শায়েস্তা খাঁর চাল বাঙালির ভাত
তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২১

কয়েন থাকলেও কেউ সেটা ধরতে চান না। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দেয়া ঘোষণা কার্যকর হলে কিছুদিনের মধ্যে বাজার থেকে দুই টাকার নোট-কয়েনও উঠে যাবে। শায়েস্তা খাঁর সময়ে এক টাকায় আট মণ চাল মিলতো সত্য। ওই এক টাকা আয় করা দুরূহ ছিল তাও সত্য। দেশে সেই খোরাকি অর্থনীতি নেই। বিশ্ববাস্তবতাও নেই।
কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই যেখানে চাল, ডাল, আটা, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়েনি। সেটা দ্বিগুণ-ত্রিগুণও। দাম কমার সম্ভাবনাও নেই। জাতিসংঘের বিশ্ব ও খাদ্য সংস্থা এমন পরিস্থিতি আভাস দিয়েছে এক বছর আগেই। শুল্ক হ্রাস, ভর্তুকি দেয়াসহ নানা পদক্ষেপে দেশে-দেশে সরকারগুলো তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু, সাফল্য ধরা দেয় না। বাজারে অনেক বেশি প্রতিযোগিতা থাকলে দ্রব্যমূল্য হাতের নাগালে আনতে সহায়ক হয়। কিন্তু, সেই নমুনা নেই। প্রচুর স্টক ও সরবরাহ থাকলেও আধুনিক দুনিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনার পথ থাকে না। আজ শায়েস্তা খাঁ বেঁচে থাকলেও তাই হতো। এটাই নিষ্ঠুর বাস্তবতা।
অল্প কিছু মানুষের ঘরে আছে মাছ, মাংস, ফল, দুধসহ খাবারের প্রাচুর্য। অন্যদিকে বেশির ভাগ মানুষের থালায় ভাত আর আলুভর্তা, ডাল বা ছোট মাছ কিংবা শাক ছাড়া কিছু নেই। কোনো ঘটনার খেসারত বোঝাতে বাঙালির একটি প্রবাদবাক্য হচ্ছে-‘কত ধানে কত চাল’। এখনকার বাস্তবতায় সেটার ‘কত চালে কত ভাত’-এর অবস্থা।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া এবং জাহাজ ও কন্টেইনার খরচ বেড়ে যাওয়ার শিকার বাংলাদেশ। তারওপর বাংলাদেশে ডলারের দামও বেড়েছে। এই ৩ কারণ থাকলে পণ্যের বাজার চড়তে আর কিচ্ছু লাগে না। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয় বলে আন্তর্জাতিক বাজারের বড় প্রভাব কাজ করে দেশের বাজারে। তারওপর বেড়েছে অতি মুনাফার প্রতিযোগিতা। তবে, কম দামে পণ্য দেয়ার প্রতিযোগিতা নেই বললেই চলে।
কোভিড-উত্তর সময়ে বিভিন্ন দেশে পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক সরবরাহে সংকট প্রকট হয়েছে। এ সুযোগে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির মওকা হয়েছে। এক বছর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ছিলো আটশ ডলার যা এ মূহুর্তে চলছে ১৪৮০ ডলার ধরে। সাড়ে ছয়শ ডলারের পাম অয়েলের দাম এখন ১৩২০ ডলার। আবার ৩০০ ডলারের চিনি বেড়ে হয়েছে ৫১০ ডলার। ২১০ ডলারের গম এখন বিক্রি হচ্ছে ৫১০ ডলারে। দাম বাড়া নিয়ে আমদানিকারক, ব্যবসায়ী, দোকানদারদের যুক্তির পাল্লা তাই যথেষ্ট ভারি।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো পরিবহন খরচ বেড়েছে। পণ্য কিনেও চাহিদা মতো জাহাজ ও কন্টেইনার পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে আমদানীকারকদের। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য সমস্যাটি আরো বেশি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা। অভ্যন্তরীণ উৎপাদিত পণ্যগুলো বাজারে আসতে আসতে দাম চড়ে যাচ্ছে বেহাল পরিবহন ব্যবস্থা ও চাঁদাবাজির শিকার হয়ে। বাড়তি খরচটা ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছ থেকেউ উশুল করে। আর ক্রেতাদের সিংহভাগই সাধারণ শ্রেণির। ভেতো বাঙালি, হাভাতে বাঙালিসহ কতো অপবাদ তাদের। আবার এই ভাতের জন্যই কতো লড়াই।
একেক দেশে একেক খাদ্যাভ্যাস থাকলেও বেশিরভাগ দেশে গম, ধান, আলু প্রায় অভিন্ন। এসব শস্য উৎপাদন করে কৃষক ন্যায্য দাম তো দূরের কথা, সরকার নির্ধারিত দামও পায় না। আবার বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়। বিশেষ করে চাল। বর্তমানে মোটা চাল ৪৮-৫২ টাকা, মাঝারি চিকন চাল ৬০ টাকা এবং চিকন চাল ৭০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বড়াই করে বলা হয়ে থাকে, খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার টন। বর্তমানে বিশ্বে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে। কথা মিথ্যা নয়। এছাড়া সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে সপ্তম, আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশ। হিসাব শক্ত এবং সঠিক।
গোলমালটা তো অন্য জায়গায়। জনসংখ্যার তুলনাটা আড়াল করার বদঅভ্যাস রয়েছে আমাদের। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭১ সালে দেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। আর খাদ্য উৎপাদন ১ কোটি ১০ লাখ টন। ফলে অভাব ছিল। এখন জনসংখ্যা ১৭ কোটি। আর খাদ্যশস্য উৎপাদন সাড়ে চার কোটি টনের বেশি। অর্থাৎ জনসংখ্যা বেড়েছে দুই গুণের একটু বেশি। কিন্তু খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে চার গুণের বেশি। আবার মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। মানুষের আয়-আয়ুর কিন্তু ব্যাপক উন্নতি। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২৫৫০ ডলার ছাড়িয়েছে। মাথাপিছু এতো আয়ে মাথা খোয়া গেলেই বা কী? মরেও শান্তি? তারওপর করোনার সময়েও দেশের অনেক ব্যবসায়ীর আয় হয়েছে ১০০ থেকে ১৭০ কোটি ডলার। বেতনের সঙ্গে কামাই বাড়ছে চাকরিজীবীদের। কিছু মানুষকে গরীব বলা হলেও মাথাপিছু আয়ের গড়ের অংকে তারাও ধনবান। কিন্তু, পকেট ফাঁকা। অল্প কিছু মানুষের ঘরে আছে মাছ, মাংস, ফল, দুধসহ খাবারের প্রাচুর্য। অন্যদিকে বেশির ভাগ মানুষের থালায় ভাত আর আলুভর্তা, ডাল বা ছোট মাছ কিংবা শাক ছাড়া কিছু নেই। কোনো ঘটনার খেসারত বোঝাতে বাঙালির একটি প্রবাদবাক্য হচ্ছে-‘কত ধানে কত চাল’। এখনকার বাস্তবতায় সেটার ‘কত চালে কত ভাত’-এর অবস্থা।
- হজের নিবন্ধনের সময় বাড়বে কি না, জানা যাবে আজ
- বাংলাদেশে সংস্কার অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আগ্রহ বাড়াবে
- ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ
- ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল
- কাল থেকে অনলাইনে জামিননামা, এক ক্লিকে চলে যাবে সংশ্লিষ্ট কারাগারে
- মতলব বাসীর সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবো;ডাঃ শামীম।
- ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে ‘কারাগার ঘোষণা’
- ৪ দাবি না মানা পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের
- শেষ পর্যন্ত এনসিপি ইতিবাচক অবস্থানে আসবে, আশা সিইসির
- বাংলাদেশি তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের
- ক্যাডারদের দ্বন্দ্বে আটকে আছে প্রশাসনিক সংস্কার
- এখনো আতঙ্কে ফিলিস্তিনিরা, যুদ্ধবিরতির সফলতা নিয়ে সন্দিহান
- ৬৮.৩৫ লাখ টন জ্বালানি বিক্রি বিপিসির, শীর্ষে পদ্মা অয়েল
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে নোমানের ক্ষোভ
- কাল থেকেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
- সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ প্রিন্স মাহমুদের
- পুয়ের্তো রিকো ম্যাচের আগে চোটের ধাক্কা আর্জেন্টিনা শিবিরে
- প্রমোদতরীতে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ট্রুডো ও কেটি পেরি
- প্রেস ক্লাবের সামনে সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ শিক্ষকরা
- গৌরবময় ইতিহাসের কুমিল্লা
- গৌরবময় ইতিহাসের কুমিল্লা
- যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
- ইসরায়েলপন্থী মাচাদোর নোবেল জয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক
- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক
- দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন
- যুদ্ধবিরতির পর গাজা শহরে ফিরেছেন পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ
- গাজা যুদ্ধ বন্ধে মিশরে আন্তর্জাতিক সম্মেলন,নেতৃত্বে ট্রাম্প
- ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে যোগ দিতে রোম যাচ্ছেন : প্রধান উপদেষ্টা
- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সিনিয়র সচিব এহছানুল হক
- ৩৪ বছর পর ফের গণভোটের আলোচনা: ঐকমত্য হলে কতটা প্রস্তুত ইসি
- তিতাসে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ
- গৌরবময় ইতিহাসের কুমিল্লা
- লাকসামে জুলাই সনদ ও পি.আর পদ্ধতি নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে নোমানের ক্ষোভ
- লাকসামে শান্তা হাসপিটালের ছাদে সবুজ স্বপ্ন
- এবার আওয়ামী লীগের জন্য এলো বড় দুঃসংবাদ!
- বিশ্বব্যাংকের সতর্কতা: দারিদ্র্য আবারও বাড়ছে
- ৩৪ বছর পর ফের গণভোটের আলোচনা: ঐকমত্য হলে কতটা প্রস্তুত ইসি
- রসায়নে নোবেল পেলেন তিনজন
- নতুন মিশনে আর্জেন্টিনা
- ‘আটকের সময় মনে হচ্ছিল হয়তো আর ফিরবো না’
- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক
- কাল থেকেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
- শান্তি চুক্তি সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: আব্দুস সাত্তার
- সিনেমা আর সংসার পেছনে ফেলে সন্ন্যাসের পথে ঐশ্বরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্ব
- কলকাতার ছবিতে না থাকার কারণ জানালেন তানজিন তিশা
- যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
- টঙ্গীতে ছাত্রদলের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নুরের
- মিস ইউনিভার্স আমিরাত কে এই মরিয়ম মোহাম্মদ?
- কুরআন হাদিসে কাউকে ‘মুরগী চোরা’ বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি
- মহাকাশের জন্ম ও মৃত্যু - ড. মো: হোসেন মনসুর
- তরুণ কন্ঠের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম, শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা
- এইডস নিয়ে সচেতনতাই মূল লক্ষ্য
- গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রেনিটিডিনে মিলল ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদান
- প্রযুক্তির অধিক ব্যবহারের সাথে বেড়ে চলেছে অনলাইন প্রতারনা
- আইনের সঠিক ব্যবহার নাকি প্রয়োজন নতুন আইনের?
- বৃহৎ কার্যসিদ্ধির আদ্যপ্রান্তে!
- ইমান আর অনুভূতির জায়গা এক নয় : ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান
- বঙ্গবন্ধু ও কলকাতার বেকার হোস্টেল
- রমজান মাস স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ উপহার
- আপনিও দৈনিক তরুণ কণ্ঠে’র অংশ হয়ে উঠুন, লিখুন তরুণ কণ্ঠে
- ওয়ারী তালাবদ্ধ এবং বাস্তবতা
- ধর্ষণ,তোমার শেষ কোথায়?
- রাজনীতিকের দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কোথায়? - সাজেদা মুন্নি