রোববার   ১৮ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩২   ২০ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৮৯

শাহজালাল বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের ভাগাড়

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২০  

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি অংশে ১২ টি উড়োজাহাজ পড়ে আছে কয়েক বছর ধরে। তাদের কাছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের পাওনাও রয়েছে বিস্তর।


দফায় দফায় চিঠি দেয়ার পরও কোন তৎপরতা না থাকায় এবার কঠোর হচ্ছে সিভিল এভিয়েশন। যদি নিলামেও বিক্রি করতে না পারে, তাহলে পরিত্যক্ত এই উড়োজাহাজগুলো ভেঙ্গে ভাঙ্গারি হিসেবে বিক্রি করা হবে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সের পাশেই চোখে পড়বে কয়েকটি পুরনো উড়োজাহাজ। এর বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্সগুলোর। পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো না সরানোয় কার্গো ভিলেজের সামনের জায়গা ডাম্পিং স্টেশনে পরিণত হয়েছে।

উড়োজাহাজগুলোর মালিকানায় রয়েছে বেসরকারি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি, জিএমজি এয়ারলাইন্সের একটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি।

কার্গো ভিলেজ অ্যাপ্রোনের বিশাল অংশ দখল হওয়াতে সেখানকার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে পার্কিং চার্জও আদায় করতে পারছে না বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বারবার চিঠি দিয়েও এসব এয়ারলাইন্সের সাড়া না পাওয়ায় নিলামে বিক্রি করা হবে উড়োজাহাজগুলো। সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন,'এগুলোকে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে, যদি মালিকপক্ষ এগুলো না নেয় তবে আমরাই এগুলো নিলামে তুলবো। আর যেগুলো বেশি নষ্ট হয়ে হয়েছে, অকশনে তোলা যাবে না, সেগুলোকে ভেঙ্গে সরিয়ে নিব।'

তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের জন্য বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যাত্রীবাহী উড়োজাহাজগুলোকে পার্কিংয়ের জায়গা দিতে সংকটে পড়তে হচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান বলেন, 'এ বিমানগুলো পড়ে থাকার কারণে মূলত ওখানে এক্সপোর্ট কার্গো বিমানকে জায়গা দিতে পারছি না। যতদিন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত না হয়,ততদিন পর্যন্ত আমরা এগুলোকে এখান থেকে সরিয়ে নিব।'

পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো সরাতে পারলে কমপক্ষে ছয়টি কার্গো উড়োজাহাজকে পার্কিংয়ের জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরো খবর