মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৯ ১৪৩২   ১৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৭৭

গোয়াইনঘাট প্রবাসী সমাজকল্যাণের অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৫  

গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রবাসীদের সংগঠন গোয়াইনঘাট প্রবাসী সমাজকল্যাণ পরিষদ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও একাধিক গ্রুপিং করে আধিপত্য বিস্তার করে সংগঠনকে করছেন বিতর্কিত।

 

সংগঠনের ফান্ড/ক্যাশ হতে আব্দুল লতিফ বাবুল সহ অনেকেই টাকা নিয়ে আত্মসাত করেছেন, আবর কেউ কেউ নিজের ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন সংগঠনের টাকা দিয়ে। সংগঠন নিবন্ধনের নামে আত্মসাৎ করেছেন প্রায় দুই লক্ষ টাকা। এর নৈয়পথ্যে ছিলেন সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সহ তাদের সহযোগীরা।

 

জানা যায়, সংগঠনটি প্রতিষ্টা হয় ২০১৬ সালের পহেলা নভেম্বর। ওমান প্রবাসী কমিউনিটি নেতা নাসির উদ্দীন, মালেশিয়া প্রবাসী সাংবাদিক আমির উদ্দিন, লন্ডন প্রবাসী আব্দুল মুবিন,সৌদি আরব প্রবাসী হানিফ উদ্দিনের সম্মেলিত উদ্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রবাসীদের একটি ভার্চুয়াল কমিউনিকেশন (হোয়াটসঅ্যাপ) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। বিশ্বের প্রায় ৩২ টি দেশে সংগঠনের শাখা গঠন ও সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের ভোটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সভাপতি নিবার্চিত হন লন্ডন প্রবাসী আব্দুল মুবিন, সেক্রেটারি নির্বাচিত হন ওমান প্রবাসী নাসির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মালেয়েশিয়া প্রবাসী আমির উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক হানিফ উদ্দিন।

 

উক্ত নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন লন্ডন প্রবাসী মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া। ততকালীন কমিটির নেতৃত্বে গোয়াইনঘাটের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রায় অর্ধকোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। যাহা গোয়াইনঘাট সহ গোটা বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে। সেই সময়ে কিছুসংখ্যক প্রবাসী গোয়াইনঘাট প্রবাসী সমাজকল্যাণ পরিষদকে দলীয় থকমা দিয়ে গোয়াইনঘাট প্রবাসী ট্রাস্ট ও গোয়াইনঘাট প্রবাসী ঐক্য পরিষদ নামে দুটি সংগঠন তৈরি করলে শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। পরবর্তীতে গোয়াইনঘাট প্রবাসী পরিষদের মুবিন জহির পরিষদ বিজয়ী হলে সংগঠনের কার্যক্রম স্হতিবর হয়ে পড়ে। নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম আহমদের কুট কৌশলে সংগঠনটির কার্যালয় তোয়াকুলে স্হাপন করেন। যা প্রবাসীরা মেনে নিতে পারেন নি।

 

এরপর ২০২৩ সালের জুলাই মাসের ১৭ তারিখে সমাজ সেবা অধিদফতর ঢাকার আওতাধীন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয় সিলেট হতে নিবন্ধন করা হয় সংগঠনটি। সরকারি ফি অনুযায়ী সব মিলিয়ে পনেরো থেকে বিশ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা সেখানে নিবন্ধন খরচ দেখানো হয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা।

 

অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সংগঠনকে পুজি করে ইউরোপ আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশে এলাকার দরিদ্র মানুষের সহয়তার নামে টাকা কালেকশন করছেন। এইসব টাকা এলাকার কোন মানুষকে সহায়তা না দিয়ে নিজের ব্যবসা বানিজ্য করছেন অনেকই।

 

সংগঠনের একাধিক সদস্য জানান, সংগঠনটি প্রতিষ্টার করা গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রবাসী সহ গোয়াইনঘাট উপজেলার আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং হতদরিদ্র অসহায় মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য। শুরু থেকে সুনামের সাথে কাজ করেছে তিন চার বছর। কিডনি রোগি, ক্যান্সার লোগিসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের নগদ সহায়তা প্রদান, এতিম অসহায়দের ঘর নির্মান করে দেয়া। প্রবাসে কেউ মারা গেল তার লাশ বাড়িতে পাটানো সহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে এই সংগঠনটি প্রতিষ্টাকালী কমিটি।

 

তার পর ২০২৪ সালে এসে সংগঠনটি ধংষের দিকে চলে যায়, শুরু হয় আধিপত্যের লড়াই, কে হবে সভাপতি আর কে হবে উপদেষ্টা, কেউ নির্বাচন দিয়ে কমিটি করতে চান আবার কেউ কেউ তার গ্রুপ চাঙা করতে লিয়াজ কমিটি করতে চান, এনিয়ে শুরু হয় ধূম্রজাল। অনেক সদস্য বলেন, প্রবাসীদের ঘায়ের ঘাম জরানো টাকা দিয়ে আধিপত্যের লড়াই করলে কখনও এই সংগঠন তার লক্ষে পৌঁছাতে পারবেনা।

এই বিভাগের আরো খবর