোধী দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা