সোমবার   ১৭ জুন ২০২৪   আষাঢ় ২ ১৪৩১   ১০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১০২

১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন বৈধ সনদ ধারীদের সময়সীমা বৃদ্ধির মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৪  

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন,  ১৭তম নিবন্ধনধারীদের  ৭৩৯ জন ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন বঞ্চিত বৈধ সনদ ধারীদের সবাই।  


আজ সকাল ১০ ঘটিকা থেকে ১১ ঘটিকা পর্যন্ত মানববন্ধনের কার্যক্রম জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। গত ৪টি বছর আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল বর্তমান "১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ২০২০" এই ১৭তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে কিছুসংখ্যক ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন, অথচ , একটা বিশাল অংশ ৭৩৯ জনের ভাগ্যে আবেদনের সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ ও হতাশার সৃষ্টির জন্য মূলত বেসরকারি শিক্ষক ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর অবহেলা ও দ্বৈত নীতি বহুলাংশে দায়ি। তারা এনটিআরসিএ ২০০৫ খ্রিঃ গঠিত হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ।

তারা শুরুতে ১-১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের ক্ষেত্রে খুবই সদয় ও নীতি -নৈতিকতার সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু, খুবই দুঃখজনক হলেও সত্য,  এরা ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির ১৭তম নিবন্ধনধারীদের বৈধ সনদ অর্জন করা সত্বেও তাদের বয়সকে একটা অপ্রাসঙ্গিক নীতিমালার পরিচয় দিয়েছেন, যা একটা স্বাধীন দেশে সম্পূর্ণ বেআইনি ও অমানবিক অন্যায় কাজ। 

তারা ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ২০২০ খ্রিস্টাব্দ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন গত ২৩ শে জানুয়ারি। বিজ্ঞপ্তিতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ ১৫ ও১৬ মে ২০২০ইং  নির্ধারিত করেন ও লিখিত পরীক্ষার তারিখ ৭ই আগস্ট ও ৮ই আগস্ট ২০২০ইং উল্লেখ করেছেন। কিন্তু, বাংলাদেশ তথা বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে এবং এনটিআরসিএ এর দাপ্তরিক বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য উপযুক্ত পরীক্ষা পিছিয়ে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হয় ৩০ শে ও ৩২ শে ডিসেম্বর ২০২২ইং এবং লিখিত পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয় ৫মে ও ৬ মে ২০২৩ সালে। পরিশেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয় ২৮শে ডিসেম্বর ।


১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২০ খ্রিস্টাব্দ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে চূড়ান্ত ফলাফল পেতে প্রায় ৪ (চার)বছর সময় অতিবাহিত হয়। উল্লেখ্য এনটিআরসিএ বিগত কয়েক বছর অতি সুনামের সাথে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসছেন। 


করোনা মহামারী এবং এনটিআরসিএ এর দাপ্তরিক কার্যক্রমের জন্য পরীক্ষা নিতে বিলম্ব করেন, যার ফলশ্রুতিতে ১বছরের পরীক্ষা ৪ বছর লেগে যায়,যা এনটিআরসিএ এর দায়িত্বহীননতা ও অসহযোগীতাই বহুলাংশে দায়ি,  কারণ,"২০২১ সালে ও শুধুমাত্র শুরুতে  প্রিলি পরীক্ষাটি নিতেও মানববন্ধন করেছেন ও এলার্ট করেন এনটিআরসিএ কে দ্রুত পরীক্ষার জন্য,না হলে অনেকেই বয়স বাড়ার কারণে ভবিষ্যতের গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনের সুযোগ হারাতে পারেন",নিবন্ধনধারীদের মধ্যে কয়েকজন,যারা ১৭তম কেন্দ্রীয় ফোরামের কমিটির দায়িত্ব্য ছিলেন।

তাই আজ মানববন্ধনের সদস্য,আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি ও ১৭তম সনদ অর্জনকারী আবেদন বঞ্চিত কমিটির একজন মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত খান খাদেম, থানা - আখাউড়া,জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বঞ্চিতদের মধ্যে একজন এ কথাগুলো সরাসরি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন মিডিয়ার সামনে এসব এনটিআরসিএ এর দায়িত্ব্যহীনতার কারণগুলো বলছিলেন। এছাড়াও শুরুতে বক্তব্য রাখেন ১৭তম নিবন্ধনধারীদের ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির আবেদন বঞ্চিত কমিটির সভাপতি, মোঃ রাজ্জাকুল হায়দার,পুরো মানববন্ধনের সঞ্চালক ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার শুভ,এছাড়া সহ সভাপতি- ইউসুফ ইমন, সদস্য- সাইদুল ইসলাম আরও অনেকেই যৌক্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তাদের সভার যৌক্তিক দাবি এনটিআরসিএ এর ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির আবেদন যদি ৩৯ মাস বয়সের ছাড় দেওয়ার উল্লেখ থাকে করোনাকালীন সময়,সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকৃত করোনার ভূক্তভোগী একমাত্র ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের ৭৩৯ জন। 


তাই,তারা সবাই জননেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ও তাদেরকে দ্রুত ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির সুযোগ দিয়ে তাদের সবাইকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়ে  আগামীর শিক্ষক হওয়ার সুযোগ করে দিন

এই বিভাগের আরো খবর