ব্রেকিং:
আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

বৃহস্পতিবার   ০৩ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ১৯ ১৪৩২   ০৭ মুহররম ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৭৯

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৫৩ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০১৯  

ডেঙ্গু প্রতিরোধে  ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে (ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি) সাড়ে ৭ কোটি করে ১৫ কোটি টাকা, ঢাকার বাইরের সিটি করপোরেশনগুলোকে ৮ কোটি টাকা ও সারাদেশের পৌরসভাগুলোকে ৩০ কোটি টাকাসহ মোট ৫৩ কেটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছ।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে সাড়ে ৭ কোটি করে ১৫ কোটি টাকা এবং ঢাকার বাইরের সিটি করপোরেশনগুলোকে ৮ কোটি টাকা ও সারাদেশের পৌরসভাগুলোকে ৩০ কোটি টাকাসহ মোট ৫৩ কেটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছ।বরাদ্দকৃত অর্থ ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজে ব্যয় হবে।‘

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলতভাবে সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সাধারনত ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হয় মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। আমার মার্চ থেকে মেয়রদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। উত্তরে সিটি করপোরশনকে ১৬০০ লোক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছি। দক্ষিণেও তাদের চাহিদা অনুযায়ী লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মশার কার্যকর ওষুধ ব্যহারের জন্য কমিটি হয়েছে, মশার পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ আছে এবং আমদানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।‘

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা এডিসের জন্মস্থান সম্পর্কে সচেতন ছিলাম না। সবার মাঝে জনসচেতনা সৃষ্টিতে কলকাতা অনেক ভালো অর্জন করেছে। তারা সকল মানুষকে সতর্ক করতে পেরেছে। সেজন্য সেখানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কম। আমি যখন গিয়েছি সেখানে তাদের ৭০০ রোগী ছিল, আর আমাদের রোগী ছিল ৫ হাজার। তারা বলেছে তাদের ৯০ ভাগ লোক সচেতন থাকায় এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছেন তারা।‘

মন্ত্রী সম্প্রতি কলকাতা থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, ‘আমরা কলকাতা থেকে অভিজ্ঞতা নিয়েছি। আমরা ডেঙ্গু মোকাবেলায় নতুন শিক্ষা নিয়েছি, আমাদের ১২ মাসই কাজ করতে হবে। তবে ডেঙ্গু এই সময়ে বৃদ্ধি পায়। কলকাতায় ওয়ার্ড প্রতি ২৫ জন নিয়োগ দিয়েছে, আমরাও সেটি করেছি। আমরা সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছি।‘

পাঠ্যপুস্তকে জলবায়ুর বিষয়গুলো রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কারিক্যুলামে গরুর রচনা পড়ানো হয়, গরুর কয়টি হাত কয়টি পা এটা পড়ানো কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। তাকে শেখানো উচিত পানি অপচয় করা যাবে না। পারি যত বেশি অপচয় করবেন তত পরিবেশের উপর প্রভাব পড়বে। শিশুদের শেখানো দরকার ট্রাফিক নিয়ম কিভাবে মেনে চলবে, মুরব্বিদের কিভাবে সম্মান করবে। আমার নিজের মধ্যে এটি না থাকলে শিশু শিখবে কেন। পড়াশুনায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলোও থাকতে হবে।‘

এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।সংগঠনের সভাপতি কাউসার রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, দপ্তর সম্পাদক ইসমাঈল হোসাইন রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর