শনিবার   ১৭ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২   ১৯ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৮০

ঢাকায় গ্যাস পাইপলাইন প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ তিতাসের

তরুণ কন্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০  

ঢাকা শহরে গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি, স্বল্প চাপ নিরসন ও লিকেজ রোধে পাইপলাইন প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে তিতাস। এজন্য ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিতাস বিভিন্ন সময় পাইপলাইন সম্প্রসারণের কাজ করলেও এবারই প্রথম পুরনো লাইন প্রতিস্থাপন করছে।

জানা গেছে, ‘ঢাকা শহরে গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি, স্বল্প চাপ নিরসন ও লিকেজ রোধকল্পে বিদ্যমান গ্যাস নেটওয়ার্ক প্রতিস্থাপন ও উন্নয়ন এবং নেটওয়ার্কের সমন্বিত জিআইএস নকশা প্রস্তুতকরণ ও এসসিএডিএ সিস্টেম স্থাপন’ শীর্ষক এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকার দনিয়া টিবিএস থেকে সিটি সেন্ট্রাল ডিআরএসের ইনলেট পর্যন্ত আট কিলোমিটার, সিটি সেন্ট্রাল ডিআরএসের প্রস্তাবিত ধানমন্ডি ডিআরএস পর্যন্ত সাত কিলোমিটার বিতরণ মেইন লাইন স্থাপন করা হবে। এছাড়া ঢাকা শহরে ৬০টি এলাকায় ২ থেকে ১২ ইঞ্চি ব্যাসের প্রায় ৫৮৫ কিলোমিটার বিতরণ লাইন এবং ৯৯ হাজারটি সার্ভিস সংযোগ স্থানান্তরের জন্য ৩-৪ ইঞ্চি থেকে ২ ইঞ্চি ব্যাসের ২৯৭ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ, ধানমন্ডি এলাকায় ৫০ এমএমসিএফডি সক্ষমতার একটি নতুন ডিআরএস নির্মাণ, ১৪টি ডিআরএস/টিবিএস মডিফিকেশন করা হবে। এছাড়া গ্যাস নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের জন্য প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত গ্যাস নেটওয়ার্কসহ সমগ্র ঢাকা শহরের বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইন নেটওয়ার্কের সমন্বিত জিআইএস নকশা প্রস্তুত ও অপারেশন মেইনটেন্যান্স কাজ রিয়েলটাইম এবং লোড ব্যালান্সিং সহজীকরণের জন্য গ্যাস নেটওয়ার্কে এসসিএডিএ সিস্টেম স্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রকল্পটি বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে তিন বছর। তিতাসের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ বলেন, প্রকল্পটির একটি প্রস্তাব আমরা পেট্রোবাংলাতে পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের অধিকাংশ গ্রাহকই এর সুবিধা পাবেন।

সূত্র মতে, তিতাসের মোট পাইপলাইন রয়েছে ১৩ হাজার ১৩৮ কিলোমিটার। কম্পানিটির গ্রাহকসংখ্যা ২৮ লাখেরও বেশি। মোট পাইপলাইনের মধ্যে ঢাকায় রয়েছে সাত হাজার কিলোমিটার। এছাড়া ঢাকার আশপাশে অর্থাৎ নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর ও কিশোরগঞ্জেও তিতাসের পাইপলাইন আছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকায় তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন কোনদিকে কীভাবে গিয়েছে সে বিষয়ে কোনো ম্যাপিং বা তথ্য নেই। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন বেশ জটিল। ম্যাপিং না থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকির পাশাপাশি অবৈধ গ্যাস সংযোগের পরিমাণও বাড়ছে।

তবে এ বিষয়ে তিতাসের এমডি বলেন, আমি যোগদান করার পরই তিতাসের পাইপলাইনের অবস্থান বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দিয়েছি। দরকার হলে হেঁটে কোথায় কোথায় তিতাসের সরবরাহ লাইন রয়েছে, তা নির্ধারণ করতে বলেছি। জানুয়ারির ১ তারিখের মধ্যেই প্রতিবেদন দিতে বলেছি। তারপর সে অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ হবে।

এদিকে ঢাকা শহরে গ্যাসলাইন প্রতিস্থাপন ছাড়াও ঢাকার আশপাশের এলাকার বিতরণ ব্যবস্থা নিরাপদ ও আধুনিকায়নে আরো কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে তিতাস। এর মধ্যে একটি হলো তিতাসের প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ সক্ষমতা উন্নয়ন প্রকল্প। তিতাস অধিভুক্ত সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ, সাটুরিয়া ও আরিচা এলাকায় স্বল্পচাপ সমস্যা সমাধানের জন্য এ প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় একটি কম্পোনেন্ট হিসেবে মানিকগঞ্জ থেকে ধামরাই পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার বিতরণ মেইন লাইন স্থাপন করা হবে। ডিপিপি অনুযায়ী এ প্রকল্পের ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।

এই বিভাগের আরো খবর