দখলদার রক্ষার এ ভূমিকা কার স্বার্থে
তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৩

বাংলাদেশ ভূখণ্ডের সৃষ্টি, গড়ে ওঠা সভ্যতা এবং অধিবাসীদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে নদীর সম্পর্ক অচ্ছেদ্য। দেড় হাজারের মতো নদীর অস্তিত্ব থাকলেও নির্বিচার দখল ও সীমাহীন দূষণে বেশির ভাগই এখন মৃতপ্রায়। নদ-নদী রক্ষায় সরকার ১০০ বছরের মহাপরিকল্পনা করেছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠনের পাশাপাশি প্রণীত হয়েছে জাতীয় পানি আইন। উচ্চ আদালত বাংলাদেশের নদ-নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নদী রক্ষায় কমিশনকে অভিভাবক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, অভিভাবক সংস্থাটি দখলদারদের রক্ষায় রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমেছে।
প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চার বছর সমীক্ষা চালিয়ে ৪৮টি নদী দখলের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৩৮ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছিল নদী রক্ষা কমিশন। কিন্তু গত ১৫ ডিসেম্বর কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দখলদার নিয়ে তৈরি করা সেই তালিকা প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকি সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দখলদার স্থাপনার তালিকা দিয়ে পরে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দখলদারদের নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তের পেছনে কমিশনের চেয়ারম্যানের যুক্তি হলো, উচ্চ আদালতের এক রায়ে সিএস রেকর্ডের ভিত্তিতে অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পে তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে পানি আইন ২০১৩-এর ভিত্তিতে। এ তালিকা প্রকাশ করলে আইনি ও প্রশাসনিক সমস্যা হতে পারে। প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, সমীক্ষায় দখলদারদের নাম নেই, শুধু স্থাপনার নাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিবেশ ও জলবায়ুবিশেষজ্ঞ মুনির হোসেন চৌধুরী বলেছেন, প্রথমে দখলদারদের নাম দেওয়া হলেও কমিশনের চেয়ারম্যানের চাপে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি শুরুর সময় কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন মুজিবুর রহমান হাওলাদার। তিনি বলেছেন, সব আইন মেনে দখলদারদের তালিকা করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে তালিকা বাদ দেওয়ার অর্থ হচ্ছে দখলদারদের প্রশ্রয় দেওয়া। পরিবেশ আইনবিদেরাও বলছেন, ‘নদীদূষণ ও অবৈধ দখলদারি থেকে ৪৮ নদী রক্ষা’ প্রকল্পটিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার ব্যত্যয় হয়নি। এ প্রকল্পে দখলদার চিহ্নিত করতে শুধু পানি আইন নয়, বন্দর আইন ও ভূমি আইনের সহায়তা নেওয়া হয়। এ ছাড়া মহাকাশবিষয়ক গবেষণা সংস্থা স্পারসোর সহযোগিতা নিয়ে জিপিএসের ভিত্তিতে নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হয়। সরেজমিনে পরিদর্শনও করেছেন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এ প্রেক্ষাপটে সিএস খতিয়ানের দোহাই তুলে দখলদারদের তালিকা বাদ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নদী কমিশন নিয়েছে, তা চূড়ান্ত অযৌক্তিক। কেননা, ১৯৪০ সালে করা সিএস খতিয়ানে চিহ্নিত সব নদ-নদীর অবস্থান এখন আর আগের জায়গায় নেই। পানি আইনে নদীর সীমানা ও তীরবর্তী ভূমিকে সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা আছে। সিএস খতিয়ানের সঙ্গে পানি আইন সাংঘর্ষিকও নয়।
নদ-নদী ও প্রাকৃতিক জলাশয় দখল ও দূষণের আশঙ্কাজনক চিত্র প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়। রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবশালী থেকে শুরু করে সরকারি সংস্থা—সবাই এ প্রক্রিয়ায় শামিল। উচ্চ আদালত নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে দখলদারদের কবল থেকে নদী মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
একসময় দখলদারদের তালিকা তৈরি করে সারা দেশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। সেটি এখন বন্ধ থাকায় দখলদারদের একপ্রকার পুনর্বাসনই করা হলো। আর এখন কমিশন অস্বচ্ছ উপায়ে দখলদারদের তালিকা প্রকাশ না করার যে সিদ্ধান্তটি নিয়েছে, তা স্মরণকালের মধ্যে নদ-নদীর ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত। নদী রক্ষা কমিশন কোনোভাবেই দখলদার রক্ষার কমিশনে পরিণত হতে পারে না। প্রশ্ন হলো, কার স্বার্থ রক্ষায় নেমেছে নদী কমিশন। অবৈধ দখলদারের নাম প্রকাশ না করলে কাদের নাম প্রকাশ করবে সংস্থাটি?
- গাজীপুর সদরে বাসা-ভাড়া প্রসঙ্গে শিল্প পুলিশের মতবিনিময় সভা
- আমি বুড়িগঙ্গা, আমাকে বাচাঁও
- নির্বাচনের পর শ্রম আইন সংশোধন করা হবে : আইনমন্ত্রী
- বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা
- ধামরাইয়ে তিনতলা হাসপাতাল ভবন গুঁড়িয়ে দিলেন ইউএনও
- ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি দুই যুবক নিহত
- নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল শিশুর মরদেহ
- শরিকদের নিয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী
- বাংলাদেশে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ভাবছে না যুক্তরাষ্ট্র
- নির্বাচন কমিশন চাপে নেই বরং সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে
- আজ-কালের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত
- জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন ‘সিআইডি’র ফ্রেডরিক্স
- গাজীপুরে বাসা-ভাড়া প্রসঙ্গে শিল্প পুলিশের মতবিনিময় সভা
- একদিনে ৬৮২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, ঢাকার বাইরে ৫৪৭
- ওসি বদলিতে আরও ৩ দিন সময় পেল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- বদলি হতে পারেন ২৫০ ইউএনও, ৩২০ ওসি
- সিঙ্গাপুরকে ৮ গোলে উড়িয়ে দিলেন সাবিনারা
- শেরপুরের ৩ টি আসনে কাজ করছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি
- গুলিস্তানে আ.লীগ কার্যালয়ের পাশে বাসে আগুন
- প্রথম ধাপে বদলি হচ্ছেন প্রায় ৫০ ইউএনও
- প্রার্থী অযোগ্য হলে আ.লীগের কিছু করার নেই : কাদের
- বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ, ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন বিএনপির
- ঠাকুরগাঁওয়ে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করে নবান্ন উৎসব
- মৃত্যু উপত্যকা গাজা: ১ দিনে ৭শ ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়ে নিল ইসরায়েল
- নীতিমালা না মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, প্রতিবাদে মানববন্ধন
- বানিয়াচংয়ে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা
- নওগাঁ ধানের চাতাল থেকে নারীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার
- মানবিক সাহায্যের আবেদন বাঁচতে চায় মাসুদ রানা..
- স্বামীর জন্য মৃত স্ত্রীকে দেখা কি জায়েজ?
- মালাইকাকে দেখে রাতের ঘুম ভালো হবে ফারিয়ার
- জবিতে বিএনসিসি আন্ত:প্লাটুন ডিল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- মানবিক সাহায্যের আবেদন বাঁচতে চায় মাসুদ রানা..
- ধামরাইয়ে তিনতলা হাসপাতাল ভবন গুঁড়িয়ে দিলেন ইউএনও
- ঠাকুরগাঁওয়ে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করে নবান্ন উৎসব
- গাজীপুরে বাসা-ভাড়া প্রসঙ্গে শিল্প পুলিশের মতবিনিময় সভা
- বদলি হতে পারেন ২৫০ ইউএনও, ৩২০ ওসি
- গুগলের সাহায্যে আয় করার ৪ উপায়
- গন্তব্যে না পৌঁছা পর্যন্ত নির্বাচনী ট্রেন কোথাও থামবে না: কাদের
- ইসরায়েলের হামলায় তিন ঘণ্টায় ৩২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
- কুমিল্লা-৪ আসনে স্বতন্ত্র পদে মনোনয়ন জমা দিলেন আবুল কালাম আজাদ
- সংসদ নির্বাচন তো আল্লাহর হুকুমেই হচ্ছে, মন্তব্য হাইকোর্টের
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিবন্ধী দিবস পালিত
- নীতিমালা না মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, প্রতিবাদে মানববন্ধন
- স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বাউল শিল্পী
- অন্যের বিরুদ্ধে মামলা করেই কোটি টাকা আয়
- তফসিল পুনর্নির্ধারণের কোনো সুযোগ নেই : ইসি সচিব
- স্বামীর জন্য মৃত স্ত্রীকে দেখা কি জায়েজ?
- মালাইকাকে দেখে রাতের ঘুম ভালো হবে ফারিয়ার
- সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার পথে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’
- ওসি বদলিতে আরও ৩ দিন সময় পেল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- মহাকাশের জন্ম ও মৃত্যু - ড. মো: হোসেন মনসুর
- তরুণ কন্ঠের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম, শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা
- এইডস নিয়ে সচেতনতাই মূল লক্ষ্য
- কুরআন হাদিসে কাউকে ‘মুরগী চোরা’ বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি
- আইনের সঠিক ব্যবহার নাকি প্রয়োজন নতুন আইনের?
- বৃহৎ কার্যসিদ্ধির আদ্যপ্রান্তে!
- গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রেনিটিডিনে মিলল ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদান
- ইমান আর অনুভূতির জায়গা এক নয় : ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান
- প্রযুক্তির অধিক ব্যবহারের সাথে বেড়ে চলেছে অনলাইন প্রতারনা
- বঙ্গবন্ধু ও কলকাতার বেকার হোস্টেল
- রাজনীতিকের দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কোথায়? - সাজেদা মুন্নি
- ওয়ারী তালাবদ্ধ এবং বাস্তবতা
- আপনিও দৈনিক তরুণ কণ্ঠে’র অংশ হয়ে উঠুন, লিখুন তরুণ কণ্ঠে
- রমজান মাস স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ উপহার
- ধর্ষণ,তোমার শেষ কোথায়?