মঙ্গলবার   ২১ জানুয়ারি ২০২৫   মাঘ ৮ ১৪৩১   ২১ রজব ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৯৩

নবাব স্যার সলিমুল্লাহ`র ১১০তম মৃত্যুবার্ষিকী  আজ

শাহরিয়ার শ্রাবণ

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫  

নবাব স্যার সলিমুল্লাহ`র ১১০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নবাববাড়ি পারিবারিক কবরস্থান মাজারে সূরা ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করেছেন চিত্রনায়ক নাঈম

নবাব স্যার সলিমুল্লাহ`র ১১০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নবাববাড়ি পারিবারিক কবরস্থান মাজারে সূরা ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করেছেন চিত্রনায়ক নাঈম

উপমহাদেশের মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অগ্রনায়ক, ঢাকার নবাব ও মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১১০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি ২০২৫)  রাজধানীর পুরান ঢাকার বেগম বাজার কে এম আজম লেন কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সভাপতি এ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা. মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের,বনবাব পরিবারের সদস্য বৃন্দ।

 

উপমহাদেশের মুসলিম জাগরণের মহানায়ক, মুসলিম লীগ ও আহসানউল্লাহ্ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কু (বর্তমান বুয়েট) প্রতিষ্ঠাতা, স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হসপিটাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আরো অন্যান্য নেত্রবিন্দু ও এলাকাবাসী।

 

১৯১৫ সালের আজকের এই দিনে তিনি মারা যান। নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ১৮৭১ সালের ৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। যদিও তিনি জীবদ্দশায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যেতে পারেননি। প্রচলিত আছে যে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জমি দান করেছেন, যদিও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি শ্রুতি বা মিথ। দান করার মতো জমি নবাব পরিবারের ছিলো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারি খাসজমিতে।

 

তার বাবা নবাব খাজা আহসানউল্লাহ ও দাদা নবাব খাজা আবদুল গনি।১৯০৩ সালে বড় লাট লর্ড কার্জন ঢাকায় সফরে এলে নওয়াব সলিমুল্লাহ পূর্ব বাংলার সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। ওদিকে আসামের উৎপাদিত চা ও অন্যান্য পণ্য বিদেশে রপ্তানীর ব্যাপারে পরিবহন ব্যয় হ্রাসের উদ্দেশ্যে কলকাতার বদলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের চিন্তা করে বৃটিশরা, এই সাথে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের ভাবনাও চলতে থাকে। বৃটিশদের বাণিজ্যিক স্বার্থ এবং নবাবের আবেদন যুক্ত হয়ে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে বাংলা বিভাজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

এর প্রেক্ষিতে কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধজীবী ব্যবসায়ীদের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও ১৯০৫ সালে পূর্ব বঙ্গ ও আসাম নিয়ে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ গঠন করা হল।বঙ্গ ভঙ্গ নিয়ে বাঙ্গালী হিন্দুদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এই বিভাগের আরো খবর